শুক্রবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২১, ১০:০০ অপরাহ্ন
সোহেল রানা
চুয়াডাঙ্গা জেলার, আলমডাঙ্গা থানার, পাইকপাড়া গ্রামের আইলহাঁস ইউনিয়নের বাসিন্দা কিয়ামউদ্দিন মালিতার ছেলে আমানত উল্লাহ্, ছোটকাল থেকে তার স্বপ্ন ছিল গবেষণা করে নতুন কিছু উদঘাটন করা। আমানত উল্লাহ্ বিয়ে করলেও সংসার জীবনে খুব একটা ভূমিকা পালন করতে পারেনি। নেই তার কোন সন্তান সংসার জীবনে তিনি খুব একটা ভূমিকা রাখতে না পারলেও সৌরজগত নিয়ে ব্যাস্ততার কোন কমতি ছিল না তার। তৈরি করতে শুরু করেন সৌরজগতের মডেল, ১৯৯৪ থেকে ২০২০ দীঘ ২৬ বছর ধরে গবেষণায় তার সাফল্য অর্জন তুলে ধরেন সংবাদ কর্মীদের কাছে। আমানত উল্লাহ্ একান্ত সাক্ষাৎ কারে বলেন সৌরজগত নিয়ে গবেষণা করে গবেষণায় প্রকৃতি থেকে সূর্যের বার্ষিক গতির ৬টি প্রমাণ পেয়েছি। প্রমাণ ৬টির মধ্যে ২টি নক্ষত্র জগত থেকে আর ৪টি গ্রহ জগত থেকে। গ্রহজগতের ৪টির মধ্যে ২টি মঙ্গল গ্রহ থেকে ১টি বৃহস্পতি গ্রহ থেকে এবং শনি গ্রহ থেকে। প্রথম, পৃথিবী ঘুরলে পৃথিবী ঘুরার সাপেক্ষে সাধারণ নক্ষত্রের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন হতো, সূযর্ ঘুরার কারণে, সাধারণ নক্ষত্রের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ন হয় না। দ্বিতীয়, পৃথিবী ঘুরলে ধ্রব নক্ষত্রকে উত্তর আকাশে সবসময় একই অবস্থানে দেখা যেত না, পৃথিবী স্থির থাকার কারণে তথা সূর্য্য ঘুরার কারণে ধ্রুব নক্ষত্রকে উত্তর আকাশে সবসময় একই অবস্থানে দেখা যায়। (প্রমাণটি মডেল ব্যতীত চিত্রের মাধ্যমে দেখানো সম্ভব নয়)। তৃতীয়, পৃথিবী ঘুরলে, পৃথিবী মঙ্গল গ্রহের নিকটবর্তী হওয়ার তারিখে প্রতিবার মঙ্গলের পূর্ণিমা হতো, তাতে মঙ্গলকে চিরকাল ঐ তারিখে সূর্যাস্তের পরপর সন্ধ্যায় পূর্বদিগন্তে উদয় হতে দেখা যেত। এ ব্যতীত রাতের অন্য কোন অংশে উদয় হতে দেখা যেত না। সূর্য ঘুরার কারণে মঙ্গল ও পৃথিবী নিকটবর্তী হওয়ার তারিখে মঙ্গলকে সূর্যাস্তের পর হতে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত রাতের যেকোন অংশ উদয় হতে দেখা যেতে পারে। যার ফলে পৃথিবীর নিকটে আশার তারিখের মঙ্গলকে রাত বারোটায় পূর্বদিগন্তে থেকে উদয় হতে দেখা গেছে। চতুর্থ, পৃথিবী ঘুরলে, পৃথিবী মঙ্গল এর নিকটবর্তী হওয়া তারিখের আগে-পরে ৪ মাস পৃথিবী থেকে মঙ্গলের অবস্থান পরিবর্তন হওয়া খালি চোখে প্রায় দেখা যেত না, সূর্য ঘুরার কারণে বারো মাস মঙ্গলের অবস্থান পরিবর্তন হতে দেখা যায়। পঞ্চম, পৃথিবী ঘুরলে বৃহস্পতির উত্তরায়ণের সময় একটানা উত্তরদিকে সরতে দেখা যেত না এবং দক্ষিণায়নের সময়ও একটানা দক্ষিণ দিকে সরতে দেখা যেতনা। পৃথিবী ঘুরার সাপেক্ষে বৃহস্পতিকে উত্তর-দক্ষিণ দোল খাওয়া অবস্থায় সরতে দেখা যেত। সূর্য ঘুরছে বলে, বৃহস্পতির উত্তরায়নের সময় একটানা উত্তরদিকে এবং দক্ষিণায়নের একটানা দক্ষিণদিকে সরতে দেখা যায়। ষষ্ঠ, পৃথিবী ঘুরলে শনির উত্তরায়ণের সময় একটানা উত্তরদিকে সরতে দেখা যেত না এবং দক্ষিণায়নের সময়ও একটানা দক্ষিণদিকে সরতে দেখা যেত না। পৃথিবী ঘুরার সাপেক্ষে শনিকেও বৃহস্পতির মতো উত্তর-দক্ষিণ দোল খাওয়া অবস্থায় সরতে দেখা যেত। সূর্য ঘুরছে বলে, শনির উত্তরায়নের সময় একটানা উত্তরদিকে এবং দক্ষিণায়নের একটানা দক্ষিণদিকে সরতে দেখা যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে প্রকৃতি থেকে সূর্য ঘুরার এসব সরাসরি প্রমাণ পাওয়ার পর পৃথিবী ঘুরার আনুমানিক ধারণাকে আঁকড়ে ধরে থাকা যায় না। পৃথিবী ঘোরে না,পৃথিবী ঘুরার সরাসরি কোনো প্রমাণ প্রকৃতিতে নেই, খুঁজে পাওয়া যাবেনা। প্রকৃতি থেকে ততদিন পর্যন্ত পৃথিবী ঘুরার একটি প্রমাণও পাওয়া যাবেনা, যতদিন পর্যন্ত সৌরজগৎ যে নিয়মে চলছে, ওই নিয়মে চলবে।পৃথিবী ঘুরার পক্ষে যত কথাই বলা হবে কোন কথাই যথেষ্ট হবেনা সবই হবে কাল্পনিক ও আনুমানিক। অনুমানের যুগ অতীত হয়েছে, চলছে বিজ্ঞানের যুগ। বিজ্ঞান প্রমাণ ছাড়া কোনো কথাই মেনে নেয় না। আমি দৃঢ়চিত্তে বলছি, দেশের সুধী সমাজ ও সরকারের একান্ত সহযোগিতা পেলে প্রকৃতি থেকে পাওয়া সূর্যের বার্ষিক গতির সরাসরি ৬টি প্রমাণ দ্বারা সূর্যের বার্ষিক গতি প্রমাণ করে বিশ্বে জ্যোতির্বিজ্ঞানের ইতিহাসে বাংলাদেশের নাম লিখে দিতে সক্ষম হবো। আমাদের প্রকৃতি থেকে পাওয়া প্রমাণগুলোর সত্যতা যাচাই করে প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের গবেষক, বিজ্ঞানী ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply