শনিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২১, ০২:২৮ অপরাহ্ন
সোহেল রানা
রাজধানী মিরপুর-১ নম্বর এলাকার সকল রাস্তা জুড়ে রয়েছে ফুটপাত দোকান পাট, সে দিকে নেই প্রশাসনের তাগিদ। নজর থাকে মোটর সাইকেলের দিকে। মার্কেট এর সামনে কেউ মোটর সাইকেল রাখলেই ডিএমপি শাহ্আলী থানার ক্ষমতাধর এস.আই মাসুদ রানার চোখ যায় হেলমেটের দিকে। শুক্রবার বিকালে মিরপুর-১ নম্বর রবিউল টাওয়ারের সামনে পার্কিং করা প্রতিটা মোটর সাইকেল থেকে হেলমেট নিয়ে তার ডিউটিরত ভ্যান গাড়ীতে রেখে দেয়। মোটর সাইকেল চালকরা তার নিকট গেলে ৫শত টাকার বিনিময়ে ফেরৎ দেওয়া হচ্ছে হেলমেট। যে টাকা দিতে পারছেনা তার হেলমেট দেওয়া হচ্ছে না। প্রতিবেদক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক থানার এক সিনিয়র অফিসারের সাথে মোবাইলে কথা বলতে চাইলে তিনি জানান সেকি বড় মাপের অফিসার নাকি? আপনাদের মত সাংবাদিকরা মনে করতে পারেন, আমি মনে করি না। প্রতিবেদক পরিচয় গোপন করে হেলমেট চাইলে সে ৫শত টাকা দাবী করে। তখন প্রতিবেদক সাংবাদিক পরিচয় দিলে এস.আই মাসুদ রানা খুব রাগান্নতি হয়ে গাড়ী থেকে নেমে এসে বলেন আপনার আইডি কার্ড দেখান, প্রতিবেদক আইডি কার্ড দেখালে তখন তিনি বলেন যান আপনি আমার বিরুদ্ধে নিউজ করেন। এই বলে উল্টে পকেট থেকে মোবাইল বের করে সাংবাদিকের ভিডিও করতে থাকে এবং তার এক সহকারীকে বলতে থাকে একটা সার্জেন্ট ডাকে আনেন আর গাড়ি পার্কিং ব্যাপারে মামলা দিতে বলেন। উপস্থিতি জনগণ তখন বলেন সার্জেন্ট যদি গাড়ি পার্কিং দেখবে তাহলে আপনি কেন মোটর সাইকেলের হেলমেট লুট করছেন? তখন এস.আই মাসুদ রানা জনগণের রসানলে পড়ে গেলে ওই স্থান থেকে দ্রুত সটকে পড়েন। এস.আই মাসুদ রানার আচরণ দেখে মনে হলো তিনিই একমাত্র দেশের ক্ষমতাধর পুলিশ।“পুলিশ জনতার বন্ধু, জনতায় পুলিশ” পুলিশের মহা-পরিদর্শকের ওই নির্দেশকে আমান্য করে বৃদ্ধঙ্গুলি দেখিয়ে চলছে ওই ক্ষমতাধর এস.আই মাসুদ রানা। শাহ্আলী থানার ওসি জনাব আছাদুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান রাস্তার গাড়ীর ব্যাপার সেটা সার্জেন্ট এর ব্যাপার। এলাকাসুত্রে জানা যায়, এস.আই মাসুদ রানা সাধারণ জনগণের সাথেও খুব রুক্ষ আচরণ করেন। আরও বিস্তারিত দেখুন দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার পাতায়……..
Leave a Reply