রবিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২১, ০২:৪৫ অপরাহ্ন
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা জেলা মহম্মদপুর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের গোবরনাদা গ্রামের মৃত্য ইউনুচ মন্ডলের ছেলে ইসমাইল মন্ডল দীর্ঘদিন ধরে রাজাপুর বাজারে সুদে টাকার ব্যবসা করে আসছিল। সেই সুবাদে রাজাপুর গ্রামের শরজিৎ বিশ্বাসের ছেলে সুজয় বিশ্বাস, ইসমাইলের নিকট থেকে ২০ হাজার টাকায় প্রতি সাপ্তাহে ১ হাজার টাকা সুদে টাকা নেয়। ওই সুদের টাকা আদায়ের জন্য ইসমাইল মন্ডল সুজয় বিশ্বাসের বাড়ীতে আসা যাওয়া করতে থাকে। একদিন সন্ধ্যায় সুজয় বিশ্বাস বাড়ী না থাকায় তার স্ত্রী সুমি বিশ্বাসের সাথে আপত্তিকর অবস্থায় সুজয় বিশ্বাসের ঘরে গ্রামের লোকজন আটক করে, স্থানীয় লোকজন রাজাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দিলে এ.এস.আই আজম এসে তাকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায় এবং স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে সেটা মীমাংসা হয়। এর মাস খানেক পর রাতের আধারে ইসমাইল মন্ডল সুজয় বিশ্বাসের স্ত্রী সুমি বিশ্বাস ও তার শিশু বাচ্চাকে নিয়ে নোয়খালী পালিয়ে যায়। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে মাগুরা নোটারী পাবলিকের মাধ্যেমে বিবাহ করে তার নিজ বাড়ী গোবরনাদা নিয়ে আসে এবং সুমি বিশ্বাসের জীবন তাঁর হাতের মুঠোয় চলে আসে। সুজয় বিশ্বাস মাগুরা নারী শিশু আদালতে মামলা করে তার শিশু মেয়েকে ফেরত নেয়। সুমি বিশ্বাসের পুর্বের শ্বশুর স্বরজিত বিশ্বাস সুমি বিশ্বাসকে ২৪ শতক জমি দানপত্র করে। আর ইসমাইল সেই জমি সুমি বিশ্বাসের কাছ থেকে কবলা দলিল করে নেয়। এরপর সুমি বিশ্বাসের জীবনে নেমে আসে দুর্দশা। গত ৩১ জানুয়ারি ২০১৯ ইং তারিখে ইসমাইলের প্রথম স্ত্রী সাবানা চিকিৎসার কথা বলে মাগুরা নিয়ে যায় এবং রাত ১২টায় সাবানা বাড়ীতে ফিরে এসে সবাইকে বলে সুমি হারিয়ে গেছে। কিন্তু এলাকাবাসি জানান সুমি বিশ্বাস ভারতে পাচারের শিকার হয়েছে। আর এসবের ব্যবস্থা করেন তাঁরই স্বামী ইসমাইল মন্ডল! এর আগেও ইসমাইল মন্ডল নারি ও শিশু পাচার কারিদের সাথে জড়িত ছিল। ইসমাইল মন্ডলের নামে মাগুরা নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল আদালতে নারী শিশু পাচারের একাধিক মামলা বিচার অধিনে রয়েছে। এলাকাবাসি আপরাধ জগতের স¤্রাট ও নারী পাচারকারীর বিরুদ্ধে প্রসাশনের আশুহস্ত ক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply