ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :

মাগুরায় মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের দূর্নীতি নিয়ে তোলপাড়! (পর্ব-১)

নিজস্ব প্রতিনিধি : মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের” বিরুদ্ধে এবার বিস্তর দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে উপজেলা জুড়ে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ওই উপজেলাবাসিদের মাঝে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান দূর্নীতিবাজ “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশে উল্লেখ করেন মহম্মদপুর উপজেলায় বাড়ী হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সকল জরুরী ফাইল পত্র নিজ বাড়ীতে রাখে নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরের উপরে সিল ব্যবহার করে নিজ ইচ্ছামত দূর্নীতি করে যাচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের অনুকূলে সকল প্রকারের আর্থিক বরাদ্দ, রাজস্ব তহবিলের আয়-ব্যয়, বাসাবাড়ী হতে আয়-ব্যয়, মার্কেট হতে আয়-ব্যয় ও সকল প্রকারের অর্থনৈতিক দায়দায়য়ীত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হলেও কিন্তু বেআইনীভাবে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে তা কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের হেফাজতে রাখেন। ফলে অডিটের জন্য সকল প্রকার ফাইল পত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসে থাকার কথা থাকলেও সেখানে “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের বাড়ীতে ফাইল পত্র নিজ হেফাজতে নিয়ে বেআইনী, অবৈধ নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজকর্ম করেন। আরও উল্যেখ আছে মোঃ জাকির হোসেন নিজ ইচ্ছা মত কাগজপত্র তৈরি করে নির্বাহীর সরল বিশ্বাসের সাথে প্রতারনা করে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গা দোকান ঘর বরাদ্দ প্রদান করেন। নির্বাহী অফিসার আসিফুরের স্বাক্ষরের উপর অনুমোদিত সিল ব্যবহার করে, যা নির্বাহী অফিসার জানেন না বলে জানান। তা ছাড়া নির্বাহী অফিসারের নামে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। আর বরাদ্দকৃত জায়গায় যত্রতত্র করে ঘর নির্মাণ করার কারনে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাহী অফিসার সম্পর্কে বিরুপ ধারনা ও জনরোষের সৃষ্টি হয়। ওই জনরোষ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। তখন বিষয়টি নির্বাহী অফিসার অসিফুর রহমান ওই দৃর্নীতিবাজ জাকিরকে নিষেধ করার পরও তাহার নিষেধ উপেক্ষা করে আবার নতুন করে নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে অর্থ আদায় করে। বর্তমানে দূর্নীতিবাজ জাকিরের ইঙ্গিতে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা তৈরী হচ্ছে যা শৃঙ্খলা ও আফিল বিধিমালা ১৮৮৫ এর পরিপন্থি। আর ওই সকল স্থাপনা বাতিলসহ মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের” বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাহী অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে অনুলিপি প্রেরন করেন। আরও বিস্তারিত আসিতেছে……..।

 

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সবাই ঘুমিয়ে ছিল, রাষ্ট্রপতি পালিয়েছে ; ব্যর্থতা অন্তবর্তীকালীন সরকারের – আমিনুল হক

মাগুরায় মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের দূর্নীতি নিয়ে তোলপাড়! (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০৮:৪৫:৪৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ এপ্রিল ২০১৯

নিজস্ব প্রতিনিধি : মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের” বিরুদ্ধে এবার বিস্তর দুর্নীতি ও ঘুষ লেনদেন নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে উপজেলা জুড়ে। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে ওই উপজেলাবাসিদের মাঝে নানা গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান দূর্নীতিবাজ “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি কারণ দর্শানোর একটি নোটিশ প্রদান করেন।

নোটিশে উল্লেখ করেন মহম্মদপুর উপজেলায় বাড়ী হওয়ায় স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসের সকল জরুরী ফাইল পত্র নিজ বাড়ীতে রাখে নির্বাহী অফিসারের স্বাক্ষরের উপরে সিল ব্যবহার করে নিজ ইচ্ছামত দূর্নীতি করে যাচ্ছে।
উপজেলা পরিষদের অনুকূলে সকল প্রকারের আর্থিক বরাদ্দ, রাজস্ব তহবিলের আয়-ব্যয়, বাসাবাড়ী হতে আয়-ব্যয়, মার্কেট হতে আয়-ব্যয় ও সকল প্রকারের অর্থনৈতিক দায়দায়য়ীত্ব উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হলেও কিন্তু বেআইনীভাবে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে তা কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের হেফাজতে রাখেন। ফলে অডিটের জন্য সকল প্রকার ফাইল পত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসে থাকার কথা থাকলেও সেখানে “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের বাড়ীতে ফাইল পত্র নিজ হেফাজতে নিয়ে বেআইনী, অবৈধ নিয়মতান্ত্রিকভাবে কাজকর্ম করেন। আরও উল্যেখ আছে মোঃ জাকির হোসেন নিজ ইচ্ছা মত কাগজপত্র তৈরি করে নির্বাহীর সরল বিশ্বাসের সাথে প্রতারনা করে ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গা দোকান ঘর বরাদ্দ প্রদান করেন। নির্বাহী অফিসার আসিফুরের স্বাক্ষরের উপর অনুমোদিত সিল ব্যবহার করে, যা নির্বাহী অফিসার জানেন না বলে জানান। তা ছাড়া নির্বাহী অফিসারের নামে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। আর বরাদ্দকৃত জায়গায় যত্রতত্র করে ঘর নির্মাণ করার কারনে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাহী অফিসার সম্পর্কে বিরুপ ধারনা ও জনরোষের সৃষ্টি হয়। ওই জনরোষ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হয়। তখন বিষয়টি নির্বাহী অফিসার অসিফুর রহমান ওই দৃর্নীতিবাজ জাকিরকে নিষেধ করার পরও তাহার নিষেধ উপেক্ষা করে আবার নতুন করে নির্বাহী অফিসারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে অর্থ আদায় করে। বর্তমানে দূর্নীতিবাজ জাকিরের ইঙ্গিতে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন জায়গায় স্থাপনা তৈরী হচ্ছে যা শৃঙ্খলা ও আফিল বিধিমালা ১৮৮৫ এর পরিপন্থি। আর ওই সকল স্থাপনা বাতিলসহ মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসের “অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোঃ জাকির হোসেনের” বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাহী অফিসার মোঃ আসিফুর রহমান সংশ্লিষ্ট অধিদফতরে অনুলিপি প্রেরন করেন। আরও বিস্তারিত আসিতেছে……..।