ঢাকা ০৫:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর ডিবি পরিচয়ে তুলে নিলেন সাংবাদিক সৈয়দ শফিকুর রহমানকে

বিশেষ প্রতিনিধি :
২ ডিসেম্বর ও ৩ ডিসেম্বর ২০২০ ইংরেজি তারিখে সরকারি মিডিয়া ভুক্ত বহুল আলোচিত জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর খালিদ মাহামুদ চৌধুরী নামে বিভিন্ন দূর্নীতি-অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলে, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে সাংবাদিক সৈয়দ শফিকুর রহমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এবিষয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় সৈয়দ শফিকুর রহমান, জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা ও মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি।
প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পরে ৫ ডিসেম্বর রাতে আমাদের বাসায় সাদা পোশাক পড়ে ৮/১০ জন লোক আসে ডিবি পুলিশ পরিচয় তাকে তুলে নিয়ে যায় এরপর আমরা বিভিন্ন থানায় ডিবি পুলিশের অফিসে খোঁজ নেই কিন্তু কেউ তার সন্ধান দিতে পারেনি, ডিবি পুলিশের অফিস থেকে বলা হয়েছে ঐ তারিখ রাতে আমাদের কোন টিম সৈয়দ শফিকুর রহমান নামে কাউকে তুলে আনেনি আপনারা আপনাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অথবা অন্য জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখেন।
এর পর আমরা বিভিন্ন যায়গায় খোজাখুজি করতে থাকি তুলে নেয়ার ৩ দিন পেরিয়ে গেলে হটাৎ করে আমাদের মোবাইল নাম্বারে ফোন আসে সৈয়দ শফিকুর রহমানের মোবাইল নাম্বার থেকে, ওপাশ থেকে বলা হয় এই নাম্বার এর লোকটা আপনারা চিনেন কিনা তখন তার স্ত্রী বলেন সে আমার স্বামী হয়। তখন ঐ লোকটা বলেন আমরা এনাকে গাজীপুর মাওনা সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে তাকে গাজীপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি তার দুটি পা একটি হাত ভাঙা অবস্থায় আছেন এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার স্ত্রী বলেন আমরা তাৎখানিক সেখানে ছুটে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্য মেডিকেলে এনে ভর্তি করি, সৈয়দ শফিকুর রহমান একটু সুস্থ হলে তার সাথে কথা বলে জানাযায় তাকে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তার হাত পা ভেঙ্গে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন আমি সবসময় প্রাণনাশের আশংকায় আছি হয়তো আবার ওরা আমাকে যেকোনো সময় উঠিয়ে নিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন আমি যে সংবাদ প্রকাশ করেছি সেটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, একজন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছি তার জন্য আজ আমার এ অবস্থা আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি আমার জীবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা চাচ্ছি এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পর ডিবি পরিচয়ে তুলে নিলেন সাংবাদিক সৈয়দ শফিকুর রহমানকে

আপডেট টাইম : ১২:৪৭:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২০

বিশেষ প্রতিনিধি :
২ ডিসেম্বর ও ৩ ডিসেম্বর ২০২০ ইংরেজি তারিখে সরকারি মিডিয়া ভুক্ত বহুল আলোচিত জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর খালিদ মাহামুদ চৌধুরী নামে বিভিন্ন দূর্নীতি-অনিয়মের সংবাদ প্রকাশ হলে, ৫ ডিসেম্বর ২০২০ ইং তারিখে সাংবাদিক সৈয়দ শফিকুর রহমানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। এবিষয়ে তার পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় সৈয়দ শফিকুর রহমান, জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার প্রধান উপদেষ্টা ও মিরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি।
প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের পরে ৫ ডিসেম্বর রাতে আমাদের বাসায় সাদা পোশাক পড়ে ৮/১০ জন লোক আসে ডিবি পুলিশ পরিচয় তাকে তুলে নিয়ে যায় এরপর আমরা বিভিন্ন থানায় ডিবি পুলিশের অফিসে খোঁজ নেই কিন্তু কেউ তার সন্ধান দিতে পারেনি, ডিবি পুলিশের অফিস থেকে বলা হয়েছে ঐ তারিখ রাতে আমাদের কোন টিম সৈয়দ শফিকুর রহমান নামে কাউকে তুলে আনেনি আপনারা আপনাদের আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অথবা অন্য জায়গায় খোঁজ নিয়ে দেখেন।
এর পর আমরা বিভিন্ন যায়গায় খোজাখুজি করতে থাকি তুলে নেয়ার ৩ দিন পেরিয়ে গেলে হটাৎ করে আমাদের মোবাইল নাম্বারে ফোন আসে সৈয়দ শফিকুর রহমানের মোবাইল নাম্বার থেকে, ওপাশ থেকে বলা হয় এই নাম্বার এর লোকটা আপনারা চিনেন কিনা তখন তার স্ত্রী বলেন সে আমার স্বামী হয়। তখন ঐ লোকটা বলেন আমরা এনাকে গাজীপুর মাওনা সড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে তাকে গাজীপুর সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করি তার দুটি পা একটি হাত ভাঙা অবস্থায় আছেন এবং মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
তার স্ত্রী বলেন আমরা তাৎখানিক সেখানে ছুটে গিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে অন্য মেডিকেলে এনে ভর্তি করি, সৈয়দ শফিকুর রহমান একটু সুস্থ হলে তার সাথে কথা বলে জানাযায় তাকে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরীর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে নির্যাতন করে তার হাত পা ভেঙ্গে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়। তিনি সাংবাদিকদের আরো বলেন আমি সবসময় প্রাণনাশের আশংকায় আছি হয়তো আবার ওরা আমাকে যেকোনো সময় উঠিয়ে নিয়ে আমাকে মেরে ফেলতে পারে।
তিনি বলেন আমি যে সংবাদ প্রকাশ করেছি সেটা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে নয় প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নয়, একজন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেছি তার জন্য আজ আমার এ অবস্থা আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমি আমার জীবনের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা চাচ্ছি এজন্য আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।