স্টাফ রিপোর্টার
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল ইসলাম, পিডিবিএফ এর যুগ্মপরিচালক (এইচআরএম) মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার জনাব শাহেদুর রহমান দুই জনে পিডিবিএফকে নিজেদের মগের মুল্লুক মনের করে যোগসাজসে একের পর এক দূর্নীতি করে যাচ্ছে, তাদের দূর্নীতির কাছে যেন সবাই অসহায় হয়ে আছে। তাদের দূর্নীতি নিয়ে জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশের অনুসন্ধান টিমের ধারা বাহিক প্রতিবেদনের আজকের ১ম পর্ব।
পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশনের (পিডিবিএফ) সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল ইসলাম কর্মস্থলে বসে ব্যবসা করেছেন। পাশাপাশি তিনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন। এমনকি টাকার বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের সাজাপ্রাপ্ত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও লোভনীয় পদে পোস্টিং (পদায়ন) দিয়েছেন। বর্তমানে আমিনুল ইসলাম পিডিবিএফের দ্বিতীয় শীর্ষ পদ পরিচালক (মাঠ পরিচালন) পদে কর্মরত। পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য। পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে চাকরিবিধি লংঘন করে ব্যবসা করাসহ ৫টি বিষয়ে অভিযোগ করেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রীর দপ্তরে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১. নিজস্ব ঠিকাদার কোম্পানির মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন। ২. ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ। ৩. অনৈতিক সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ। ৪. আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ ও উচ্চপদে পদায়ন এবং ৫. ভুয়া বিল-ভাউচারে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎ। সানার্জি টেকনোলজির ১৫০০০ শেয়ারের মধ্যে ৫০০০ শেয়ারে মালিক ছিলেন পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত এমডি আমিনুল ইসলাম। অভিযোগ ওঠার পর তা তিনি জনৈক জেসমিন আক্তার মৌসুমীর কাছে হস্তান্তর বা বিক্রি করে দেন। তার পরও ওই কোম্পানি বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তার (আমিনুল ইসলাম) ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়।’ যার ফলে বিধিবিধান অমান্য করে ক্রয় কমিটির প্রধানের দায়িত্বে থেকেও পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত এমডি আমিনুল ইসলাম নির্বিঘ্নে বাণিজ্য করেছেন। ‘সৌরশক্তি উন্নয়ন কর্মসূচি’র ৮ কোটি টাকার কাজ সরাসরি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ডকইয়ার্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের নামে ‘এনজিরা সোলার’ ও ‘সানার্জি টেকনোলজি লিমিটেড’র মাধ্যমে বাজার দরের দ্বিগুণ বেশি দামে উপকরণ কিনে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি পিডিবিএফ এর যুগ্মপরিচালক(এইচআরএম) মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার জনাব শাহেদুর রহমান দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জুনিয়রদের উচ্চতর পদে পদায়ন, অবৈধ নিয়োগ বানিজ্য, অসৎ উদ্দেশ্যে কর্মীদের হয়রানি মূলক বদলী এবং দুর্নীতিবাজ কর্মীদের গুরুতর মামলা হতে অব্যাহতি প্রদানসহ নানা অপকর্ম করে কামিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তিনি সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুল ইসলামের মাধ্যমে অধিকাংশ সময় নিজের লোকদের উচ্চতর পদে দায়িত্ব প্রদান, নিয়োগ ও বদলী বানিজ্য করেছেন। তিনি নিজে পদোন্নতি পাওয়ার জন্য এবং অনৈতিক সুবিধার বিনিময়ে পদোন্নতি দেয়ার জন্য গ্রেডেশন তালিকায় এপিএ নম্বর টেম্পারিং ও ম্যানুপুলেট করেন। তিনি তার পছন্দের ডিডি নিয়োগ দেওয়ার জন্য কৃষিবিদ ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে তার পছন্দের ২০১২ সালের এসএডি পদে পদোন্নতি প্রাপ্তদের বাদ দিয়ে ২০১৬ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত জুনিয়র এসএডিদের ডিডি এর দায়িত্ব দিয়েছেন। মোঃ শাহেদুর রহমানের দূর্নীতির সাথে সাবেক ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থপনা পরিচালক সরাসরি জড়িত ছিে লন বলে জানা যায়।
(১) এপিএতে নম্বর টেম্পারিং এর মাধ্যমে ভূয়া গ্রেডেশন তালিকা প্রনয়ন করে পদোন্নতির অপচেষ্টা:
বিগত ২০১৯ সালে জনাব শাহেদ খান ও য্গ্মুপরিচালক মনারুল ইসলামের সহযোগীতায় গ্রেডেশন তালিকায় নম্বর টেম্পারিং করে ভূয়া গ্রেডেশন তালিকা তৈরী করে পিডিবিএফ এর বোর্ড সভার সিদ্ধান্তে অতিরিক্তি পরিচালক হিসাবে পদোন্নতি নেয়ার চেষ্টা করেন। গ্রেডেশন তালিকায় এপিএ নম্বর টেম্পারিং ও পরিবর্তনের বিষয়টি অতিরিক্ত সচিব জনাব আফজাল হোসেন এর নজরে আসলে উপ-সচিব যথা ক্রমে মোস্তাক জহির এবং আইরিন ফারজানার সমন্বয়ে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন তাতে তাদের ভূয়া গ্রেডেশনের বিষয়টি প্রমানিত হয় এবং পরবর্তীতে উক্ত পদোন্নতি বাতিল হয়।
পিডিবিএফের প্রতি জুনে এপিএতে নম্বরের ভিত্তিতে গ্রেডেশন তালিকা করা হয়। তাঁর ভিত্তিতে জনাব মোঃ শাহেদ খান ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ এর মূল্যায়নের ভিত্তিতে গত ০৯/০৮/২০১৬ইং তারিখে যুগ্মপরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়ে ছিলেন। সর্বশেষ ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ এপি এর ভিত্তিতে গ্রেডেশন তালিকায় তাঁর স্থান ছিল ১১তম। একই পদে ৩ বৎসর না হওয়ায় তিনি পদোন্নতির তালিকাতেই ছিলেন না। তাঁর পদোন্নতির ৩ বছর না হওয়ায় গ্রেডেশন তালিকায় পুনরায় ২০১৬ সালের নম্বর একই নম্বর ২ বার দেখিয়ে ২০১৯ সেপ্টেম্বও মাসে আর একটি গ্রেডেশন তালিকা করা হয়, তাতে তাঁর স্থান নির্ধারণ করা হয় ৪ নম্বরে। এভাবেই প্রতারণা করে পদোন্নতির চেষ্টা তিনি করেন। প্রতিষ্ঠানের একই সময় কালের ২ টিগ্রেডেশন তালিকা করে কর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরী করেন।
(২) মাগুরা অঞ্চলে কর্মরত থাকা কালীন দূর্নীতি:
অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে অনৈতিক উপায়ে চুক্তি ভিত্তিক কর্মি নিয়োগ প্রদান কনের জনাব মোঃ শাহেদুর রহমান খান। মাগুরা অঞ্চলে উপ-পরিচালক থাকা কালীন জনাব হাফিজুর রহমান নামে এক জন কর্মীর সার্টিফিকেট অনুযায়ী বয়স না থাকা সত্বেও ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। নিয়োগ প্রদান কালীন সময়ে উক্ত কর্মীদের বয়স ছিল ৩৮ বছর। অঞ্চলের সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রধান কার্যালয়ের স্মারক নং: পিডিবিএফ/এইচআরএম/১৮৬/১০০৮/৩৯২৮, ২২/১১/২০১১ইং তারিখে নিয়োগ পত্রের ৩৫নং ক্রমিকের জনাব হাফিজুর রহমানকে নিয়োগ প্রদান করা হয়। জনাব হাফিজকে পরবর্তীতে ফরিদপুর সদর কার্যালয়ে পোষ্টিং দিলে তিনি ১৬০২৬৬১/= (ষোল লাখ দুই হাজার ছয়শত একষট্টি) টাকা আত্বসাত করে পালিয়ে যায়। আবেদন করার যোগ্যতা না থাকা সত্বেও সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিয়োগের সুপারিশ করে জনাব শাহেদুর রহমান খান তাকে নিয়োগ দেয়ার কারনে পিডিবিএফ এর মোটা অংকের টাকা আত্বসাৎ করেন, যার দায় জনাব শাহেদ খান উপর গড়ায়। তাই সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্যতা যাচাই করলে মোঃ শাহেদুর রহমানের নিকট হতে উক্ত ১৬,০২৬৬১/-(ষোল লক্ষ দুই হাজার ছয়শত একষট্টি) টাকা আদায় করা সময়ের ব্যাপার মনে করেন পিডিবিএফের কর্মীরা। তিনি তড়িঘড়ি ও জোর করে মাগুরা অঞ্চল হতে ‘‘না দাবী প্রত্যয়ন পত্র’’ সংগ্রহ করেন।
জনাব মোঃ শাহেদুর রহমান খান এর ছত্রছায়ায় নড়াইল সদর কার্যালয়ের প্রাক্তন দারিদ্র্য বিমোচন কর্মকর্তা জনাব জাকির হোসেন ও জনাব সোহরাব হোসেন এর কর্মকালীন সময়ে এক জন সেলপ কর্মী মারুফ হোসেন ২২০০,০০০/-(বাইশ লাখ) টাকা আত্মসাত করে পলাতক রয়েছেন। অথচ নিয়ন্ত্রন কারী কর্মকর্তা হিসাবে জাকির হোসেন এবং সোহরাব হোসেন এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে, তাদের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক হিসাবে পদোন্নতি দিয়ে মানব সম্পদ শাখায় তাঁর কাছাকাছি রেখেছেন। তাঁর খুব কাছের লোক বিজন কুমার, কালীগঞ্জ কার্যালয়ে থাকা কালীন বছির উদ্দিন নামে একজন সিনিয়র মাঠ কর্মকর্তা ১১,০০০০০/-(এগার লাখ) টাকা আত্মসাত করার পরও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁর কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে তাঁকে কুষ্টিয়া এসএডি হিসাবে পদায়ন করেছেন। অনুরুপ ভাবে যশোর সদর কার্যালয়ের ইউডিবিও গোলাম মোস্তফা এর দায়িত্ব কালীন সময়ে সেলপ কর্মকর্তা আঃ মালেকের সংঙ্গে যোগসাজস করে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আত্মসাত করেন। তারপর জনাব গোলাম মোস্তফাকে অবৈধ সুবিধা নিয়ে পাবনা অঞ্চলে উপ-পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করেন। জনাব সাহেদের আরও এক সহচর ফরিদপুর অঞ্চলের উপ-পরিচালক জিল্লূর রহমান এর সহযোগিতায় তাঁর হিসাব কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে ৬৯ লাখ টাকা লেনদেন করেছে বলে জানা যায়।
(৩) অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়ম নীতি লংঘন করে অর্থের বিনিময়ে জুনিয়র কর্মকর্তাদের উপ-পরিচালক পদে পদোন্নতি/পদায়ন প্রদান:
পিডিবিএফ এ সর্ব শেষ ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালের এপিএ নিয়ে বিভিন্ন গ্রেডের গ্রেডেশন তালিকার ভিত্তিতে সকল গ্রেডে ২০১৬ সালে পদোন্নতি দেয়া হলেও সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পরও শুধুগ্রেড-৭ গ্রেডের কর্মকতাদের পদোন্নতি প্রদান করা হয় নাই। উক্ত গ্রেডে ৭৮ জন কর্মকর্তার গ্রেডেশন তালিকা করা হয়েছিল তার ভিত্তিতেই তখন গ্রেড-৭ পদে পদোন্নতির জন্য পরীক্ষা গ্রহন করা হয়েছিল কিন্তু অদৃশ্য কারনে ফলাফল না দিয়ে উক্ত তালিকা হতে পুনরায় প্রক্রিয়া করে ২০১৯ সালে প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মদন মোহন সাহা ১৫ জনকে পদোন্নতি দিলেও পরবর্তী সময় মোঃ শাহেদ খান (যুগ্মপরিচালক) প্রাক্তন পরিচালক সোলায়মান এর সহযোগীতায় বিভিন্ন অঞ্চলে সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও উপ-পরিচালকের পদ শুন্য হলে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে জুনিয়র কর্মকর্তাদের এবং ২০১৬ সালে পদোন্নতি প্রাপ্ত জুনিয়র কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করেন। অথচ ২০১২ সালে পদোন্নতি প্রাপ্ত এবং ২০১৬ সালের গ্রেডেশনে সিনিয়র হিসাবে থাকার পরও তারা এখন ও জুনিয়র ডিডির অধীনে শাখায় এবং অঞ্চলে এসএডি/সিনিয়র দারিদ্র্য বিমোচন কমকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে কর্মকর্তাদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করে। যেমন-২০১২ সালে এসএডি পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত এবং ২০১৬ সালের গ্রেডেশনে ৭১নং এ জনাব রবিউল ইসলামকে সিলেট, ৬৩নং আখতার হোসেনকে কুমিল্লা, ৬২নং আব্দুর রাজ্জাককে রংপুর, ৬১নং আব্দুর রহমানকে লালমনিরহাট, ৫৯নং শাহজাহানকে ময়মনসিংহ, ৪৯নং মো: ইউনুস আলীকে নাটোর ,৪৫নং মাহবুবুর রহমানকে নেত্রকোনা এবং ১২ সালের পদোন্নতি প্রাপ্তদের অনেকে যোগ্য থাকার পরও যারা ২০১৬ সালে সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসাবে পদোন্নতি পেয়েছেন তাদের মধ্য হতে ইতো মধ্যে গোলাম মোস্তফাকে উপ-পরিচালক হিসাবে পাবনা ,অসীম কুমার শিকদারকে শরিয়তপুর অঞ্চলে শুধুমাত্র আর্থিক সুবিধা নিয়ে উচ্চতর পদে পদায়ন করেন। উক্ত গ্রেডেশন তালিকায় ক্রমানুসারে উপরের দিকে যাদের নাম রয়েছে এবং সর্বশেষ ২০১২ সালে যারা পদোন্নতি পেয়ে গ্রেডেশনে যারা এগিয়ে ছিলেন,তাদের কাউকেই দায়িত্ব প্রদান করা হয়নি। জনাব শাহেদুর রহমান খান আর্থিক ভাবে সুবিধা নিয়ে প্রাক্তন পরিচালক মোঃ সোলায়মান এর সহযোগিতায় এসব অপকর্ম করেছেন।
জনাব শাহেদুর রহমান খান মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তার প্রাক্তন কর্মস্থল ঠাকুরগাও অঞ্চলের সিনিয়র ১জন কর্মকর্তাকে বাদ দিয়ে জুনিয়র কর্মকর্তা লুৎফা বেগম, ঠাকুরগাঁও অঞ্চলে এবং জনাব মহব্বত হোসেন, রংপুর অঞ্চলে সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব দেন। তিনি ২০১২ সালের পদোন্নতি প্রাপ্তদের বাদ দিয়ে ইতি মধ্যে ২০১৬ সালের পদোন্নতি প্রাপ্তদের উপ-পরিচালক ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। যেমন-তিনি সোলায়মান মিয়াকে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে টাংগাইল অঞ্চলে সিনিয়র সহকারী পরিচালক দায়িত্ব প্রদান করেছেন। টাংগাইল অঞ্চলে সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসাবে কর্মরত মোঃ সোলইমান মিয়াকে উপ-পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য পরিচালক মোঃ সোলায়মান এর সহযোগীতায় মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে প্রথমে ডিডি কার্যালয়ে এবং পরে নেত্রকোনার কার্যালয়ে ডিডির দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেন। ফলে তার এসব অপকর্মের জন্য মাঠ পর্যায়ে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
৪) প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে অর্থের বিনিময়ে দৈনিক ভিত্তিক বার্তা বাহক নিয়োগ:
জনাব মো: শাহেদুর রহমান খান নিয়োগের নীতিমালা অনুসরণ না করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গত ২০২০ মার্চ মাসে ১৭জন বার্তা বাহক নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগ গাইড লাইন অনুযায়ী হেড কোয়াটারের বার্তা বাহক হেড কোয়াটার থেকে এবং অঞ্চলের বার্তা বাহক অঞ্চল থেকে নিয়োগ দেয়ার বিধান থাকলেও তিনি সম্পূর্ণ ক্ষমতার জোরে গাইড লাইন লংঘন করে নিজের মত কমিটি করে নিয়োগ প্রদান করেন। অঞ্চলের জন্য বার্তা বাহক নিয়োগ দেওয়া হলেও অঞ্চলে নিয়োগের সার্কুলার প্রচারের জন্য প্রেরণ করা হয়নি। নিয়োগের পূর্বে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির প্রকাশ করা হয়নি। নিয়োগ কিভাবে সম্পন্ন হলো প্রধান কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তাই বলতে পারেন না বলে জানা যায়। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ না করে এত গুলো আবেদন সংগ্রহ করা এবং হাতে হাতে আবেদন গুলো গ্রহন করায় প্রমান হয় যে, সম্পূর্ন অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন। নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রার্থীদের কোন মৌখিক পরীক্ষাও গ্রহন করা হয়নি। সরাসরি নিয়োগপত্র পেয়ে অনেকে কর্মস্থলে যোগদান করেছেন। যোগদানের পর সহকর্মীদের সংগে আলোচনায় জানা যায় যে, শাহেদ খান অনেকের আবেদন নিজেই তৈরী করে দিয়েছেন। শাহেদুর রহমান খান সরাসরি প্রতি প্রার্থী ও প্রার্থীর সহযোগীতাকারীর নিকট হতে ৩ লক্ষ টাকা করে ঘুষ গ্রহন করেন এবং ডাকযোগে নিয়োগ পত্র প্রদান করেন। যা পিডিবিএফে সবচেয়ে ন্যাক্কার জনক নিয়োগ বলে অনেকে মনে করেন। নীতি বিবর্জিত কর্মকর্তার এধরনের কর্মকাণ্ডে প্রধান কার্যালয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। সুতরাং পিডিবিএফ এর সকল কর্মীর আশা ভরসার স্থল মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ করে জানান,পিডিবিএফ এর সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি মুক্ত পিডিবিএফ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি পরায়ন, অসৎ ও নীতিভ্রষ্ঠ অসাধু কর্মকতা জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম ও মোঃ শাহেদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মোঃ শাহেদুরের দূর্নীতি এখানে শেষ নয় আরও বিস্তারিত নিয়ে আসিতেছে পরবর্তী সংখ্যায় চোখ রাখুন, চলবে।
শিরোনাম :
পিডিবিএফের শীর্ষ দূর্নীতিবাজ!
- খবর বাংলাদেশ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৩:০২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ এপ্রিল ২০২১
- ১১৯৩ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ