ঢাকা ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪, ৯ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

শ্রীপুরে আইনজীবীর সাজানো মামলায় হয়রানির শিকার বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন 

এস এম জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মৃত মাহমুদ হাসান বাচ্চুর ছেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও জজকোট গাজীপুরের অ্যাডভোকেট মোঃ ওয়াসিম খলিলের দায়ের করা শ্রীপুর থানায় ফৌজদারি মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল আইনজীবী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় (মামলা-৫৭) করেন। এতে একই এলাকার বাবুল ও তার বাবা বৃদ্ধ রইছ উদ্দিন, কবির হোসেন, মোবারক হোসেন ও মনির হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আইনজীবী উল্লেখ করেন আসামিদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ওই জমিতে সংঘবদ্ধভাবে গাছ কর্তন করতে গেলে তার বড় বোন হাফিজা আক্তার লিলি বাধা দিলে উল্লেখিত আসামিরা মারধর করেন।
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে কেউ মারামারি করেননি। ভুক্তভোগী হয়রানির শিকার আসামিদের মধ্যে একেকজন বিভিন্ন জায়গায় কাজে ব্যস্ত ছিল। মামলার এজাহারে যে সময় ও জায়গা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে সে জায়গায় কেউ উপস্থিত ছিল না। আশেপাশের স্থানীয়রা বলছেন মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় ভুক্তভোগীদের আসামি করে ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। হয়রানির উদ্দেশ্যে নিরীহ পরিবারকে মামলাা দেওয়া হয়েছে।
 
মামলার শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত এসেছে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরেছি আমাদের নামে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে, অথচ কি করে তদন্ত ছাড়াই একটি মামলা রেকর্ড হয়ে গেল আমরা বোধগম্য নয়। বাবুল মিয়া গত (২১ এপ্রিল) বাদীপক্ষ কোনো অঘটন ঘটিয়ে মিথ্যা মামলা ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে এই মর্মে শ্রীপুর থানায় একটি (জিডি-১০২১) দায়ের করলেও পুলিশ তদন্তে না গিয়ে উল্টো মামলা করার অভিযোগ করেন। আদালত ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা মামলা থেকে নিষ্পত্তি দেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসীরা।
মামলার বাদী জানান, অভিযুক্ত আসামিরা আমার বোনকে মারধর করেছে। ইতিপূর্বেও আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়েছে। তাই এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  কাউকে ফাঁসানোর ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই সাজিদ আহমেদ জানান,  মামলার তদন্ত চলমান অবস্থায় আছে, আপাতত কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে, তবে নিরাপরাধ কাউকে সাজা ভোগ করতে হবে না। একজন এসআই কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

শ্রীপুরে আইনজীবীর সাজানো মামলায় হয়রানির শিকার বাবা-ছেলেসহ পাঁচজন 

আপডেট টাইম : ০৯:০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১
এস এম জহিরুল ইসলাম, গাজীপুর
গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পশ্চিম খন্ড গ্রামের মৃত মাহমুদ হাসান বাচ্চুর ছেলে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও জজকোট গাজীপুরের অ্যাডভোকেট মোঃ ওয়াসিম খলিলের দায়ের করা শ্রীপুর থানায় ফৌজদারি মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। গত ২৩ এপ্রিল আইনজীবী বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় (মামলা-৫৭) করেন। এতে একই এলাকার বাবুল ও তার বাবা বৃদ্ধ রইছ উদ্দিন, কবির হোসেন, মোবারক হোসেন ও মনির হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে আইনজীবী উল্লেখ করেন আসামিদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছে। ওই জমিতে সংঘবদ্ধভাবে গাছ কর্তন করতে গেলে তার বড় বোন হাফিজা আক্তার লিলি বাধা দিলে উল্লেখিত আসামিরা মারধর করেন।
তবে অনুসন্ধানে জানা যায়, উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে কেউ মারামারি করেননি। ভুক্তভোগী হয়রানির শিকার আসামিদের মধ্যে একেকজন বিভিন্ন জায়গায় কাজে ব্যস্ত ছিল। মামলার এজাহারে যে সময় ও জায়গা নির্ধারণ করে বলা হয়েছে সে জায়গায় কেউ উপস্থিত ছিল না। আশেপাশের স্থানীয়রা বলছেন মিথ্যা ভিত্তিহীন মামলায় ভুক্তভোগীদের আসামি করে ফাঁসানো হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে কোন মারামারির ঘটনা ঘটেনি। হয়রানির উদ্দেশ্যে নিরীহ পরিবারকে মামলাা দেওয়া হয়েছে।
 
মামলার শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর পুলিশ তদন্ত এসেছে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরেছি আমাদের নামে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে, অথচ কি করে তদন্ত ছাড়াই একটি মামলা রেকর্ড হয়ে গেল আমরা বোধগম্য নয়। বাবুল মিয়া গত (২১ এপ্রিল) বাদীপক্ষ কোনো অঘটন ঘটিয়ে মিথ্যা মামলা ও জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে এই মর্মে শ্রীপুর থানায় একটি (জিডি-১০২১) দায়ের করলেও পুলিশ তদন্তে না গিয়ে উল্টো মামলা করার অভিযোগ করেন। আদালত ও প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা মামলা থেকে নিষ্পত্তি দেওয়ার দাবি জানান ভুক্তভোগী সহ এলাকাবাসীরা।
মামলার বাদী জানান, অভিযুক্ত আসামিরা আমার বোনকে মারধর করেছে। ইতিপূর্বেও আমাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়েছে। তাই এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।  কাউকে ফাঁসানোর ঘটনা তিনি অস্বীকার করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার এসআই সাজিদ আহমেদ জানান,  মামলার তদন্ত চলমান অবস্থায় আছে, আপাতত কোনো কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন জানান, সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হচ্ছে, তবে নিরাপরাধ কাউকে সাজা ভোগ করতে হবে না। একজন এসআই কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।