ঢাকা ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

মাধবপুরের সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!

সোহেল রানা, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে ঘুরে এসে
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান এলাকাবাসির কাছে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এক আতঙ্কের নাম। রাজনীতির পালা বদলের সাথে সাথে নিজের মুখোশ বদলাতে ভুল করেননি বিএনপির এই দাপুটে নেতা সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সুত্রে জানা যায় মাধবপুর উপজেলার বর্তমানে ১১নং বাঘা সুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ বিএনপির সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আরও জানা যায় সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান ধান্দাঁবাজ আদম ব্যাবসায়ী এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। বিএনপির দলীয় পরিচয় গোপন রেখে সরকারি দলের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথেই এলাকাতে চালিয়ে যাচ্ছে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম। ভুক্তভোগী এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন এলাকার সহজ সরল লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু নেতার নাম ভাংগিয়ে জায়গা দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যে এক বেলা খাবার খেতে পাইনি সে এখন কোটি টাকার মালিক। বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল জানান আমার পিতা একজন আওয়ামী লীগের নেতা এবং পারিবারিক সুত্রে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বিএনপির মনোনিত সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র প্রাথী নিয়ে ইলেকশন করে এবং মাধবপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সে কি করে আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেয় এবং বলে জায়গা কিনে ছিস আমার অনুমতি না নিয়ে এই সাহস তোকে কে দিয়েছে এই বলে সে আমার নিকট বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে ওই চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। এব্যাপারে আমি নিজে বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় লিখিত চাঁদাবাজির অভিযোগও করেছি। তবে যে জায়গা টি নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেদক চেয়ারম্যান সাহব উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান শেখ হেলাল সাহেবের বেয়াই এর জায়গা আমি দেখা শুনা করি তার এই কথায় এলাকাবাসী বলে তাহলে কি ধরে নিব আমাদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এখন কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন? আগে কি বিএনপির নেতা ছিলেন জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন আমি কোন দিন বি এনপি করিনাই আমি আওয়ামী লীগ থেকে টিকিট নিয়ে চেয়ারম্যান, তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী এখলাছুর রহমান জানান সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন কিন্তুু আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্ম কান্ডে সহযোগিতা করেছে এখন সে আওয়ামী লীগ করে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। সুত্রে আরো জানা যায় চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের প্রকৃত দেশের বাড়ি নোয়াখালীতে। তার বাবা মাধববপুর একটি মসজিদের ইমামতি করতেন। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় ছোটবেলা থেকেই সাহাব উদ্দিন এর সভাব চরিত্র ভালো ছিলনা এবং মসজিদের মাইক চুরির অপরাধে তার মাথার চুল কেটে দিয়ে ছিলো এলাকাবাসি ভাগ্যর নির্মম পরিহাষ এখন তিনি ওই মসজিদের সভপতি। চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার মামলায় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে একাধিক বার আটকও হয়েছেন। সৈয়দ জুয়েল এর নিকট চাঁদা দাবী ও প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেওয়াই মাধবপুর থানায় চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি তদন্ত আমিনুল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জুয়েল বাদী হয়ে, চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির করছেন। তবে জুয়েল এর সাথে সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের একটি জায়গা নিয়ে ঝামেলা আছে, আমরা অতি জরুরী বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। রাজনীতি রাজ্যর জন্য আর নেতা সাধারণ মানুষের দেখভাল করার জন্য। নেতা যদি নিজের স্বার্থে ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য মুখোশ পাল্টিয়ে নিজের আখের গোছানোর চেষ্টা করে তাহলে সাধারণ জনগন ও রাষ্ট্র কি পাইতে পারে সুবিধা বাদি এই নেতার নিকট থেকে? চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর কর্ম কান্ডে ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়ন বাসী আতঙ্কে দিন পার করেছ। কারণ অকারণে তার লাইসেন্স করা পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এলাকা বাসীর একটাই চাওয়া একজন জনপ্রতিনিধির এই সন্ত্রাসী আচরণ কর্ম র্কান্ড থেকে রেহাই পেতে চাই। চলবে……..।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

মাধবপুরের সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ!

আপডেট টাইম : ০২:৫১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মে ২০২১

সোহেল রানা, মাধবপুর (হবিগঞ্জ) থেকে ঘুরে এসে
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। বর্তমান এলাকাবাসির কাছে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এক আতঙ্কের নাম। রাজনীতির পালা বদলের সাথে সাথে নিজের মুখোশ বদলাতে ভুল করেননি বিএনপির এই দাপুটে নেতা সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে যোগ দেন আওয়ামী লীগে। সুত্রে জানা যায় মাধবপুর উপজেলার বর্তমানে ১১নং বাঘা সুরা ইউনিয়নের ক্ষমতাধর চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহাম্মদ বিএনপির সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। আরও জানা যায় সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান ধান্দাঁবাজ আদম ব্যাবসায়ী এবং মানব পাচারের সাথে জড়িত রয়েছে। বিএনপির দলীয় পরিচয় গোপন রেখে সরকারি দলের চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথেই এলাকাতে চালিয়ে যাচ্ছে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম। ভুক্তভোগী এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন এলাকার সহজ সরল লোকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কিছু নেতার নাম ভাংগিয়ে জায়গা দখল করে বিভিন্ন কোম্পানির কাছে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। যে এক বেলা খাবার খেতে পাইনি সে এখন কোটি টাকার মালিক। বঙ্গবন্ধু একাডেমির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জুয়েল জানান আমার পিতা একজন আওয়ামী লীগের নেতা এবং পারিবারিক সুত্রে আমার পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি কিন্তুু দুঃখের বিষয় হলো চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বিএনপির মনোনিত সাবেক চেয়ারম্যান ও ঘোড়া মার্কার স্বতন্ত্র প্রাথী নিয়ে ইলেকশন করে এবং মাধবপুর থানা বিএনপির সহ-সভাপতি সে কি করে আওয়ামীলীগের দলীয় চেয়ারম্যান পরিচয় দিয়ে আমাকে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেয় এবং বলে জায়গা কিনে ছিস আমার অনুমতি না নিয়ে এই সাহস তোকে কে দিয়েছে এই বলে সে আমার নিকট বিশ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে ওই চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। এব্যাপারে আমি নিজে বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় লিখিত চাঁদাবাজির অভিযোগও করেছি। তবে যে জায়গা টি নিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে, প্রতিবেদক চেয়ারম্যান সাহব উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান শেখ হেলাল সাহেবের বেয়াই এর জায়গা আমি দেখা শুনা করি তার এই কথায় এলাকাবাসী বলে তাহলে কি ধরে নিব আমাদের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এখন কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন? আগে কি বিএনপির নেতা ছিলেন জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন বলেন আমি কোন দিন বি এনপি করিনাই আমি আওয়ামী লীগ থেকে টিকিট নিয়ে চেয়ারম্যান, তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী এখলাছুর রহমান জানান সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যান বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন কিন্তুু আওয়ামীলীগের বিভিন্ন কর্ম কান্ডে সহযোগিতা করেছে এখন সে আওয়ামী লীগ করে চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন আহমদ। সুত্রে আরো জানা যায় চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিনের প্রকৃত দেশের বাড়ি নোয়াখালীতে। তার বাবা মাধববপুর একটি মসজিদের ইমামতি করতেন। তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় ছোটবেলা থেকেই সাহাব উদ্দিন এর সভাব চরিত্র ভালো ছিলনা এবং মসজিদের মাইক চুরির অপরাধে তার মাথার চুল কেটে দিয়ে ছিলো এলাকাবাসি ভাগ্যর নির্মম পরিহাষ এখন তিনি ওই মসজিদের সভপতি। চাঁদাবাজি ও মানব পাঁচার মামলায় র‌্যাব ও পুলিশের হাতে একাধিক বার আটকও হয়েছেন। সৈয়দ জুয়েল এর নিকট চাঁদা দাবী ও প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দেওয়াই মাধবপুর থানায় চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে মাধবপুর থানার ওসি তদন্ত আমিনুল এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান জুয়েল বাদী হয়ে, চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজির করছেন। তবে জুয়েল এর সাথে সাহাব উদ্দিন চেয়ারম্যানের একটি জায়গা নিয়ে ঝামেলা আছে, আমরা অতি জরুরী বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। রাজনীতি রাজ্যর জন্য আর নেতা সাধারণ মানুষের দেখভাল করার জন্য। নেতা যদি নিজের স্বার্থে ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য মুখোশ পাল্টিয়ে নিজের আখের গোছানোর চেষ্টা করে তাহলে সাধারণ জনগন ও রাষ্ট্র কি পাইতে পারে সুবিধা বাদি এই নেতার নিকট থেকে? চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন এর কর্ম কান্ডে ১১নং বাঘাসুরা ইউনিয়ন বাসী আতঙ্কে দিন পার করেছ। কারণ অকারণে তার লাইসেন্স করা পিস্তল দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। এলাকা বাসীর একটাই চাওয়া একজন জনপ্রতিনিধির এই সন্ত্রাসী আচরণ কর্ম র্কান্ড থেকে রেহাই পেতে চাই। চলবে……..।