ইসমাইল হোসেন সৌরভ
করোনা মহামারীর এই লকডাউনে অনেকেই ঘড় থেকে বের হতে না পেরে অনলাইনে শপ গুলোতে অর্ডার করে থাকেন।কিন্তু এই মহামারি লগ্নে কিছু অনলাইন শপ কাস্টমারদের এই দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে প্রতারনা করছে।তার মধ্য অন্যতম। #falguni_shop. Room#607/A, BNS center 5th floor, section #7 Uttara Dhaka 1230. গত ২৭তারিখে তাদের পেইজে ৩০কেজি চাল এবং ৩০কেজি লবনের অফার দেখে তাদের পেজে ম্যাসেজ দিতেই রিপ্লে আসে। ফোন নাম্বার চাইলে দেবার কিছুক্ষন পর একজন প্রতিনিধি যার নাম্বার 01922779913 ,01880121212 নাম্বার থেকে কল দিয়ে ডিটেইলস বলে এবং 01880141414 এই নাম্বারে পেমেন্ট করতে বলে।বিকাশে ১২১৯টাকা খরচ সহ পেমেন্ট করলে ৩দিনের মধ্য পাবে বলে আশ্বাস দেয়। সুন্দরবন কুরিয়ার থেকে কল পেয়ে গিয়ে দেখেন শুধু মাত্র মোল্লা সল্টের ২৫টা প্যাক বস্তায় করে পাঠিয়েছে যার মুল্য আনুমানিক ৫৫০ টাকা। কিন্ত কোন চাল পাঠায় নি।পরে তাদের নাম্বার গুলোতে কল দিলে বিভিন্ন বাহানা দেয়। ফোন দিলে আর কেউ ধরেনা,ফেসবুক পেজে ব্লক দিয়েছে।অনেক পরে একজন কল ধরে বলে ইমেইল করেন ৭২ঘন্টার মধ্য বাকি টাকা আপনার বিকাশে ফেরত দেওয়া হবে।এইসব কেমন প্রতারনা?? ফাল্গুনি শপের ফান্দে প্রতারণার স্বীকার শতাধিক অভিযোগ আসে দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিনিধির কাছে।এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার জোর দাবি করছেন প্রতারিত হওয়া ভুক্তভোগিরা।মোবাইল বিক্রির ফাঁদ পেতে করছে সাগর চুরির মতো প্রতারণা। অর্ডার করা জিনিস না দিয়ে অন্য নিন্মমানের জিনিস কম পরিমানে দেয় তারা। তাদের ওয়েবসাইট ফেইসবুক পেইজ বেশ কিছু নাম্বার সব আকটিভ। পরে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার সাথে কথা বললে তিনি প্রাথমিক অবস্থায় সত্যতা স্বীকার করেন। এখন করনীয় কি হতে পারে? হাজারো মানুষ এদের প্রতারনার শিকার হয়েছে। একজন ভুক্তভোগি খবর বাংলাদেশ কে বলেন ফেসবুকে একটা গ্রুপ খোলা হয়েছে যারা যারা প্রতারিত হয়েছে।এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন থেকেই ব্যাবস্থা নেওয়া দরকার।আমার কাছে তাদের সব কথোপকথন রেকর্ড আছে।।সাধারন মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে দিনের পর দিন প্রতারিত করে আসছে এ প্রতিষ্ঠানটি।প্রতারণার ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।এ ছাড়াও নিন্ম মানের প্রডাক্টস বিক্রি করে ব্রান্ডের নাম ভাঙ্গাগিয়ে খাচ্ছে তারা।এমন প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি করছেন ভুক্তভোগিরা।একই সাথে তাদের পাওনা পরিশোধ করারও ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান।