ঢাকা ০২:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৭ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রী দিয়ে জীবিকা নির্বাহ

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

প্লাস্টিক কিংবা সিলভার পণ্যের কাছে হার না মানা বাঁশের কারিগর নবীর হোসেন। বাঙালীর পুরোনো ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে এখনো তৈরি করছে বাঁশের পণ্যসামগ্রী। আর এসব পণ্য বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ তার। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক জামালপুর (ফারাজিপাড়া) গ্রামের নবীর হোসেন বাড়ির উঠানে আপন খেয়ালে আর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করছিলেন বাঁশের পণ্য। সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক জামালপুর (ফারাজিপাড়া) গ্রামের ফজল উদ্দিনের ছেলে নবীর হোসেন ২৫ বছর আগে অভাব অনটনের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে বাঁশ শিল্পের কাজ শিখেন। তখন থেকেই বাঁশের পণ্যসামগ্রী তৈরি করে এবং তা হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসারে হাল ধরেন। তৈরি করেন ডালি, কুলা, ঢাকি, পলো, ঢালা, চালুন, ঝুঁড়ি, চাটাই, খোঁচা, দারকি, খলই, ডুলি নান ধরণের জিনিসপত্র। ওই সময় এসব পণ্যের কদর ছিল অনেক। যার ফলে সেগুলো বিক্রি করে ভালোভাবেই সংসার চলছিল নবীর হোসেনের। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই সব পণ্যসামগ্রীর চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বাশেঁর পণ্যের স্থানে প্লাস্টিক ও সিলভারের পণ্যের ব্যবহার বেড়ে যায়। তবুও মনোবল হারায়নি নবীর হোসেন। হারাতে দেবেন না গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। এ পেশা দিয়েই সংসার চালাবেন, এমন দৃঢ় মনোবল নিয়ে এখনো তৈরি করছেন বাঁশের পণ্যসামগ্রী। এ দিয়েই সংসার চলছে তার। বাঁশশিল্পের কারিগর নবীর হোসেন বলেন, বাঁশের পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া আশপাশের অনেক পরিবারে এ পেশাটি ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বাঁশ সংগ্রহ করে এবং তা দিয়ে তৈরিকৃত পণ্য হাট-বাজার-গ্রামে গিয়ে বিক্রি করছে। নবীর হোসেন বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পকে ধরে রাখা সম্ভব। গ্রামীন নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

বাঁশের তৈরি পণ্যসামগ্রী দিয়ে জীবিকা নির্বাহ

আপডেট টাইম : ১০:৩৫:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ মে ২০২১

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি

প্লাস্টিক কিংবা সিলভার পণ্যের কাছে হার না মানা বাঁশের কারিগর নবীর হোসেন। বাঙালীর পুরোনো ঐতিহ্যকে আঁকড়ে ধরে এখনো তৈরি করছে বাঁশের পণ্যসামগ্রী। আর এসব পণ্য বিক্রি করেই জীবিকা নির্বাহ তার। গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক জামালপুর (ফারাজিপাড়া) গ্রামের নবীর হোসেন বাড়ির উঠানে আপন খেয়ালে আর নিপুন হাতের ছোঁয়ায় তৈরি করছিলেন বাঁশের পণ্য। সাদুল্লাপুর উপজেলার বুজরুক জামালপুর (ফারাজিপাড়া) গ্রামের ফজল উদ্দিনের ছেলে নবীর হোসেন ২৫ বছর আগে অভাব অনটনের সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরে আনতে বাঁশ শিল্পের কাজ শিখেন। তখন থেকেই বাঁশের পণ্যসামগ্রী তৈরি করে এবং তা হাট-বাজারে বিক্রি করে সংসারে হাল ধরেন। তৈরি করেন ডালি, কুলা, ঢাকি, পলো, ঢালা, চালুন, ঝুঁড়ি, চাটাই, খোঁচা, দারকি, খলই, ডুলি নান ধরণের জিনিসপত্র। ওই সময় এসব পণ্যের কদর ছিল অনেক। যার ফলে সেগুলো বিক্রি করে ভালোভাবেই সংসার চলছিল নবীর হোসেনের। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় এই সব পণ্যসামগ্রীর চাহিদা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। বাশেঁর পণ্যের স্থানে প্লাস্টিক ও সিলভারের পণ্যের ব্যবহার বেড়ে যায়। তবুও মনোবল হারায়নি নবীর হোসেন। হারাতে দেবেন না গ্রামবাংলার ঐতিহ্য। এ পেশা দিয়েই সংসার চালাবেন, এমন দৃঢ় মনোবল নিয়ে এখনো তৈরি করছেন বাঁশের পণ্যসামগ্রী। এ দিয়েই সংসার চলছে তার। বাঁশশিল্পের কারিগর নবীর হোসেন বলেন, বাঁশের পণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া আশপাশের অনেক পরিবারে এ পেশাটি ছেড়ে দিয়েছে। তিনি বাঁশ সংগ্রহ করে এবং তা দিয়ে তৈরিকৃত পণ্য হাট-বাজার-গ্রামে গিয়ে বিক্রি করছে। নবীর হোসেন বলেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এ শিল্পকে ধরে রাখা সম্ভব। গ্রামীন নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে।