ঢাকা ১১:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন নাগরিক জীবন’র সব ক্ষেত্রেই রয়েছে পুলিশের অবস্থান- ডিএমপি কমিশনার স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্বামীর পরিবারের ৭ জনকে পিটিয়ে আহত পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! একসঙ্গে ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ- স্পীকার

পিডিবিএফের শীর্ষ দূর্নীতিবাজ শাহেদুরের দূর্নীতি দেখার কেউ নেই!

শরিফুল ইসলাম রনি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে গড়া ১৯৯৯ সালের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে গঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি পিডিবিএফ কর্তৃক কিছু কর্মকর্তার সিন্ডিকেটের নিকটে প্রতিষ্ঠানটি জিম্মি হয়ে এই এর সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের নানান অপরাধ দূর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্তে কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু অদৃশ্য কারণে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না ওরা বহাল তবিয়তে থেকে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে বিস্তার করে ইচ্ছেমত করে যাচ্ছে দূর্নীতি। তার মধ্যে পিডিবিএফ এর যুগ্মপরিচালক(এইচআরএম) মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার জনাব শাহেদুর রহমানের বিভিন্ন দূর্নীতি প্রমানিত হয়েছে। তিনি অঞ্চলে চুক্তি ভিত্তিক দৈনিক ভিত্তিক কর্মী নিয়োগের সময় বাধ্যতা মূলক ভাবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখা হতে একজন প্রতিনিধি প্রেরন করার কথা থাকলেও শাহেদুর রহমান খান পরীক্ষার সময় কোন প্রতিনিধি প্রেরন করেননি। প্রতিটি অঞ্চলে শাহেদুর রহমান খান ও পরিচালক সোলায়মান মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখা হতে প্রতিনিধি প্রেরন না করে সুকৌশলে অর্থের বিনিময়ে তাদের নিজেদের লোক নিয়োগ দিতে ডিডিদের বাধ্য করান।
(১) আর্থিক সুবিধা গ্রহন করে অনৈতিক ভাবে বিভাগীয় মামলায় প্রদত্তসাজা মওকুফ করে স্বপদে পুন:বহাল :
জনাব শাহসুলতান আহম্মেদ (পরিচিতি ০২৫৯১) ওসমানী নগর কার্যালয়, সিলেট অঞ্চলে ইউডিবিও হিসাবে কর্মরত থাকা কালীন বিভিন্ন ধরনের ৬টি অভিযোগের বিষয়ে মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৭৮ টাকা অর্থ আত্বসাতের কারণে তদন্ত ওবিভাগীয় মামলার মাধ্যমে ৬টিই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে ২৪/০৯/২০১৯ইং তারিখ চাকুরী হতে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। যা শাহসুলতান আহম্মেদ কয়েক ধাপে সমূদয় টাকা জমা করেন এবং চূড়ান্ত রায়ে জনাব মো: শাহসুলতানকে তার মূল পদবী এডিবিও থেকে নিম্নপদে অবনত করণ এবং বেতন ক্রমের সব নিম্ন ধাপে নামিয়ে তার মামলাটি নিস্পত্তি করা হয়। পরবর্তীতে শাহসুলতান মানব সম্পদ ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক জনাব মো: সোলায়মান এবং শাহেদ খানের সহযোগীতায় অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক উপায়ে বিগত ২৮/০১/২০২০ইং তারিখে মামলাটি বেতন ক্রমের সর্বনিম্ন ধাপের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ধাপ দিয়ে মামলাটি নিস্পত্তি করান।
(২) পিডিবিএফ সম্প্রসারন প্রকল্প এবং হাজামজা প্রকল্পে ডিপিডি থাকা কালীন সময়ে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়ম:
শাহেদুর রহমান খান পিডিবিএফের সম্প্রসারন প্রকল্প এবং হাজামজা প্রকল্পে উপপ্রকল্প পরিচালক পদে কর্মকালীন সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। তার অনিয়মের টাকা হিসাব কর্মকর্তা জনাব সঞ্চয় বসাক এর সোনালী ব্যাংক শাখার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করেছেন। সরকারী প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতির কারণে পিডি হিসাবে উক্ত দুই প্রকল্পের আমিনুল ইসলামের নামে মন্ত্রণালয় তদন্তে শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হলেও উক্ত সময়ে শাহেদুর রহমান খান সম্প্রসারন প্রকল্প এবং হাজামজা প্রকল্পে ডিপিডি হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। দুর্নীতির টাকা দিয়ে তিনি সঞ্চয়পত্র কেনাসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় কোটি টাকা জমা করেছেন।
(৩) অর্থেও বিনিময়ে অবৈধ ভাবেই নক্রিমেন্ট প্রদান:
কোন কর্মকতা/ কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ১ বছর না হলে বার্ষিক বর্ধিত বেতন দেয়ার বিধান না থাকলেও মো: শাহেদুর রহমান খান মাগুরা এবং ফরিদপুর অঞ্চেলে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারীদের এক বছর পূর্তি না হতেই অর্থ বিনিময়ে অসৎ উদ্দেশ্যে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করেছেন, যা অভ্যন্তরীণ অডিটে আপত্তিকরা হয়েছে
(৪) ফরিদপুর অঞ্চলে চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকার অনিয়ম :
শাহেদুর রহমান খান ফরিদপুর অঞ্চলে চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগে তার নিয়োজিত লোকদের বিশেষ করে ফরিদপুর অঞ্চলের ডিডি এর মাধ্যমে ১২জন প্রার্থীর নিকট হতে ২লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়ে নিয়োগে সহায়তা প্রদান করেছেন।
(৫) উদ্দেশ্যে মূলক ভাবে প্রাক্তন উপ-পরিচালক বেগম লতিফা বানু চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধে বাধা সৃষ্টি করা :
শাহেদুর রহমান খান কর্তৃক প্রাক্তন উপ-পরিচালক বেগম লতিফা বানু এর (চাকুরী হতে ২ বছর পূর্বে অবসরে) তার পাওনা পরিশোধে অহেতুক বাধা ও বিড়ম্বনার সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইতো পূর্বে ফাপাড অডিট আপত্তি থাকার পর ও অন্যান্য কর্মকতারা তাদের পাওনা নিয়ে চলে গেছেন, লতিফা বানু এর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন? কারন একটা ইফাপাড অডিটে পরিচালক মুহিউদ্দিন পান্নু ও শহীদূল হক খানসহ অনেকের নাম আছে, তাদেরকে কিভাবে আটকানো যায় তার একটা নীল নকশা হিসাবে লতিফা বানু ফাইল আটকানো হয়েছে। অথচ বিষয়টি কোন ব্যক্তির নয়, এটা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা। যা প্রতিষ্ঠান কতৃক সমাধান যোগ্য। তাই অনুরোধ বেগম লতিফা বানুর পাওনা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করে, অসৎকর্মকর্তা শাহেদের বিরুদ্ধে তড়িৎ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন বেগম লতিফা বানু।
(৬) ঘুষের জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ দিতে না পারায় সোলার কর্মীদের নিয়মিত করার ব্যবস্থানা করা:
শাহেদ খান পিডিবিএফ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত থাকার পর ও সোলারকর্মীদে নিয়মিত করার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তিনি সোলারের ১২০জন কর্মীকে নিয়মিত করার জন্য সোলার কর্মী মোঃ সুমন ও মোঃ শামীম আহসানকে এক কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব ও চাপ দেন। তারা দিতে অসামর্থ্য হলে অদ্যাবধি তাদেরকে বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়মিত করা হচ্ছেনা এবং কতৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করেন।
(৭) ঢাকা অঞ্চলে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগে সহযোগীতা :
ঢাকা অঞ্চলে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সময় মো: শাহেদুর রহমান খান যুগ্ম পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তার সময়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি উপ-পরিচালক ঢাকাকে নিষেধ করেননি। তিনি পূবের্র অনুমোদনপত্র বাতিল না উল্টো ঢাকা ডিডিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে ছিলেন। ফলে ঢাকা অঞ্চলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়, যার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
(৮) বার্তা বাহককে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা:
মো: শাহেদুর রহামান খান অবিবাহিত এবং সমকামী ব্যক্তি। বিয়ে করার মতো তার শারিরীক যোগ্যতা না থাকায় তিনি তার বাসার কাজের জন্য সব সময় একজন অফিসের বার্তা বাহককে তার সংগে সার্বক্ষনিক রাখেন। তার দ্বারা তিনি রান্নাবান্নাসহ ব্যক্তিগত সব কাজ করান, যা অমানবিক। তার যদি কাজের লোকের প্রয়োজন হয়, সে অন্যকোন স্থান থেকে সংগ্রহ করতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অর্থে এভাবে অফিসের কর্মচারীকে বাসার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা কোন ভাবেই সমীচিন হয়। এভাবেই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার কওে যাচ্ছেন। শাহেদুর রহমানের মতো লেবাশধারী, অসৎ ও দুর্নীতিপরায়ন জঘন্য ব্যক্তিকে পুনরায় মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখায় যুগ্ম পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব দেয়া প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীরা হতাশ ও হতবাক হয়েছেন।
সুতরাং পিডিবিএফ এর সকল কর্মীর আশা ভরসার স্থল মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ করছেন,পিডিবিএফ এর সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি মূক্ত পিডিবিএফ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি পরায়ন, অসৎ ও নীতিভ্রষ্ঠ অসাধু কর্মকতা জনাব মো: শাহেদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

ট্যাগস

সিরাজদিখান রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

পিডিবিএফের শীর্ষ দূর্নীতিবাজ শাহেদুরের দূর্নীতি দেখার কেউ নেই!

আপডেট টাইম : ০১:২৬:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১

শরিফুল ইসলাম রনি
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাতে গড়া ১৯৯৯ সালের দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে গঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি পিডিবিএফ কর্তৃক কিছু কর্মকর্তার সিন্ডিকেটের নিকটে প্রতিষ্ঠানটি জিম্মি হয়ে এই এর সাথে জড়িত কর্মকর্তাদের নানান অপরাধ দূর্নীতি ও আর্থিক অনিয়মের প্রতিবেদন বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এবং মন্ত্রণালয় কর্তৃক তদন্তে কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়ম প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে কিন্তু অদৃশ্য কারণে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না ওরা বহাল তবিয়তে থেকে বিভিন্ন প্রভাব খাটিয়ে বিস্তার করে ইচ্ছেমত করে যাচ্ছে দূর্নীতি। তার মধ্যে পিডিবিএফ এর যুগ্মপরিচালক(এইচআরএম) মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখার জনাব শাহেদুর রহমানের বিভিন্ন দূর্নীতি প্রমানিত হয়েছে। তিনি অঞ্চলে চুক্তি ভিত্তিক দৈনিক ভিত্তিক কর্মী নিয়োগের সময় বাধ্যতা মূলক ভাবে মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখা হতে একজন প্রতিনিধি প্রেরন করার কথা থাকলেও শাহেদুর রহমান খান পরীক্ষার সময় কোন প্রতিনিধি প্রেরন করেননি। প্রতিটি অঞ্চলে শাহেদুর রহমান খান ও পরিচালক সোলায়মান মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখা হতে প্রতিনিধি প্রেরন না করে সুকৌশলে অর্থের বিনিময়ে তাদের নিজেদের লোক নিয়োগ দিতে ডিডিদের বাধ্য করান।
(১) আর্থিক সুবিধা গ্রহন করে অনৈতিক ভাবে বিভাগীয় মামলায় প্রদত্তসাজা মওকুফ করে স্বপদে পুন:বহাল :
জনাব শাহসুলতান আহম্মেদ (পরিচিতি ০২৫৯১) ওসমানী নগর কার্যালয়, সিলেট অঞ্চলে ইউডিবিও হিসাবে কর্মরত থাকা কালীন বিভিন্ন ধরনের ৬টি অভিযোগের বিষয়ে মোট ৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৭৮ টাকা অর্থ আত্বসাতের কারণে তদন্ত ওবিভাগীয় মামলার মাধ্যমে ৬টিই সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে ২৪/০৯/২০১৯ইং তারিখ চাকুরী হতে শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। যা শাহসুলতান আহম্মেদ কয়েক ধাপে সমূদয় টাকা জমা করেন এবং চূড়ান্ত রায়ে জনাব মো: শাহসুলতানকে তার মূল পদবী এডিবিও থেকে নিম্নপদে অবনত করণ এবং বেতন ক্রমের সব নিম্ন ধাপে নামিয়ে তার মামলাটি নিস্পত্তি করা হয়। পরবর্তীতে শাহসুলতান মানব সম্পদ ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক জনাব মো: সোলায়মান এবং শাহেদ খানের সহযোগীতায় অর্থের বিনিময়ে অনৈতিক উপায়ে বিগত ২৮/০১/২০২০ইং তারিখে মামলাটি বেতন ক্রমের সর্বনিম্ন ধাপের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ধাপ দিয়ে মামলাটি নিস্পত্তি করান।
(২) পিডিবিএফ সম্প্রসারন প্রকল্প এবং হাজামজা প্রকল্পে ডিপিডি থাকা কালীন সময়ে দুর্নীতি ও আর্থিক অনিয়ম:
শাহেদুর রহমান খান পিডিবিএফের সম্প্রসারন প্রকল্প এবং হাজামজা প্রকল্পে উপপ্রকল্প পরিচালক পদে কর্মকালীন সময়ে লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে টাকা আত্মসাত করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। তার অনিয়মের টাকা হিসাব কর্মকর্তা জনাব সঞ্চয় বসাক এর সোনালী ব্যাংক শাখার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করেছেন। সরকারী প্রকল্পের অর্থ আত্মসাত ও দুর্নীতির কারণে পিডি হিসাবে উক্ত দুই প্রকল্পের আমিনুল ইসলামের নামে মন্ত্রণালয় তদন্তে শাস্তি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু হলেও উক্ত সময়ে শাহেদুর রহমান খান সম্প্রসারন প্রকল্প এবং হাজামজা প্রকল্পে ডিপিডি হলেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। দুর্নীতির টাকা দিয়ে তিনি সঞ্চয়পত্র কেনাসহ বিভিন্ন ব্যাংকে প্রায় কোটি টাকা জমা করেছেন।
(৩) অর্থেও বিনিময়ে অবৈধ ভাবেই নক্রিমেন্ট প্রদান:
কোন কর্মকতা/ কর্মচারীর চাকরির মেয়াদ ১ বছর না হলে বার্ষিক বর্ধিত বেতন দেয়ার বিধান না থাকলেও মো: শাহেদুর রহমান খান মাগুরা এবং ফরিদপুর অঞ্চেলে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারীদের এক বছর পূর্তি না হতেই অর্থ বিনিময়ে অসৎ উদ্দেশ্যে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট প্রদান করেছেন, যা অভ্যন্তরীণ অডিটে আপত্তিকরা হয়েছে
(৪) ফরিদপুর অঞ্চলে চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগে লক্ষ লক্ষ টাকার অনিয়ম :
শাহেদুর রহমান খান ফরিদপুর অঞ্চলে চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগে তার নিয়োজিত লোকদের বিশেষ করে ফরিদপুর অঞ্চলের ডিডি এর মাধ্যমে ১২জন প্রার্থীর নিকট হতে ২লক্ষ টাকা করে ঘুষ নিয়ে নিয়োগে সহায়তা প্রদান করেছেন।
(৫) উদ্দেশ্যে মূলক ভাবে প্রাক্তন উপ-পরিচালক বেগম লতিফা বানু চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধে বাধা সৃষ্টি করা :
শাহেদুর রহমান খান কর্তৃক প্রাক্তন উপ-পরিচালক বেগম লতিফা বানু এর (চাকুরী হতে ২ বছর পূর্বে অবসরে) তার পাওনা পরিশোধে অহেতুক বাধা ও বিড়ম্বনার সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইতো পূর্বে ফাপাড অডিট আপত্তি থাকার পর ও অন্যান্য কর্মকতারা তাদের পাওনা নিয়ে চলে গেছেন, লতিফা বানু এর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন? কারন একটা ইফাপাড অডিটে পরিচালক মুহিউদ্দিন পান্নু ও শহীদূল হক খানসহ অনেকের নাম আছে, তাদেরকে কিভাবে আটকানো যায় তার একটা নীল নকশা হিসাবে লতিফা বানু ফাইল আটকানো হয়েছে। অথচ বিষয়টি কোন ব্যক্তির নয়, এটা প্রতিষ্ঠানের সমস্যা। যা প্রতিষ্ঠান কতৃক সমাধান যোগ্য। তাই অনুরোধ বেগম লতিফা বানুর পাওনা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা করে, অসৎকর্মকর্তা শাহেদের বিরুদ্ধে তড়িৎ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ করেন বেগম লতিফা বানু।
(৬) ঘুষের জন্য প্রস্তাবকৃত অর্থ দিতে না পারায় সোলার কর্মীদের নিয়মিত করার ব্যবস্থানা করা:
শাহেদ খান পিডিবিএফ বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত থাকার পর ও সোলারকর্মীদে নিয়মিত করার ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। তিনি সোলারের ১২০জন কর্মীকে নিয়মিত করার জন্য সোলার কর্মী মোঃ সুমন ও মোঃ শামীম আহসানকে এক কোটি টাকা দেয়ার প্রস্তাব ও চাপ দেন। তারা দিতে অসামর্থ্য হলে অদ্যাবধি তাদেরকে বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নিয়মিত করা হচ্ছেনা এবং কতৃপক্ষকে ভুল বুঝিয়ে নানা অজুহাতে কালক্ষেপন করেন।
(৭) ঢাকা অঞ্চলে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগে সহযোগীতা :
ঢাকা অঞ্চলে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার সময় মো: শাহেদুর রহমান খান যুগ্ম পরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। তার সময়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি উপ-পরিচালক ঢাকাকে নিষেধ করেননি। তিনি পূবের্র অনুমোদনপত্র বাতিল না উল্টো ঢাকা ডিডিকে নিয়োগের ক্ষেত্রে উৎসাহিত করে ছিলেন। ফলে ঢাকা অঞ্চলে নিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়, যার দায় তিনি এড়াতে পারেন না। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ও মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
(৮) বার্তা বাহককে ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা:
মো: শাহেদুর রহামান খান অবিবাহিত এবং সমকামী ব্যক্তি। বিয়ে করার মতো তার শারিরীক যোগ্যতা না থাকায় তিনি তার বাসার কাজের জন্য সব সময় একজন অফিসের বার্তা বাহককে তার সংগে সার্বক্ষনিক রাখেন। তার দ্বারা তিনি রান্নাবান্নাসহ ব্যক্তিগত সব কাজ করান, যা অমানবিক। তার যদি কাজের লোকের প্রয়োজন হয়, সে অন্যকোন স্থান থেকে সংগ্রহ করতে পারে, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের অর্থে এভাবে অফিসের কর্মচারীকে বাসার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা কোন ভাবেই সমীচিন হয়। এভাবেই তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার কওে যাচ্ছেন। শাহেদুর রহমানের মতো লেবাশধারী, অসৎ ও দুর্নীতিপরায়ন জঘন্য ব্যক্তিকে পুনরায় মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখায় যুগ্ম পরিচালক হিসাবে দায়িত্ব দেয়া প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মীরা হতাশ ও হতবাক হয়েছেন।
সুতরাং পিডিবিএফ এর সকল কর্মীর আশা ভরসার স্থল মাননীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহোদয়ের কাছে বিনীত অনুরোধ করছেন,পিডিবিএফ এর সার্বিক কার্যক্রমে গতিশীলতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি মূক্ত পিডিবিএফ গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতি পরায়ন, অসৎ ও নীতিভ্রষ্ঠ অসাধু কর্মকতা জনাব মো: শাহেদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে আইনানুগ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।