সোমবার, ১৫ অগাস্ট ২০২২, ০৩:২২ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ->>
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার আধুনগর সিপাহীর পাড়ার মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মোহাম্মদ আবুল কাশেম। কয়েক বৎসর পুর্বেও যার চাকরী বা ব্যবসা কিছুই ছিলনা।
গত কয়েক বৎসরে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলীয় প্রভাবশালী কিছূ নেতার নাম ব্যবহার করে জাবের-জুবাইয়ের ফ্রেব্রিক্স,নাইস ডেনিম,নোমান টেরি টাওয়েল,নাইস ফ্রেব্রিক্স ,সাদ টেক্সটাইল,নোমান টেক্সটাইল এবং রাজধানীর গুলশানে নুরুল ইসলাম হাউসসহ আরো অনেকগুলো প্রতিষ্ঠানের মালিক বনে হেছেন।
আর এ সব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে সোনালী ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক,অগ্রনী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক,বেসিক ব্যাংকের হেড অফিসের ম্যানেজারদের সাথে জোগসাজশের মাধ্যমে অবৈধভাবে মোটা অংকের কমিশনের বিনিময়ে, নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের বিভিন্ন কৌশলে তথ্য গোপনের মাধ্যমে নোমান গ্রুপের একই জায়গা এবং একই শিল্প প্রতিষ্টানের নামে উপরে উল্লেখিত সরকারি ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋন নিয়েছেন।
যা বাংলাদেশ সরকারের অর্থনীতিতে মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। এছাড়াও নোমান গ্রুপের আরো অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেসরকারি ব্যাংক থেকেও জালিয়াতি ও তথ্য গোপনের মাধ্যমেও হাজার কোটি টাকা ঋন নেন, যা প্রতিষ্টানের মুল্য থেকে অনেক গুন বেশি।
যে কোন সময় নোমান গ্রুপ দেউলিয়া ঘোষিত হইলে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক বন্ধ হওয়ার উপক্রম হবে বলে আশংকা করা হচ্ছে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,কাসেমের সাথে রাকিব নামে এক লোক যোগ হয়ে সেও এই ব্যাংক দুর্নীতির অনিয়মে রাতারাতি বড়লোক হয়ে অনেক টাকা পয়সা গাড়ী বাড়ীর মালিক হয়েছেন।
অন্যদিকে কাশেম এই ব্যাংক গুলোর মোটা অংকের কমিশনের দুর্নীতি ও অন্যান্য চাঁদাবাজীসহ আরো অনেক অনিয়মের টাকায় রহস্যজনকভাবে রাতারাতি আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়ে শত শত কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
এখন তিনি কাসেম থেকে আবুল কাসেম চৌধুরী বলে নিজেকে পরিচয় দেন। অথচ তিনি বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের কোন পদ পদবীতে নেই। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার রুপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া মার্কেটে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ১০/১২ টা দোকান এর মালিক,যার অনুমানিক মুল্যকোটি কোটি টাকা। গুলিস্তান ফুলবাড়িয়া জাকির সুপার মার্কেট ও ফুলবাড়িয়া সিটি সুপার মার্কেটে দোকান,যার অনুমানিক মুল্য ২কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
ধানমন্ডিতে কলাবাগান (মামা হালিমের পাশে) অত্যাধুনিক বিশাল ফ্ল্যাট যার অনুমানিক মুল্য ২ কোটি টাকার উপরে। বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ষ্টেশনে অবস্থিত রয়েল টেক্সটাইল লিমিটেডতার। হঠাৎ সে প্রতিষ্ঠানে কোটি কোটি টাকার অত্যাধুনিক মেশিন এবং সেখানে বিশাল ৪ তলা বিশিষ্ট নব নির্মিত অত্যাধুনিক দুটি মার্কেট।
রয়েল মার্কেট ও কাসেম শপিং কমপ্লেক্স। বিশাল গরুর ফার্মসহ সব মিলিয়ে যার অনুমানিক মুল্য শতকোটি টাকার উপরে। তিনি লেন্ড ক্রুজার প্রাডু ও রাড়ু সহ বিভিন্ন নতুন মড়েলের নিত্য-নতুন গাড়ি নিয়ে চলা-ফেরা করেন।
নিজ গ্রামে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় আধুনগর সিপাহীর পাড়ায় লোক দেখানো অনেক অর্থ খরচের মাধ্যমে বিরাট মাদ্রসা ও বাড়ী নির্মান কাজ চলমানসহ আরো নামে বেনামে স্ত্রী,ছেলে,মেয়ের নামে অনেক অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক ব্যালেন্স রয়েছে ।
যার কোন হিসাবনেই বলে জানা যায়। কাসেমের অবৈধ এই কর্ম কান্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জাতীয় প্রত্রিকায় ও অনলাইনে নিউজ পোর্টালে সংবাদ প্রচার হওয়ার পরেও দুর্নীত দমন কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে দুদকে লিখিত অভিযোগদেওয়ার পরও দুদক কেন নিরবতা পালন করছে সেটাই কারো বোধগম্য নয়।
Leave a Reply