ঢাকা ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোট দেননি যেসব শীর্ষ তারকা, কে কত ভোট পেয়েছেন

বিনোদন ডেস্ক

২০২২-২৪ মেয়াদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪২৮। তবে ব্যালটবাক্সে ভোট জমা পড়েছে ৩৬৫টি। মোট ভোট পড়েছে ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এরমধ্যে কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে বাতিল হয়েছে ১০টি ভোট৷ আর সম্পাদকীয়তে বাতিল হয়েছে ২৬টি ভোট৷ এ হিসেবে ভোট দেননি ২৭ জন অভিনয়শিল্পী।

কে কে ভোট দেনটি সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন জানিয়েছেন, বাপ্পারাজ, শাকিব খান, আরিফিন শুভ, অনন্ত জলিল, বর্ষা, পপি, মাহিয়া মাহি, পরীমনি, নুসরাত ফারিয়া।

অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে এফডিসিতেই আসেননি এসব শীর্ষ তারকা। শাকিব খান ও পরীমনির বিষয়টি সবার জানা। শাকিব খান এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাই সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি।

সন্তানসম্ভবা পরীমনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ। যে কারণে এফডিসিতে আসেননি তিনি।

অন্যদিকে নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এ অভিনেত্রী। যদিও সময়সীমা পেরিয়ে গেলে ঘোষণা দেয়ায় তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়নি।

এবারের নির্বাচন অংশ নেননি অভিনেতা ও প্রযোজন অনন্ত জলিল ও তার সহধর্মিণী আফিয়া নুসরাত বর্ষা। কারণ দুজনেই এ মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

তবে বাপ্পারাজের বিষয়টি ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে। তিনি ছিলেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য প্রার্থী। নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাননি এ জনপ্রিয় অভিনেতা।

অবশ্য নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চনের সমর্থনেই প্রকাশ্যে কথা বলেছেন নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে। শেষ পর্যন্ত ভোট দেয়া থেকেই তিনি নিজেকে বিরত রাখলেন।

এছাড়া বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বাকিরা আসতে পারেননি। যদিও এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এবার সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। মিশা থেকে ৪৩ ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি। তুমুল বির্তকের মাঝেও নিপুণকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

জায়েদ পেয়েছেন ১৭৬ ভোট যেখানে নিপুণের ভোটসংখ্যা ১৬৩। অর্থাৎ ১৩ ভোটে জয় পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ভোট গণনার পর দেখা গেল সবার চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ২৪০টি ভোট পেয়েছেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ খ্যাত এ নায়ক।

ভোটসংখ্যায় ফেরদৌসের পরই আছেন দপ্তর সম্পাদক পদে আরমান, ২৩২ ভোট।

২১৯ ভোট পেয়ে ডিপজল ও ১৯১ ভোট পেয়ে সহসভাপতি পদে রুবেল নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক জয়ী হয়েছেন ২১২ ভোট নিয়ে। তার কাছে সিনিয়র অভিনেতা সুব্রত হেরেছেন ১২৭ ভোট পেয়ে। এ পদে চিত্রনায়ক রিয়াজ ১৫৬ এবং অভিনেতা ডি এ তায়েব ১১২ ভোট পেয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহানূর ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী আলেকজান্ডার পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০৫ ভোট পাওয়া জয় চৌধুরীর কাছে নিরব হেরেছেন ১৩৪ ভোট পেয়ে। আজাদ খান কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন ১৯৩ ভোট পেয়ে। তার কাছে ফরহাদ হেরে গেছেন ১৪৬ ভোট পেয়ে।

কার্যকরী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ২৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নায়ক ফেরদৌস। এ পদে মৌসুমী পেয়েছেন ২২৫, অঞ্জনা ২২৫, রোজিনা ১৮৫, অরুণা বিশ্বাস ১৯২, আলীরাজ ২০৩, সুচরিতা ২০১, কেয়া ২১২, অমিত হাসান ২২৭, জেসমিন ২০৮ ও চুন্নু ২২০ ভোট।

ট্যাগস

ভোট দেননি যেসব শীর্ষ তারকা, কে কত ভোট পেয়েছেন

আপডেট টাইম : ১২:৫৫:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২২
বিনোদন ডেস্ক

২০২২-২৪ মেয়াদের বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৪২৮। তবে ব্যালটবাক্সে ভোট জমা পড়েছে ৩৬৫টি। মোট ভোট পড়েছে ৮৫ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এরমধ্যে কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে বাতিল হয়েছে ১০টি ভোট৷ আর সম্পাদকীয়তে বাতিল হয়েছে ২৬টি ভোট৷ এ হিসেবে ভোট দেননি ২৭ জন অভিনয়শিল্পী।

কে কে ভোট দেনটি সে বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুন জানিয়েছেন, বাপ্পারাজ, শাকিব খান, আরিফিন শুভ, অনন্ত জলিল, বর্ষা, পপি, মাহিয়া মাহি, পরীমনি, নুসরাত ফারিয়া।

অর্থাৎ এবারের নির্বাচনে এফডিসিতেই আসেননি এসব শীর্ষ তারকা। শাকিব খান ও পরীমনির বিষয়টি সবার জানা। শাকিব খান এ মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তাই সশরীরে উপস্থিত হতে পারেননি।

সন্তানসম্ভবা পরীমনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। তার শরীরে করোনার উপসর্গ। যে কারণে এফডিসিতে আসেননি তিনি।

অন্যদিকে নির্বাচন থেকেই সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এ অভিনেত্রী। যদিও সময়সীমা পেরিয়ে গেলে ঘোষণা দেয়ায় তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার হয়নি।

এবারের নির্বাচন অংশ নেননি অভিনেতা ও প্রযোজন অনন্ত জলিল ও তার সহধর্মিণী আফিয়া নুসরাত বর্ষা। কারণ দুজনেই এ মুহূর্তে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন।

তবে বাপ্পারাজের বিষয়টি ধোঁয়াশার সৃষ্টি করেছে। তিনি ছিলেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের কার্যকরী পরিষদের সদস্য প্রার্থী। নির্বাচন নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাননি এ জনপ্রিয় অভিনেতা।

অবশ্য নির্বাচনের আগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী ইলিয়াস কাঞ্চনের সমর্থনেই প্রকাশ্যে কথা বলেছেন নায়করাজ রাজ্জাকের ছেলে। শেষ পর্যন্ত ভোট দেয়া থেকেই তিনি নিজেকে বিরত রাখলেন।

এছাড়া বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে বাকিরা আসতে পারেননি। যদিও এ বিষয়ে তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এবার সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন। মিশা থেকে ৪৩ ভোট বেশি পেয়েছেন তিনি। তুমুল বির্তকের মাঝেও নিপুণকে হারিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

জায়েদ পেয়েছেন ১৭৬ ভোট যেখানে নিপুণের ভোটসংখ্যা ১৬৩। অর্থাৎ ১৩ ভোটে জয় পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ভোট গণনার পর দেখা গেল সবার চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। ২৪০টি ভোট পেয়েছেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ খ্যাত এ নায়ক।

ভোটসংখ্যায় ফেরদৌসের পরই আছেন দপ্তর সম্পাদক পদে আরমান, ২৩২ ভোট।

২১৯ ভোট পেয়ে ডিপজল ও ১৯১ ভোট পেয়ে সহসভাপতি পদে রুবেল নির্বাচিত হয়েছেন। সহসাধারণ সম্পাদক পদে সাইমন সাদিক জয়ী হয়েছেন ২১২ ভোট নিয়ে। তার কাছে সিনিয়র অভিনেতা সুব্রত হেরেছেন ১২৭ ভোট পেয়ে। এ পদে চিত্রনায়ক রিয়াজ ১৫৬ এবং অভিনেতা ডি এ তায়েব ১১২ ভোট পেয়েছেন।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে শাহানূর ১৮৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। পরাজিত প্রার্থী আলেকজান্ডার পেয়েছেন ১৫৫ ভোট। আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক পদে ২০৫ ভোট পাওয়া জয় চৌধুরীর কাছে নিরব হেরেছেন ১৩৪ ভোট পেয়ে। আজাদ খান কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন ১৯৩ ভোট পেয়ে। তার কাছে ফরহাদ হেরে গেছেন ১৪৬ ভোট পেয়ে।

কার্যকরী সদস্য পদে সর্বোচ্চ ২৪০ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন নায়ক ফেরদৌস। এ পদে মৌসুমী পেয়েছেন ২২৫, অঞ্জনা ২২৫, রোজিনা ১৮৫, অরুণা বিশ্বাস ১৯২, আলীরাজ ২০৩, সুচরিতা ২০১, কেয়া ২১২, অমিত হাসান ২২৭, জেসমিন ২০৮ ও চুন্নু ২২০ ভোট।