মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
নিয়োগকালেও বয়স জালিয়াতি: বিআইডব্লিউটিএর হিসাব সহকারীর কোটি-কোটি টাকার সম্পদ! জাতির পিতার ছবি অবমাননাকারী পেলেন জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার! কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে মাদক মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাব কেপিসি’র নবনির্বাচিত পরিষদের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ হাতজোড় করে ক্ষমা চেয়ে দেশ ছেড়েছেন শামীম ওসমান ডিএমপি কমিশনারকে অবসর দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি আ.লীগ কোনো ভিসানীতির পরোয়া করে না: ওবায়দুল কাদের আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে: পিটার হাস কুয়েতে বাংলাদেশিকে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪ উপজেলা চেয়ারম্যান সরোয়ারের বাড়িতে স্ত্রী স্বীকৃতির দাবি নিয়ে কৃষি কর্মকর্তা মুক্তা
মঞ্জুরী কমিশনের যোগ্য চেয়ারে অযোগ্যদের নিয়োগ (পর্ব-১)

মঞ্জুরী কমিশনের যোগ্য চেয়ারে অযোগ্যদের নিয়োগ (পর্ব-১)

সোহেল রানা
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের প্রাথমিক উদ্দেশ্য হল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সমন্বয় নিয়ন্ত্রণ পরিচালনা এবং বিকাশ ঘটানো। সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষার মানরক্ষা এবং নিয়ন্ত্রণ এই প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্ব। আর সেখানেই যদি যোগ্য ব্যাক্তিকে সঠিক স্থানে বসাতে ভুল করে তার থেকে জাতি কি আশা করবে?, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশনে প্রথম নিয়োগে তার পূর্ব অভিজ্ঞতা পরবর্তী উচ্চতর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদন করতে হলে উক্ত পদে চাহিতব্য প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা পদে চাকরির অভিজ্ঞতা শর্ত অবশ্যই পুরণ করতে হবে। আর সেই সর্ত পুরণ না করে যদি কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয় সেটা কতটা সঠিক হবে হয়তো সাধারণ জনগণের জানা নেই। আমরা সাধারণ জনগণ মনে করি অভিজ্ঞতা দক্ষতা ও যোগ্যতা বিবেচনা করেই একজন সঠিক ব্যাক্তিকে বড় দ্বায়ীত্ব দেওয়া হয়। তবে কতটা যাচাই বাছাই করে? নাকি অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য ব্যাক্তিকে যোগ্য আসনে বসানো হয়, সেটা নিয়ে অনেক সময় দিধাদন্দ জনসম্মুখে থেকেই যায়। তথ্য সুত্রে জানা যায় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন উপ-পরিচালক মোঃ শাহীন সিরাজ ও মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান এর নিয়োগের ক্ষেত্রে রয়েছে নানা অনিয়ম অভিযোগ, তবুও থেমে নেই তাদের পদোন্নতি। তবে তথ্যনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে নিয়োগ প্রাপ্ত বতর্মান উপ-পরিচালক জিয়াউর রহমান ও শাহীন সিরাজদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিক ছিল না। কিন্তুু কোন এক অদৃশ্য শক্তির কারণে তারা তাদের পদেই বহাল তবিয়তে থাকেন, শুধু তাই নয় পরবর্তীতে তাদের পদোন্নতিও করা হয়েছে। সুত্রে আরো জানা যায় তদন্তে সিদ্ধান্ত হয় তাদের নিয়োগ অবৈধ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী শর্ত পূরণ না করা সত্বেও তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তৎকালীন চেয়ারম্যান ও সদস্যদের দিয়ে অর্থের বিনিময়ে এক জন দুটি ও আর একজন একটি পদোন্নতি ভাগিয়ে নেয় যা বর্তমান পরিষদ তদন্ত করে তা বের করে। এবং ওই কমিটি আরও সিদ্ধান্ত নেয় যে পরবতীতে উচ্চতর পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে তাদেরকে পদোন্নতি দেয়া যাবে না, যা ১৭/০৬/২০২১ইং তারিখে অনুুষ্ঠিত বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশনের ১৬০তম সভায় কর্যকর করেন। আলোচ্য বিষয় কমিশনের ১৫৯তম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করে গত ২৯/১২/২০২১ইং তারিখে তাদের অযোগ্য ঘোষনা করে। তবে কে শোনে কার কথা, আবার সেই পদোন্নতি নিয়োগে ব্যাস্ত হয়ে নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করে সম্প্রতি অতিরিক্ত পরিচালক পদে পদোন্নতির জন্য আবারও আলোচিত শাহীন সিরাজ ও জিয়াউর রহমান নির্বাচনী পরিক্ষায় ইন্টারভিউ কার্ড হাতিয়ে নিয়ে এখন দুজনেই উপর মহলে দোড়ঝাপ এমনকি মোবাইল ফোনে ও চলছে তদবির এমটাই জানান বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মজ্ঞুরী কমিশনের কর্মরত একাধিক ব্যাক্তি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদক কে বলেন অতিরিক্ত পরিচালক পদে নিয়োগ তো দুরের কথা শর্তনুযায়ী ইন্টারভিউ কার্ড তাদের পাবার কথা নয়, মনে হচ্ছে শস্যর মধ্য ভুত আর এই অদৃশ্য ভুতের শক্তি কে থামাবে। যেখানে তদন্ত কমিটির মতামত প্রতিবেদনে পরিষ্কার বলা হয়েছে নিয়োগ ও পদোন্নতি দুটোই অবৈধ আবার তাদেরকেই পদোন্নতি নিয়োগ পরিক্ষার জন্য কার্ড দেওয়া হলো কি ভাবে যা কখনও সম্ভব নয়। একাধিক সুত্রে জানা যায় জিয়াউর রহমান প্রকৌশলী সংগঠন আই.ই.বি এর নির্বাচনে জামায়াত প্যানেল-হলুদ থেকে ২০১২ সালে নির্বাচন করে এবং নির্বাচিত হয়। শাহীন সিরাজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জিবনে ছাত্রদলের মিছিলের প্রথম সারির শ্লোগান দাতাদের একজন বর্তমানে আওয়ামীলীগের আত্মীয় স্বজন ও সরকার দলীয় বিভিন্ন নেতা কর্মীদের নাম ভাঙ্গিয়ে দাপটের সাথেই হাতিয়ে নিচ্ছে পদ-পদবী। নিয়োগ অনিয়ম তার পরেও আবার পদোন্নতি সব বিষয়ে জানার জন্য উপ-পরিচালক শাহীন সিরাজ এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন তিনি আরো বলেন এই বিষয়ে আমি সাংবাদিক এর সাথে কথা বলতে রাজি না যদি কিছু জানার থাকে চেয়ারম্যান ও সচিব আছে তাদের সাথে কথা বলেন। পরবর্তীতে তথ্য যাচাই এর জন্য যোগাযোগ করা হয় জিয়াউর রহমান এর মুঠোফোনে তিনি জানান বিষয়টি মিমাংশা হয়েছে যদি কিছু জানার থাকে উপরে কর্মকর্তা আছে তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। তবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে কর্মরত একাধিক ব্যাক্তির দাবী সরকারি এই প্রতিষ্ঠানকে দুর্নীতি মুক্ত করে সৎ ও যোগ্য ব্যাক্তিদের জনগণের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ দেওয়া দরকার। তাহলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আর বাধা থাকবে না বিষয়টি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সুদৃষ্টি ও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণের প্রত্যাশা। আরো বিস্তারিত জানতে পর্ব-২ এ চোখ রাখুন।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com