আরিফ হোসেন মোল্লা
বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে পৈত্রিক জমি থেকে বঞ্চিত ৩ বোন বুধবার সকাল থেকে কাফনের কাপড় পড়ে অনশন ধর্মঘট শুরু করে। জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ৩বোনের কাছে গিয়ে তাদের বক্তব্য শুনতে চাইলেও তারা বলেন, আমরা প্রধানমন্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে আমাদের অসহায়ত্বের কথা বলতে চাই। ইতোপূর্বে প্রশাসনের নিকট বলেছি কোন কাজ হয়নি। এ সময় তারা প্রধানমন্ত্রী বরাবরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে একটি আবেদন পত্রও হস্তান্তর করেন।
জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, আমি ৩বোনের অবস্থানের সংবাদ পেয়ে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করি। সরাসরী তাদের নিকট গিয়ে জানতে চাই,তাদের সমস্যা। তারা কোনমতেই আমার সাথে কোন কথা বলবে না। তাদের দাবী তারা মাননীয় প্রধানমন্রীর সাক্ষাৎ করে বলতে চান। বেলা ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসক তাদের কথা শোনার জন্য অপেক্ষা করে ব্যর্থ হন।
বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিকের হস্তক্ষেপে ৩ বোন অবস্থান ধর্মঘট প্রত্যাহার করেন। রুবী আক্তার জানান, তাদের বাবা, মা ও ভাই মারা যাবার পর তাদের দূর সম্পর্কীয় চাচা ও চাচাতো ভাইরা বাবার জমা-জমি দখল করে নেয়। গার্মেন্টসে কাজ নিয়ে ৩ বোন কোন রকম দিন কাটায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ীতে চলে আসে। তাদেরকে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
রুবি আক্তার অভিযোগ করেন,জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের নিকট গত বছর আমরা আবেদন করেছি,মেইল করেছি। মাননীয় প্রধানমন্রীর নিকট মেইল করি এই বিষয়। জেলা প্রশাসক কোন গুরুত্ব না দেয়ায় তার সাথে আমরা কথা বলিনি। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর মল্লিক ৩বোনের অনশন ভঙ্গ করিয়ে তাদের গ্রাম বামনার গোলাঘাটা এসে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনও সহ স্থানীয়দের নিয়ে রুবী আক্তার সহ ৩ বোনের জমি মেপে বুঝিয়ে দেন। তিনি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩ বোনকে দ্রুত বসতঘর করে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। এসময় তিনি বলেন, সকলের আগে আমাদের মানবিক বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে। পুলিশ সুপারের তাৎক্ষণিক এই মানবিক উদ্দোগে আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্না করে দেন ৩ বোন। অভিযুক্তদের অন্যতম, ইউনুস বলেন, আমরা তাদের জমি জোর দখল করছিনা। আমাদের জমিই পরিত্যক্ত অবস্হায় রয়েছে।