ঢাকা ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে ফরিদপুরে দুই সাংবাদিকের ওপর হামলা, জিম্মি দশা থেকে উদ্ধার আদমদীঘিতে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রধান শিক্ষক নিহত খালেদা জিয়া যে কোনো সময়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যেতে পারেন: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

মহম্মদপুরে উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ 

মাহামুদুন নবী (স্টাফ রিপোর্টার)
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন পরিষদের আকবর আলী নামের এক উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনন সহ বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত  অর্থ  আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী ওই উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। ১৭ ই ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার ভুক্তভোগীরা ওই উদ্যোক্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে আরো জানা যায়।
সরেজমিন গিয়ে খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, দুই বছর আগে আলি কদর নামের এক ব্যাক্তি তার জন্ম নিবন্ধন ঠিক করার জন্য ১১ শত টাকা দিয়েছিল। অথচ আজ পর্যন্ত কাজ করে না দেবার কারনে। আলি কদর তার লোকজন নিয়ে পরিষদে গিয়ে টাকা ফেরৎ চান এবং এক পর্যায়ে উদ্যোক্তার কক্ষে তালা মেরে দেন এবং চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
 লিখিত  অভিযোগকারী   ইউনিয়নের শাহেব আলী মোল্যার ছেলে মোঃ আলী কদর বলেন,২০২০ সালে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আকবর হোসেনকে ১১শত টাকা দিয়ে কাজ না হওয়ায় পরিষদে আকবরের সাথে বাকবিতণ্ড হয়।  এক পর্যায়ে  তিনি উদ্দ্যোক্তার রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং লিখিত অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান খোকন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, উদ্দ্যোক্তা আকবর হোসেন সেবা গ্রহিতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন এমন সংবাদে তাকে তাৎক্ষণিক পরিষদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আসা একাধিক লিখিত লোকের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ যাচাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উদ্দোক্তা আকবর হোসেন বলেন তিনি আলি কদরের কাছ থেকে ১১ শত টাকা নিয়েছে তবে ওই সময় ঢাকায় গিয়ে কাজ করে আনা লাগতো যাতায়াতেই একজন মানুষের ভাড়া লাগে এক হাজার টাকা লাগে খাবার বা অন্য খরচ বাদ-ই দিলাম আমি তার কাছ থেকে অতিরিক্ত কি অর্থ নিয়েছি আপনারাই বলেন। আর আমি  দীর্ঘ ১৬ বছর পরিষদে মানুষের সেবা করে গেছি। কারও নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছি এমনটা হয়নি। আমি যদি খারাপ-ই হবো তাহলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও তো সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ছিল তখন তো কেহ কোন অভিযোগ করেনী এমনকি সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমানে প্রয়াত মোঃ সিরাজুল ইসলাম হিরু মিয়ার  সাথে ও তো আমি কাজ করেছি তখনো তো কেহ আমার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ করেনী।   আজ আমাকে ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে দেবার   চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন এমনটা হচ্ছে?  এমন প্রশ্নে তিনি বলেন! হয়তো কর্তা ব্যক্তির প্রীয় হতে পারিনি।
আকবরের স্ত্রী সালমা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের তিনটি সন্তান, অসুস্থ শাশুড়ি নিয়ে খুব কষ্টের সংসার। ঘুষ নিলে হয়তো আমাদের সংসার এর থেকে ভাল চলতো। কিন্তু ওদের বাবা কয়দিন পরিষদে না যাওয়ায় হাড়িতে চাল নেই। ছোট ছেলেটার বয়স তিন বছর। বড় দুইটা তেমন বিরক্ত করেনা। ছোট ছেলেটার জন্য ওর চাচা তিন প্যাকেট চিপস্ কিনে দিয়েছে। একথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ইউনিয়নের স্থানীয় হাটবাড়িয়া গ্রামের রাজ্জাক মোল্যা (৬০), মঞ্জুরুল ইসলাম (৪৫), ফলোশিয়া গ্রামের সালাম মুন্সী (৬৫), তৌহিদুল (৪৮), আরিফ (৩৫), ভাটরা গ্রামের সালমা খাতুন (৫০), পাচুড়িয়া গ্রামের গোলাম নবী (৬৮) সহ অনেকে বলেন দীর্ঘদিন ধরে আকবর হোসেন আমাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কখনও অতিরিক্ত টাকা নিতে দেখিনি। এটা একটা  ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, আমার নিকট এবিষয়ে কেহ কোন লিখিত অভিযোগ করেনী তবে বিষয়টি  অবগত হয়েছি। উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ভাবে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কে এই শরীফ জহির?

মহম্মদপুরে উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ 

আপডেট টাইম : ০৫:১৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
মাহামুদুন নবী (স্টাফ রিপোর্টার)
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দীঘা ইউনিয়ন পরিষদের আকবর আলী নামের এক উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে জন্ম নিবন্ধনন সহ বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত  অর্থ  আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।এ বিষয়ে কয়েকজন ভুক্তভোগী ওই উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে বলে জানা গেছে। ১৭ ই ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার ভুক্তভোগীরা ওই উদ্যোক্তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে বলে আরো জানা যায়।
সরেজমিন গিয়ে খোজ খবর নিয়ে জানা যায়, দুই বছর আগে আলি কদর নামের এক ব্যাক্তি তার জন্ম নিবন্ধন ঠিক করার জন্য ১১ শত টাকা দিয়েছিল। অথচ আজ পর্যন্ত কাজ করে না দেবার কারনে। আলি কদর তার লোকজন নিয়ে পরিষদে গিয়ে টাকা ফেরৎ চান এবং এক পর্যায়ে উদ্যোক্তার কক্ষে তালা মেরে দেন এবং চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
 লিখিত  অভিযোগকারী   ইউনিয়নের শাহেব আলী মোল্যার ছেলে মোঃ আলী কদর বলেন,২০২০ সালে জন্ম নিবন্ধন করার জন্য আকবর হোসেনকে ১১শত টাকা দিয়ে কাজ না হওয়ায় পরিষদে আকবরের সাথে বাকবিতণ্ড হয়।  এক পর্যায়ে  তিনি উদ্দ্যোক্তার রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং লিখিত অভিযোগ করেন।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান খোকন মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, উদ্দ্যোক্তা আকবর হোসেন সেবা গ্রহিতাদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন এমন সংবাদে তাকে তাৎক্ষণিক পরিষদে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আসা একাধিক লিখিত লোকের নিকট থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ যাচাই করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
অভিযুক্ত উদ্দোক্তা আকবর হোসেন বলেন তিনি আলি কদরের কাছ থেকে ১১ শত টাকা নিয়েছে তবে ওই সময় ঢাকায় গিয়ে কাজ করে আনা লাগতো যাতায়াতেই একজন মানুষের ভাড়া লাগে এক হাজার টাকা লাগে খাবার বা অন্য খরচ বাদ-ই দিলাম আমি তার কাছ থেকে অতিরিক্ত কি অর্থ নিয়েছি আপনারাই বলেন। আর আমি  দীর্ঘ ১৬ বছর পরিষদে মানুষের সেবা করে গেছি। কারও নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েছি এমনটা হয়নি। আমি যদি খারাপ-ই হবো তাহলে বর্তমান চেয়ারম্যান ও তো সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ছিল তখন তো কেহ কোন অভিযোগ করেনী এমনকি সাবেক চেয়ারম্যান বর্তমানে প্রয়াত মোঃ সিরাজুল ইসলাম হিরু মিয়ার  সাথে ও তো আমি কাজ করেছি তখনো তো কেহ আমার বিরুদ্ধে এমন কোন অভিযোগ করেনী।   আজ আমাকে ষড়যন্ত্র করে সরিয়ে দেবার   চেষ্টা করা হচ্ছে। কেন এমনটা হচ্ছে?  এমন প্রশ্নে তিনি বলেন! হয়তো কর্তা ব্যক্তির প্রীয় হতে পারিনি।
আকবরের স্ত্রী সালমা ইয়াসমিন বলেন, আমাদের তিনটি সন্তান, অসুস্থ শাশুড়ি নিয়ে খুব কষ্টের সংসার। ঘুষ নিলে হয়তো আমাদের সংসার এর থেকে ভাল চলতো। কিন্তু ওদের বাবা কয়দিন পরিষদে না যাওয়ায় হাড়িতে চাল নেই। ছোট ছেলেটার বয়স তিন বছর। বড় দুইটা তেমন বিরক্ত করেনা। ছোট ছেলেটার জন্য ওর চাচা তিন প্যাকেট চিপস্ কিনে দিয়েছে। একথা বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
ইউনিয়নের স্থানীয় হাটবাড়িয়া গ্রামের রাজ্জাক মোল্যা (৬০), মঞ্জুরুল ইসলাম (৪৫), ফলোশিয়া গ্রামের সালাম মুন্সী (৬৫), তৌহিদুল (৪৮), আরিফ (৩৫), ভাটরা গ্রামের সালমা খাতুন (৫০), পাচুড়িয়া গ্রামের গোলাম নবী (৬৮) সহ অনেকে বলেন দীর্ঘদিন ধরে আকবর হোসেন আমাদেরকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। কখনও অতিরিক্ত টাকা নিতে দেখিনি। এটা একটা  ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।
মহম্মদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল বলেন, আমার নিকট এবিষয়ে কেহ কোন লিখিত অভিযোগ করেনী তবে বিষয়টি  অবগত হয়েছি। উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে অভিযোগের বিষয়ে লিখিত ভাবে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।