ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহাকে তার স্ত্রীর করা নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় নারী নির্যাতনের মামলা করেন শামসুদ্দোহার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলি। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তুলি জানান, ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরে তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে শামসুদ্দোহা তার কর্মস্থল যশোরে নিয়ে যান তাকে। পরে তিনি বুঝতে পারেন সেখানকার আরেকটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত শামসুদ্দোহা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হলে তুলিকে নির্যাতন করতেন তিনি। মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটতো।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, শামসুদ্দোহা তার প্রমোশনের জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকা এনে বলেন। ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দেন তিনি। কিন্তু তিনি তাতেও খুশি হননি। এরপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। প্রতিদিন নেশা করে এসে স্ত্রীকে মারপিট করতেন শামসুদ্দোহা। ফলে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি। সেখানে এসে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

তুলি বলেন, বাবার বাড়িতে আসার পর শামসুদ্দোহা তাকে ফোন দিয়ে বলেন টাকা নিয়ে আসতে পারলে আসো, তা না হলে আসার দরকার নেই। নিরুপায় হয়ে তিনি থানায় মামলা করেছেন।

ট্যাগস

স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার

আপডেট টাইম : ০৫:২৩:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ফরিদপুর প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শামসুদ্দোহাকে তার স্ত্রীর করা নির্যাতনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার ওসি এম এ জলিল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় নারী নির্যাতনের মামলা করেন শামসুদ্দোহার স্ত্রী ফারজানা খন্দকার তুলি। এরপর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

তুলি জানান, ২০১৫ সালে তাদের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত তিনি ফরিদপুরে তার বাবার বাড়িতেই ছিলেন। ওই বছরের নভেম্বর মাসে শামসুদ্দোহা তার কর্মস্থল যশোরে নিয়ে যান তাকে। পরে তিনি বুঝতে পারেন সেখানকার আরেকটি মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত শামসুদ্দোহা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হলে তুলিকে নির্যাতন করতেন তিনি। মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটতো।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, শামসুদ্দোহা তার প্রমোশনের জন্য স্ত্রীকে বাবার বাড়ি থেকে ৭০ লাখ টাকা এনে বলেন। ওই সময় ১৫ লাখ টাকা এনে দেন তিনি। কিন্তু তিনি তাতেও খুশি হননি। এরপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। প্রতিদিন নেশা করে এসে স্ত্রীকে মারপিট করতেন শামসুদ্দোহা। ফলে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সেখান থেকে বাবার বাড়ি চলে আসেন তিনি। সেখানে এসে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন।

তুলি বলেন, বাবার বাড়িতে আসার পর শামসুদ্দোহা তাকে ফোন দিয়ে বলেন টাকা নিয়ে আসতে পারলে আসো, তা না হলে আসার দরকার নেই। নিরুপায় হয়ে তিনি থানায় মামলা করেছেন।