ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-পরিচালক মোহাম্মদ আলীর সাতকাহনের যাতাকলে পিডিবিএফ! (পর্ব-১)

স্টাফ রিপোর্টার
পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) এর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-পরিচালক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ক্রয় ও সহায়ক সেবা শাখার আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারীতা অভিযোগের পাহাড় রয়েছে তবু তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, উপ-পরিচালক, নেত্রকোণা অঞ্চলে কর্মরত থাকায় অবস্থায় খালিয়াজুরী শাখার মাঠ সংগঠক, ফরহাদুজ্জামান পরিচিতি নম্বর ০৫০৮৪ এর চাকুরী স্থায়ীকরণের জন্য দুইলক্ষ টাকা ঘুষ তাঁর নিকট চেয়েছিলেন ঘুষ না দিলে স্থায়িত্ব হবে না মর্মে ঘোষনা দেন। খালিয়াজুরী শাখার বার্ষিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে ৬৭ নম্বর পাওয়া সত্বেও ঘুষমানি না দেওয়ার কারণে অযুক্তিক ভাবে এপিএ এর নম্বর কর্তন করে ৪২ নম্বর প্রদান করেন। একই সময় অরো কয়েকজনের একই নম্বর ঠিকরেখে তাদের চাকুরি স্থায়ী করার সুপারিশ করেন। শুধু মাত্র ফরহাদুজ্জামান ঘুষ না দিতে পারায় তাঁর চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়া সত্বেও চাকুরী থেকে বঞ্চিত হতে হয় ঘুষ না দেওয়ার কারণে। বর্তমানে ছেলেটি মানবতর জীবন যাপন করিতেছে।
নেত্রকোণা সদর কার্যালয়ের উর্দ্ধতন মাঠ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার এর শৃংখলা আচরণ জনিত কারণে তাকে শাস্তিমূলক অন্য জেলায় বদলি করা হয়।পরবর্তীতে পুনরায় নেত্রকোণা সদরে বদলি করা হলে সে মাঠের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলনা, ফলে বার্ষিক মূল্যায়নে এপিএ তে নিম্নমান ছিল। কিন্তু মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী অর্থের বিনিময়ে ক্ষমতার প্রভাব প্রয়োগ করে তাকে এপিএতে পূর্ণনম্বর দিতে দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা, নেত্রকোণা সদরকে বাধ্য করেন। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী অর্থের বিনিময়ে ২৫/০১/২০১৭ তারিখে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৫ টাকা অনিয়মতান্ত্রিক ভাকে বিপ্লব কুমারকে প্রদান করেন। উক্ত কর্মীর ব্যক্তিগত নথি পর্যালোচনা করলে মোহাম্মদ আলী সিদ্দীকির অনিয়ম ও দুরনীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে জানা যায়।
মোহাম্মদ আলীর কুকর্মের আরেকটি উদাহরন হলো নেত্রকোণা অঞ্চলের শ্যামগঞ্জ কার্যালয়ের হিসাব সহকারী কর্মকর্তা রিজা আক্তার এর প্রতি কদৃষ্টি পরে। রিজা আক্তারকে বিভিন্ন কৌশলে ময়মনসিংহে বদলি করে দেওয়ার আশ্বাসে পারিবারীক সর্ম্পক তৈরী করেন এবং বিভিন্ন সময় অফিসের গাড়ীতে অনানেওয়া করতেন। বিষয়টি অঞ্চলের সকল কর্মীর নিকট মুখরচক কাহীনিতে পরিনত হয়।এক সময় রিজা আক্তরকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে দৈহিক সর্ম্পক স্থাপনের চেষ্টা করলে রিজা আক্তার অস্মতি জানান এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশের হুমকী দেন। এতে মোহাম্মদ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে রিজাকে দুরবর্তী স্থানে কলমাকান্দায় শাস্তিমূলক বদলি করেন।
শ্যামগঞ্জ কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক বার্তাবাহক মোঃ ইফাত হোসেন ডিডি মোহাম্মদ আলীর অপকর্ম , অনৈতিক কার্যকলাপ জানতে পারায় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় এবং তার চাকুরীর চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করেননি।ফলে দীর্ঘ এক বছর সে কোন বেতনভাতা পিডিবিএফ থেকে পাননি। বর্তমানে উক্ত বার্তাবাহক মোহাম্মদ আলীর অপকর্মের স্মাক্ষী হয়ে চাকুরিটা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়।
নেত্রকোণা উপ-পরিচালক কার্যালয়রে অফিস জেলা পরিষদ নেত্রকোণায় ৬টি কক্ষ নিয়ে ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় পরিচালিত হয়। কিন্তু মোহাম্মদ আলী সিদ্দীকি অর্থের বিনিময়ে ২১ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় ও মোটা অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে জেলা পরিষদের বাহিরে বাসা ভাড়া নেয়।ফলে প্রতি মাসে প্রতিষ্টানের বিপুল পরিমানের টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছে। এই দায় ভার মোহাম্মদ আলীর উপর বর্তায় বলে সকলের দাবী করেন।
মোহাম্মদ আলীর সিদ্দিকীর অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তাঁর কর্মকালীন কোটি কোটি টাকা ঋণ খেলপি হয়। এ ছাড়া চাকুরী জীবনে সকল ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তথাপি একজন অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিকে পিডিবিএফ এর যুগ্ম-পরিচালক হিসেবে ক্রয় ও সহায়ক সেবা শাখায় পদায়ন করা হয়। এমন একজন বির্তকিত ব্যক্তিকে উচ্চপদে পদায়ন সকলে নিকট প্রশ্নবিদ্ধ।
ওই ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অর্থের বিনিময়ে কর্মী পদায়ন ও বদলী করে থাকেন। নেত্রকোণা অঞ্চলে কর্মরত থাকায়বস্থায় তাকে খুশি করার জন্য অর্থ বা ভুরিভোজ না করলে সহজে কারো বদলি বা পদায়ন হয় না। বিভিন্ন শাখা/কার্যালয় পরিদর্শন করে হাওড় এর বড় বড় মাছ ও উপহার সামগ্রী নেওয়া তাঁর নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ছিলো। আরো বিস্তারিত জানতে আগামি পর্বে চোখ রাখুন………..।

ট্যাগস

ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-পরিচালক মোহাম্মদ আলীর সাতকাহনের যাতাকলে পিডিবিএফ! (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০২:৪০:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ মার্চ ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার
পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) এর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম-পরিচালক মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী ক্রয় ও সহায়ক সেবা শাখার আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও সেচ্ছাচারীতা অভিযোগের পাহাড় রয়েছে তবু তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, উপ-পরিচালক, নেত্রকোণা অঞ্চলে কর্মরত থাকায় অবস্থায় খালিয়াজুরী শাখার মাঠ সংগঠক, ফরহাদুজ্জামান পরিচিতি নম্বর ০৫০৮৪ এর চাকুরী স্থায়ীকরণের জন্য দুইলক্ষ টাকা ঘুষ তাঁর নিকট চেয়েছিলেন ঘুষ না দিলে স্থায়িত্ব হবে না মর্মে ঘোষনা দেন। খালিয়াজুরী শাখার বার্ষিক কর্মদক্ষতা মূল্যায়নে ৬৭ নম্বর পাওয়া সত্বেও ঘুষমানি না দেওয়ার কারণে অযুক্তিক ভাবে এপিএ এর নম্বর কর্তন করে ৪২ নম্বর প্রদান করেন। একই সময় অরো কয়েকজনের একই নম্বর ঠিকরেখে তাদের চাকুরি স্থায়ী করার সুপারিশ করেন। শুধু মাত্র ফরহাদুজ্জামান ঘুষ না দিতে পারায় তাঁর চাকুরী স্থায়ীকরণ করা হয়নি। একজন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হওয়া সত্বেও চাকুরী থেকে বঞ্চিত হতে হয় ঘুষ না দেওয়ার কারণে। বর্তমানে ছেলেটি মানবতর জীবন যাপন করিতেছে।
নেত্রকোণা সদর কার্যালয়ের উর্দ্ধতন মাঠ কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার এর শৃংখলা আচরণ জনিত কারণে তাকে শাস্তিমূলক অন্য জেলায় বদলি করা হয়।পরবর্তীতে পুনরায় নেত্রকোণা সদরে বদলি করা হলে সে মাঠের কার্যক্রমে সক্রিয় ছিলনা, ফলে বার্ষিক মূল্যায়নে এপিএ তে নিম্নমান ছিল। কিন্তু মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী অর্থের বিনিময়ে ক্ষমতার প্রভাব প্রয়োগ করে তাকে এপিএতে পূর্ণনম্বর দিতে দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা, নেত্রকোণা সদরকে বাধ্য করেন। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী অর্থের বিনিময়ে ২৫/০১/২০১৭ তারিখে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৪৪৫ টাকা অনিয়মতান্ত্রিক ভাকে বিপ্লব কুমারকে প্রদান করেন। উক্ত কর্মীর ব্যক্তিগত নথি পর্যালোচনা করলে মোহাম্মদ আলী সিদ্দীকির অনিয়ম ও দুরনীতির চিত্র বেরিয়ে আসবে বলে জানা যায়।
মোহাম্মদ আলীর কুকর্মের আরেকটি উদাহরন হলো নেত্রকোণা অঞ্চলের শ্যামগঞ্জ কার্যালয়ের হিসাব সহকারী কর্মকর্তা রিজা আক্তার এর প্রতি কদৃষ্টি পরে। রিজা আক্তারকে বিভিন্ন কৌশলে ময়মনসিংহে বদলি করে দেওয়ার আশ্বাসে পারিবারীক সর্ম্পক তৈরী করেন এবং বিভিন্ন সময় অফিসের গাড়ীতে অনানেওয়া করতেন। বিষয়টি অঞ্চলের সকল কর্মীর নিকট মুখরচক কাহীনিতে পরিনত হয়।এক সময় রিজা আক্তরকে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে দৈহিক সর্ম্পক স্থাপনের চেষ্টা করলে রিজা আক্তার অস্মতি জানান এবং তা জনসম্মুখে প্রকাশের হুমকী দেন। এতে মোহাম্মদ আলী ক্ষিপ্ত হয়ে রিজাকে দুরবর্তী স্থানে কলমাকান্দায় শাস্তিমূলক বদলি করেন।
শ্যামগঞ্জ কার্যালয়ের চুক্তিভিত্তিক বার্তাবাহক মোঃ ইফাত হোসেন ডিডি মোহাম্মদ আলীর অপকর্ম , অনৈতিক কার্যকলাপ জানতে পারায় তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায় এবং তার চাকুরীর চুক্তির মেয়াদ নবায়ন করেননি।ফলে দীর্ঘ এক বছর সে কোন বেতনভাতা পিডিবিএফ থেকে পাননি। বর্তমানে উক্ত বার্তাবাহক মোহাম্মদ আলীর অপকর্মের স্মাক্ষী হয়ে চাকুরিটা হারিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলে জানা যায়।
নেত্রকোণা উপ-পরিচালক কার্যালয়রে অফিস জেলা পরিষদ নেত্রকোণায় ৬টি কক্ষ নিয়ে ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় পরিচালিত হয়। কিন্তু মোহাম্মদ আলী সিদ্দীকি অর্থের বিনিময়ে ২১ হাজার টাকা মাসিক ভাড়ায় ও মোটা অংকের টাকা অগ্রিম দিয়ে জেলা পরিষদের বাহিরে বাসা ভাড়া নেয়।ফলে প্রতি মাসে প্রতিষ্টানের বিপুল পরিমানের টাকা আর্থিক ক্ষতি করেছে। এই দায় ভার মোহাম্মদ আলীর উপর বর্তায় বলে সকলের দাবী করেন।
মোহাম্মদ আলীর সিদ্দিকীর অদক্ষতা, অযোগ্যতা ও অব্যবস্থাপনার কারণে তাঁর কর্মকালীন কোটি কোটি টাকা ঋণ খেলপি হয়। এ ছাড়া চাকুরী জীবনে সকল ক্ষেত্রে তিনি অযোগ্যতা ও ব্যর্থতার পরিচয় দেন। তথাপি একজন অযোগ্য ও অদক্ষ ব্যক্তিকে পিডিবিএফ এর যুগ্ম-পরিচালক হিসেবে ক্রয় ও সহায়ক সেবা শাখায় পদায়ন করা হয়। এমন একজন বির্তকিত ব্যক্তিকে উচ্চপদে পদায়ন সকলে নিকট প্রশ্নবিদ্ধ।
ওই ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অর্থের বিনিময়ে কর্মী পদায়ন ও বদলী করে থাকেন। নেত্রকোণা অঞ্চলে কর্মরত থাকায়বস্থায় তাকে খুশি করার জন্য অর্থ বা ভুরিভোজ না করলে সহজে কারো বদলি বা পদায়ন হয় না। বিভিন্ন শাখা/কার্যালয় পরিদর্শন করে হাওড় এর বড় বড় মাছ ও উপহার সামগ্রী নেওয়া তাঁর নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা ছিলো। আরো বিস্তারিত জানতে আগামি পর্বে চোখ রাখুন………..।