ঢাকা ০৩:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলীর সাতকাহন যেন দেখার কেহ নেই?

বিশেষে প্রতিনিধি
পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) এর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলী শত ভাগ দূর্নীতি করেও বহাল বিয়্যতে রয়েছেন। ওই পরিচালকের খুঁটির জোর কোথায়? এই নিয়ে পিডিবিএফের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে চলছে কানাঘুষা। জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির সংবাদ ৩য় পর্ব পর্যন্ত প্রকাশ করলেও এখনো কোন টনক নড়িনি। ওই ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির শেষ না হলেও তাহার সাতকাহন দেখার কেহ নেই।
প্রদীপ কুমার দত্ত এডিবিও পরিচিতি নং ০২২১৫ সেল্পের দায়িত্ব থাকাকালীন বারহাট্রা কার্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৫৬১৫৩৫/- টাকা আৎসাত করেন, যাহা তদন্তে প্রমানিত হয়। পরবর্তীতে প্রদীপ কুমার দত্তকে দূর্গাপুর কার্যালয়ে এডিবিও ব্লকের দায়িতে বদলী করা হয়। দূর্গাপুর কার্যালয়ে কর্মরত থাকা কালীন প্রদীপ কুমার দত্ত বিভিন্ন সমিতি থেকে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭ শত ৪৪ টাকা আৎসাত করেন ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর ছত্রছায়ায়। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন খোকন চন্দ্র সরকার পরিচিতি নং ০০০২৮ সহকারী পরিচালক (হিসাব) সাবেক ডিডি অফিস নেত্রকোনা বর্তমানে কুমিল্লা ডিডি অফিসে কর্মরত আছেন। বিষয়টি পানির মত পরিষ্কার। আবুল কালাম আজাদ সিনিয়র দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০১২৯৭ সাবেক পূর্বধলা কার্যালয় নেত্রকোনা অঞ্চল, বর্তমানে কিশোরগঞ্জ অঞ্চল। মোঃ আবুল বাশার সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০০৩৮৯ নেত্রকোনা অঞ্চল এই তিন জনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা প্রদীপ কুমার দত্তের ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭ শত ৪৪ টাকা আত্বসাৎকৃত টাকার প্রমাণ পান এবং তদন্ত রির্পোট তৈরী করেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর ছেলে মেয়েদেরকে প্রদীপ কুমার দত্তের স্ত্রী প্রাইভেট পড়াতেন, এবং ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকের সাথে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও ঘুষের টাকা ভাগাভাগি করে নিতেন। সেই সুবাধে প্রদীপ কুমার দত্তকে রক্ষা করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের হুমকি দেন রির্পোট দাখিল না করার জন্য। ডিডি মোহাম্মদ আলী প্রদীপ কুমার দত্তের সাথে চুক্তি করে আত্বসাৎকৃত টাকা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে ডিডি সাহেব প্রদীপ কুমার দত্তকে দূর্গাপুর শাখা থেকে সু-কৌশলে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে কলমাকান্দা কার্যলয়ে বদলী করে। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী নিজে ঘুষ বানিজ্য করে লাভবান হয়েছেন এবং পিডিবিএফ এর লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি করেছেন, যাহা তদন্ত করলে সত্যতা মিলবে। কতৃপক্ষকে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করা হল।
মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর অপকর্ম নারী নির্যাতন ঘুষ বানিজ্যর চিত্র ও অদক্ষতার সিমাহীন দূর্নীতি প্রতিষ্ঠানকে চরম খেসারত দিতে হচ্ছে। ডিডির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অপকর্মে লিপ্ত হন। নেত্রকোনা অঞ্চলকে ত্রাসের রাজত্বে পরিনিত করেছেন। ঘুষ বানিজ্য বদলী এমন কোন অপকর্ম নেই যে মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী করেন নাই। তার ছত্রছায়ায় অনেক অপকর্ম হয়েছে। মিনতি রায় সিনিয়র দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০২২৬৮ নেত্রকোনা সদর তার যোগসাজশে ও মোহাম্মদ আলীর কু পরামর্শে গনেশ কুমার ঘোষ মাঠ কর্মকর্তা নেত্রকোনা সদর কার্যলয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৭ লাখ ২৯ হাজার ৬১ টাকা আত্বসাৎ করেন। ওই আত্বসাৎকৃত টাকা গনেশ কুমার ঘোষের থেকে আদায় বা পিডিবিএফে জমা না করে ডিডি সাহেব ও মিনতী রায় তারা দুইজনে ভাগ বাটোয়রা করে নেন। গোনেশ কুমার ঘোষকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। বর্তমানে গোনেশ কুমার ঘোষ পলাতক রয়েছেন। তদন্ত করলে মিনতী রায়ের আসল চরিত্র ও মোহাম্মদ আলীর ঘুষ বানিজ্যর প্রমান পাওয়া যাবে।
ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী নেত্রকোনা অঞ্চলে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তার ছত্রছায়ায় মোঃ ইউনুচ মিয়া মাঠ সংগঠক পরিচিতি নং ০৩৯৭৭ নেত্রকোনা সদর কার্যলয় থেকে মোটা অংকের টাকা আত্বসাৎ করেন। টাকার পরিমান ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫ শত ৮২ টাকা। ডিডি সাহেব আত্বসাৎকৃত টাকা আদায়ের কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মোঃ ইউনুছ মাঠ সংগঠককে উৎসাহিত করেন। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রধান কার্যালয়ে বদলী হয়ে এসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোঃ ইউনুছ মিয়া মাঠ সংগঠককে সিলেট সেল্প ঋনে পদায়ন করেন। বর্তমানে ইউনুছ মিয়া পিডিবিএফ এর টাকা আত্বসাৎ করে বারহাট্রা তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। আর সাবেক ডিডি বর্তমানে জেডি লজেষ্টিক শাখাকে উপহার সামগ্রী পাঠান তদন্ত করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। স্মারক নং সহ সঠিক কাগজ পত্র প্রমানাদী সংরক্ষন আছে। প্রয়োজনে প্রকাশ করা হবে।
মোঃ হাসান কবির ফিল্ড এ্যাসিস্টেন্ট সোলার পরিচিতি নং ৭০৩০৪ দূর্গাপুর শাখা, নেত্রকোনা অঞ্চল। সোলার থেকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কোন প্রকার আত্বসাৎ ছাড়াই চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন তিনি ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাই আমার চাকুরী কোন অপরাধে খেয়েছেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী কোন উত্তর দিতে পারেন নাই। হাসান কবির বলেন অনেক আকুতি মিনতি করে ডিডি স্যারকে বলেছিলাম চাকুরী না থাকলে আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মারা যাব স্যার। আমি গরীব মানুষ ছেলে সন্তান পরিবার নিয়ে কোথায় যাব দয়া করে আমার চাকুরীটা ফেরৎ দেন অথবা একটা ব্যবস্থা করেন। তখন ডিডি স্যার আমাকে বলেন তুমি চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায়কারীর জন্য আবেদন করো আর আমাকে ২ লাখ টাকা দিবে তোমার চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিবো। ঢাকা যোগাযোগ করে ডিডি স্যার চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায় কারি চাকুরী দেওয়ার আশ^াসে বাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সাথে এবং পরিবারের সকলের সাথে আলোচনা করে জমি বিক্রি করে ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী স্যারকে ৩০ হাজার টাকা দেই। বাকি টাকা চাকুরী হলে দেওয়ার কথা। ততকালীন আমার ডিবিও স্যার উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা গোপাল রঞ্জন দাস এর ডিডি স্যারের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। গোপাল স্যার বলেছেন ডিডি স্যার তোমার চাকুরী দিতে পারবে তুমি টাকা দেও। গোপাল স্যারের সাথে আমিও কর্মরত দূর্গাপুর শাখায় জমি বিক্রি টাকা থেকে ডিবিও স্যারকে বিশ হাজার টাকা দেই। ডিডি স্যার আর গোপাল স্যার টাকা নিয়ে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারী আবেদন করান। আমি একাধিক বার ডিডি স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা আমার চাকুরী দেন নাই এবং টাকা ও ফেরৎ দেয় না। আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার চাকুরী ফেরৎ চাই। আমার কাছে সব তথ্য প্রমান আছে চাকুরী ফেরৎ না দিলে আমি আইনের আম্রয় নিবো।
মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর অর্থ আত্বসাৎ এর ব্যাপক প্রমান থাকা শর্তেও তাহার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেই। কোন অফিসিয়াল আদেশ ছাড়া শুধুমাত্র মৌখিক নির্দ্দেশে বিপ্লব কুমার সরকার পরিচিতি নং ০১৭৫৯ কে অবৈধভাবে শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ঘুষ ও উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী সিনিয়র দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মিনতি রায় পরিচিতি নং ০২২৬৮ যোগসাযোসে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় ২০১৬-২০১৭ সালের বকেয়া পাওনার জন্য বিপ্লব কুমার সরকারকে আবেদন করতে বলেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী ও মিনতি রায় সিনিয়র ডিবিও নেত্রকোণা সদর সেই সুবাদে অবৈধ বিল দাখিল করা হয়। ৩০-০৮-১৭ ইং তারিখে ঐ অবৈধ বিলে সুপারিশ করেন মিনতি রায় এর ফাইল নোটে উল্লেখ করা হয়েছে। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর সুপারিশ ও বেগম রুবি খানম সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসাব সাবেক অর্থ শাখা ঢাকা তার মৌখিক আদেশক্রমে বকেয়া বিল দাখিল করা হয়। সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা নেত্রকোনা সদর এর কাছে মোঃ আবুল বাসার সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০০৩৮৯ বিল ভাউচার পরিক্ষা করে জানতে পারেন এই বিল ভাউচার পরিশোধ করার কোন অফিস আদেশ নাই। ভুয়া বিল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও ডিবিও মিনতি রায়কে বিস্তারিত অবহিত করেন। নিম্ন পারফরমেন্স ধারী বিপ্লব কুমার সরকার এর ঢাকা থেকে কোন অফিস আদেশ এসেছে কিনা তা জানেন। মিনতি রায় হিসাব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন বিল পরিশোধ করে দিতে এবং ডিডি স্যার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন ও ঢাকা অর্থ শাখার বেগম রুবি খানম পরিচিতি নং ০২৩৬৮ সিনিয়র সহকারী পরিচালক অর্থ এর মৌখিক নির্দেশ আছে। অথচ বিপ্লব কুমার সরকারকে অবৈধ টাকার বিনিময়ে ভুয়া ট্রান্সফার টিএ বিল ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বকেয়া বিল উপপরিচালক সহ রুবি খানম অর্থ বিভাগ ঢাকা নেত্রকোনা সদর মিনতি রায় সহ তিনজনে মিলে ঘুষের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি সাধন করেছেন এবং নিজেরা লাবভান হয়েছেন। তাদের অবৈধ সুপারিশ করা ট্রান্সফার টিএ বিল প্রদান করার সিটে দেখা যায় ১৫ হাজার ৫১ টাকা নিয়েছেন। ওই ভুয়া বিল নিতে সহযোগীতা করেছেন মিনতি রায় ডিবিও নেত্রকোনা সদর ও ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। সব অপকর্মের তথ্য প্রমান নেত্রকোণা সদর কার্যালয়ে তদন্ত করলে পাওয়া যাবে। চলবে……….।

ট্যাগস

পিডিবিএফের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলীর সাতকাহন যেন দেখার কেহ নেই?

আপডেট টাইম : ০৮:৪৫:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২২

বিশেষে প্রতিনিধি
পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) এর ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ আলী শত ভাগ দূর্নীতি করেও বহাল বিয়্যতে রয়েছেন। ওই পরিচালকের খুঁটির জোর কোথায়? এই নিয়ে পিডিবিএফের সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের মধ্যে চলছে কানাঘুষা। জাতীয় দৈনিক খবর বাংলাদেশ পত্রিকায় মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে দূর্নীতির সংবাদ ৩য় পর্ব পর্যন্ত প্রকাশ করলেও এখনো কোন টনক নড়িনি। ওই ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম পরিচালকের বিরুদ্ধে দূর্নীতির শেষ না হলেও তাহার সাতকাহন দেখার কেহ নেই।
প্রদীপ কুমার দত্ত এডিবিও পরিচিতি নং ০২২১৫ সেল্পের দায়িত্ব থাকাকালীন বারহাট্রা কার্যালয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৫৬১৫৩৫/- টাকা আৎসাত করেন, যাহা তদন্তে প্রমানিত হয়। পরবর্তীতে প্রদীপ কুমার দত্তকে দূর্গাপুর কার্যালয়ে এডিবিও ব্লকের দায়িতে বদলী করা হয়। দূর্গাপুর কার্যালয়ে কর্মরত থাকা কালীন প্রদীপ কুমার দত্ত বিভিন্ন সমিতি থেকে ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭ শত ৪৪ টাকা আৎসাত করেন ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর ছত্রছায়ায়। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির সদস্য ছিলেন খোকন চন্দ্র সরকার পরিচিতি নং ০০০২৮ সহকারী পরিচালক (হিসাব) সাবেক ডিডি অফিস নেত্রকোনা বর্তমানে কুমিল্লা ডিডি অফিসে কর্মরত আছেন। বিষয়টি পানির মত পরিষ্কার। আবুল কালাম আজাদ সিনিয়র দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০১২৯৭ সাবেক পূর্বধলা কার্যালয় নেত্রকোনা অঞ্চল, বর্তমানে কিশোরগঞ্জ অঞ্চল। মোঃ আবুল বাশার সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০০৩৮৯ নেত্রকোনা অঞ্চল এই তিন জনকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা প্রদীপ কুমার দত্তের ১৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭ শত ৪৪ টাকা আত্বসাৎকৃত টাকার প্রমাণ পান এবং তদন্ত রির্পোট তৈরী করেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর ছেলে মেয়েদেরকে প্রদীপ কুমার দত্তের স্ত্রী প্রাইভেট পড়াতেন, এবং ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকের সাথে বিভিন্ন উপহার সামগ্রী ও ঘুষের টাকা ভাগাভাগি করে নিতেন। সেই সুবাধে প্রদীপ কুমার দত্তকে রক্ষা করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের হুমকি দেন রির্পোট দাখিল না করার জন্য। ডিডি মোহাম্মদ আলী প্রদীপ কুমার দত্তের সাথে চুক্তি করে আত্বসাৎকৃত টাকা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরবর্তীতে ডিডি সাহেব প্রদীপ কুমার দত্তকে দূর্গাপুর শাখা থেকে সু-কৌশলে চার লক্ষ টাকার বিনিময়ে কলমাকান্দা কার্যলয়ে বদলী করে। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী নিজে ঘুষ বানিজ্য করে লাভবান হয়েছেন এবং পিডিবিএফ এর লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতি করেছেন, যাহা তদন্ত করলে সত্যতা মিলবে। কতৃপক্ষকে তদন্ত করার জন্য অনুরোধ করা হল।
মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর অপকর্ম নারী নির্যাতন ঘুষ বানিজ্যর চিত্র ও অদক্ষতার সিমাহীন দূর্নীতি প্রতিষ্ঠানকে চরম খেসারত দিতে হচ্ছে। ডিডির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অপকর্মে লিপ্ত হন। নেত্রকোনা অঞ্চলকে ত্রাসের রাজত্বে পরিনিত করেছেন। ঘুষ বানিজ্য বদলী এমন কোন অপকর্ম নেই যে মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী করেন নাই। তার ছত্রছায়ায় অনেক অপকর্ম হয়েছে। মিনতি রায় সিনিয়র দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০২২৬৮ নেত্রকোনা সদর তার যোগসাজশে ও মোহাম্মদ আলীর কু পরামর্শে গনেশ কুমার ঘোষ মাঠ কর্মকর্তা নেত্রকোনা সদর কার্যলয়ে কর্মরত থাকা অবস্থায় ৭ লাখ ২৯ হাজার ৬১ টাকা আত্বসাৎ করেন। ওই আত্বসাৎকৃত টাকা গনেশ কুমার ঘোষের থেকে আদায় বা পিডিবিএফে জমা না করে ডিডি সাহেব ও মিনতী রায় তারা দুইজনে ভাগ বাটোয়রা করে নেন। গোনেশ কুমার ঘোষকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। বর্তমানে গোনেশ কুমার ঘোষ পলাতক রয়েছেন। তদন্ত করলে মিনতী রায়ের আসল চরিত্র ও মোহাম্মদ আলীর ঘুষ বানিজ্যর প্রমান পাওয়া যাবে।
ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী নেত্রকোনা অঞ্চলে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তার ছত্রছায়ায় মোঃ ইউনুচ মিয়া মাঠ সংগঠক পরিচিতি নং ০৩৯৭৭ নেত্রকোনা সদর কার্যলয় থেকে মোটা অংকের টাকা আত্বসাৎ করেন। টাকার পরিমান ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৫ শত ৮২ টাকা। ডিডি সাহেব আত্বসাৎকৃত টাকা আদায়ের কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে মোঃ ইউনুছ মাঠ সংগঠককে উৎসাহিত করেন। মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী প্রধান কার্যালয়ে বদলী হয়ে এসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোঃ ইউনুছ মিয়া মাঠ সংগঠককে সিলেট সেল্প ঋনে পদায়ন করেন। বর্তমানে ইউনুছ মিয়া পিডিবিএফ এর টাকা আত্বসাৎ করে বারহাট্রা তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করেন। আর সাবেক ডিডি বর্তমানে জেডি লজেষ্টিক শাখাকে উপহার সামগ্রী পাঠান তদন্ত করলে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। স্মারক নং সহ সঠিক কাগজ পত্র প্রমানাদী সংরক্ষন আছে। প্রয়োজনে প্রকাশ করা হবে।
মোঃ হাসান কবির ফিল্ড এ্যাসিস্টেন্ট সোলার পরিচিতি নং ৭০৩০৪ দূর্গাপুর শাখা, নেত্রকোনা অঞ্চল। সোলার থেকে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কোন প্রকার আত্বসাৎ ছাড়াই চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তখন তিনি ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীকের সাথে যোগাযোগ করে জানতে চাই আমার চাকুরী কোন অপরাধে খেয়েছেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী কোন উত্তর দিতে পারেন নাই। হাসান কবির বলেন অনেক আকুতি মিনতি করে ডিডি স্যারকে বলেছিলাম চাকুরী না থাকলে আমার ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মারা যাব স্যার। আমি গরীব মানুষ ছেলে সন্তান পরিবার নিয়ে কোথায় যাব দয়া করে আমার চাকুরীটা ফেরৎ দেন অথবা একটা ব্যবস্থা করেন। তখন ডিডি স্যার আমাকে বলেন তুমি চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায়কারীর জন্য আবেদন করো আর আমাকে ২ লাখ টাকা দিবে তোমার চাকুরীর ব্যবস্থা করে দিবো। ঢাকা যোগাযোগ করে ডিডি স্যার চুক্তিভিত্তিক ঋণ আদায় কারি চাকুরী দেওয়ার আশ^াসে বাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সাথে এবং পরিবারের সকলের সাথে আলোচনা করে জমি বিক্রি করে ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী স্যারকে ৩০ হাজার টাকা দেই। বাকি টাকা চাকুরী হলে দেওয়ার কথা। ততকালীন আমার ডিবিও স্যার উপজেলা দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা গোপাল রঞ্জন দাস এর ডিডি স্যারের সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল। গোপাল স্যার বলেছেন ডিডি স্যার তোমার চাকুরী দিতে পারবে তুমি টাকা দেও। গোপাল স্যারের সাথে আমিও কর্মরত দূর্গাপুর শাখায় জমি বিক্রি টাকা থেকে ডিবিও স্যারকে বিশ হাজার টাকা দেই। ডিডি স্যার আর গোপাল স্যার টাকা নিয়ে চুক্তি ভিত্তিক ঋণ আদায়কারী আবেদন করান। আমি একাধিক বার ডিডি স্যারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তারা আমার চাকুরী দেন নাই এবং টাকা ও ফেরৎ দেয় না। আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার চাকুরী ফেরৎ চাই। আমার কাছে সব তথ্য প্রমান আছে চাকুরী ফেরৎ না দিলে আমি আইনের আম্রয় নিবো।
মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর অর্থ আত্বসাৎ এর ব্যাপক প্রমান থাকা শর্তেও তাহার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেই। কোন অফিসিয়াল আদেশ ছাড়া শুধুমাত্র মৌখিক নির্দ্দেশে বিপ্লব কুমার সরকার পরিচিতি নং ০১৭৫৯ কে অবৈধভাবে শারদীয় দূর্গা পূজার উৎসব ভাতাসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ঘুষ ও উপহার সামগ্রীর বিনিময়ে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী সিনিয়র দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা মিনতি রায় পরিচিতি নং ০২২৬৮ যোগসাযোসে আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলী দেখিয়ে অবৈধ পন্থায় ২০১৬-২০১৭ সালের বকেয়া পাওনার জন্য বিপ্লব কুমার সরকারকে আবেদন করতে বলেন। ডিডি মোহাম্মদ আলী ও মিনতি রায় সিনিয়র ডিবিও নেত্রকোণা সদর সেই সুবাদে অবৈধ বিল দাখিল করা হয়। ৩০-০৮-১৭ ইং তারিখে ঐ অবৈধ বিলে সুপারিশ করেন মিনতি রায় এর ফাইল নোটে উল্লেখ করা হয়েছে। ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকীর সুপারিশ ও বেগম রুবি খানম সিনিয়র সহকারী পরিচালক হিসাব সাবেক অর্থ শাখা ঢাকা তার মৌখিক আদেশক্রমে বকেয়া বিল দাখিল করা হয়। সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা নেত্রকোনা সদর এর কাছে মোঃ আবুল বাসার সিনিয়র হিসাব কর্মকর্তা পরিচিতি নং ০০৩৮৯ বিল ভাউচার পরিক্ষা করে জানতে পারেন এই বিল ভাউচার পরিশোধ করার কোন অফিস আদেশ নাই। ভুয়া বিল দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন ও ডিবিও মিনতি রায়কে বিস্তারিত অবহিত করেন। নিম্ন পারফরমেন্স ধারী বিপ্লব কুমার সরকার এর ঢাকা থেকে কোন অফিস আদেশ এসেছে কিনা তা জানেন। মিনতি রায় হিসাব কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন বিল পরিশোধ করে দিতে এবং ডিডি স্যার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন ও ঢাকা অর্থ শাখার বেগম রুবি খানম পরিচিতি নং ০২৩৬৮ সিনিয়র সহকারী পরিচালক অর্থ এর মৌখিক নির্দেশ আছে। অথচ বিপ্লব কুমার সরকারকে অবৈধ টাকার বিনিময়ে ভুয়া ট্রান্সফার টিএ বিল ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বকেয়া বিল উপপরিচালক সহ রুবি খানম অর্থ বিভাগ ঢাকা নেত্রকোনা সদর মিনতি রায় সহ তিনজনে মিলে ঘুষের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠানের অনেক ক্ষতি সাধন করেছেন এবং নিজেরা লাবভান হয়েছেন। তাদের অবৈধ সুপারিশ করা ট্রান্সফার টিএ বিল প্রদান করার সিটে দেখা যায় ১৫ হাজার ৫১ টাকা নিয়েছেন। ওই ভুয়া বিল নিতে সহযোগীতা করেছেন মিনতি রায় ডিবিও নেত্রকোনা সদর ও ডিডি মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী। সব অপকর্মের তথ্য প্রমান নেত্রকোণা সদর কার্যালয়ে তদন্ত করলে পাওয়া যাবে। চলবে……….।