ঢাকা ১২:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নওগাঁয় ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার ধুম

নাদিম আহমেদ অনিক :
হাতে সময় আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই ইসলাম ধর্মাম্বলিদের খুশির ঈদুল ফিতর। তাই ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁয় ব্যস্ততা বেড়েছে শপিং মলগুলোতে। পোষাক থেকে শুরু করে প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান গুলোতেও যেন উপচে পড়া ভীড় লক্ষণীয়। সাধ্য অনুযায়ী ক্রেতারা যে যার মত অংশ নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নানান কেনাকায়। সাধ আর সাধ্য অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটায় নিজ পছন্দসই পোশাক কিনতে চান সব শ্রেণির মানুষ। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষও মেতে উঠেন ঈদ কেনাকাটায়। ঈদুল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হয়ে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। “ঈদ উপলক্ষে সবার জন্য কিছু একটা কিনতে হবে। প্রিয়জনকে দিতে হবে সাধ্যমতো ঈদ উপহার” ক্রেতাদের এমন ভাবনাগুলোকে পুঁজি করে নানান পোষাকে বিক্রেতারা সাজিয়েছেন তাদের দোকান। শিশুদের পোশাক, জুতা, থ্রি-পিস, শার্ট ও লুঙ্গিসহ আছে অন্যসব পণ্য। দোকানিরা ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে দোকানগুলোতে ঈদকে সামনে রেখে বেশি পণ্যের পসরার পাশাপাশি নানান আলোকসজ্জায় সাজিয়েছেন তাদের প্রতিষ্ঠান। শহরের গীতাঞ্জলী শপিং কমপ্লেক্স,শুভ প্লাজা, মসজীদ মার্কেট,মাহমুদা প্লাজা,ক্রিসেন্ট মার্কেট সহ সবগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে সর্বত্র মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সদর উপজেলার দুবলহাটী থেকে মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন সাইদুর। তিনি জানান, এবারের ঈদে দোকানগুলোতে পোষাকের দাম বেশ চড়া। তবে সাধ্য অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করছি। দোকানীরা জানান বরাবরের মত এবারও চাহিদার শীর্ষে ভারতীয় পোষাক। ভারতীয় বুটিকস আইটেমের থ্রি-পিস, লন, ভয়েল ও শার্টিনের থ্রি-পিস। এ ছাড়া দেশীয় থ্রি পিসের কাপড়ের মধ্যে প্রিন্টের থ্রি- পিস, ব্লক ও বাটিকের বিভিন্ন ডিজাইন করা থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে। তবে চড়া দামের ব্যাপারটি একেবারেই অস্বীকার করেন দোকানীরা। শহরের চাঁদনী চকপ্লাজার হিমেল গার্মেন্টসের সত্ত্বাধিকারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন ডিজাইনের পোষাকে সাজানো হয়েছে আমার প্রতিষ্ঠান, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সহ সব শ্রেণির ক্রেতাদের জন্যই রয়েছে নানান সব পোষাক, তবে পোষাকের মান অনুযায়ী দাম নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। ক্রিসেন্ট মার্কেটের রুম্মন ফ্যাশান এর প্রোঃ সাইদুর রহমান জানান, এবারের ঈদে ক্রেতাদের পছন্দ বিবেচনায় নানান জিন্স,শার্ট,পাঞ্জাবি-পায়জামা সহ ছোট-বড় সকলের পোষাক নিয়ে সাজানো হয়েছে আমার প্রতিষ্ঠান। সব শ্রেণি পেষা মানুষের জন্য সব কোয়ালিটির কাপর রয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি হলেও এবারের পোষাকগুলো আকর্ষণীয়। তবে তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত অশংখ্য মানুষের ভীড়ের দেখা মিলছে শহরের ব্রীজের মোড় এলাকা সহ সবগুলো ফুটপাথ দোকান গুলোতে। কিছু পয়সা বাঁচাতে ফুটপাথের দোকানগুলো ঘুরে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পোশাক। অপেক্ষাকৃত কম দামে ভালো জিনিস কিনতে চাকরিজীবীরাও আসছেন এসব দোকানে। শহরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।

ট্যাগস

নওগাঁয় ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার ধুম

আপডেট টাইম : ০৭:০০:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২২

নাদিম আহমেদ অনিক :
হাতে সময় আর মাত্র কয়েকটা দিন, তারপরেই ইসলাম ধর্মাম্বলিদের খুশির ঈদুল ফিতর। তাই ঈদকে সামনে রেখে নওগাঁয় ব্যস্ততা বেড়েছে শপিং মলগুলোতে। পোষাক থেকে শুরু করে প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান গুলোতেও যেন উপচে পড়া ভীড় লক্ষণীয়। সাধ্য অনুযায়ী ক্রেতারা যে যার মত অংশ নিচ্ছেন প্রয়োজনীয় নানান কেনাকায়। সাধ আর সাধ্য অনুযায়ী ঈদের কেনাকাটায় নিজ পছন্দসই পোশাক কিনতে চান সব শ্রেণির মানুষ। উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে একেবারে নিম্ন আয়ের মানুষও মেতে উঠেন ঈদ কেনাকাটায়। ঈদুল ফিতর যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমজমাট হয়ে উঠছে ঈদের কেনাকাটা। “ঈদ উপলক্ষে সবার জন্য কিছু একটা কিনতে হবে। প্রিয়জনকে দিতে হবে সাধ্যমতো ঈদ উপহার” ক্রেতাদের এমন ভাবনাগুলোকে পুঁজি করে নানান পোষাকে বিক্রেতারা সাজিয়েছেন তাদের দোকান। শিশুদের পোশাক, জুতা, থ্রি-পিস, শার্ট ও লুঙ্গিসহ আছে অন্যসব পণ্য। দোকানিরা ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়াতে দোকানগুলোতে ঈদকে সামনে রেখে বেশি পণ্যের পসরার পাশাপাশি নানান আলোকসজ্জায় সাজিয়েছেন তাদের প্রতিষ্ঠান। শহরের গীতাঞ্জলী শপিং কমপ্লেক্স,শুভ প্লাজা, মসজীদ মার্কেট,মাহমুদা প্লাজা,ক্রিসেন্ট মার্কেট সহ সবগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ভেতরে সর্বত্র মানুষের উপচেপড়া ভিড়। সদর উপজেলার দুবলহাটী থেকে মার্কেটে কেনাকাটা করতে এসেছেন সাইদুর। তিনি জানান, এবারের ঈদে দোকানগুলোতে পোষাকের দাম বেশ চড়া। তবে সাধ্য অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের জন্য কেনাকাটা করছি। দোকানীরা জানান বরাবরের মত এবারও চাহিদার শীর্ষে ভারতীয় পোষাক। ভারতীয় বুটিকস আইটেমের থ্রি-পিস, লন, ভয়েল ও শার্টিনের থ্রি-পিস। এ ছাড়া দেশীয় থ্রি পিসের কাপড়ের মধ্যে প্রিন্টের থ্রি- পিস, ব্লক ও বাটিকের বিভিন্ন ডিজাইন করা থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে। তবে চড়া দামের ব্যাপারটি একেবারেই অস্বীকার করেন দোকানীরা। শহরের চাঁদনী চকপ্লাজার হিমেল গার্মেন্টসের সত্ত্বাধিকারীর সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন ডিজাইনের পোষাকে সাজানো হয়েছে আমার প্রতিষ্ঠান, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত সহ সব শ্রেণির ক্রেতাদের জন্যই রয়েছে নানান সব পোষাক, তবে পোষাকের মান অনুযায়ী দাম নেওয়া হচ্ছে ক্রেতাদের থেকে। ক্রিসেন্ট মার্কেটের রুম্মন ফ্যাশান এর প্রোঃ সাইদুর রহমান জানান, এবারের ঈদে ক্রেতাদের পছন্দ বিবেচনায় নানান জিন্স,শার্ট,পাঞ্জাবি-পায়জামা সহ ছোট-বড় সকলের পোষাক নিয়ে সাজানো হয়েছে আমার প্রতিষ্ঠান। সব শ্রেণি পেষা মানুষের জন্য সব কোয়ালিটির কাপর রয়েছে। তবে গতবারের তুলনায় মূল্য কিছুটা বৃদ্ধি হলেও এবারের পোষাকগুলো আকর্ষণীয়। তবে তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষদের পাশাপাশি মধ্যবিত্ত অশংখ্য মানুষের ভীড়ের দেখা মিলছে শহরের ব্রীজের মোড় এলাকা সহ সবগুলো ফুটপাথ দোকান গুলোতে। কিছু পয়সা বাঁচাতে ফুটপাথের দোকানগুলো ঘুরে ক্রেতারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পোশাক। অপেক্ষাকৃত কম দামে ভালো জিনিস কিনতে চাকরিজীবীরাও আসছেন এসব দোকানে। শহরের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়।