ঢাকা ০৮:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পল্লবীতে রমরমা মাদক বানিজ্য

সোহেল রানা :
পল্লবীতে রমরমা মাদক বানিজ্য চলছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। আর এই মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় নামধারী কিছু নেতা ও পুলিশের সোর্স, রাজধানী মিরপুর পল্লবী থানা এলাকায় রয়েছে কিছু মাদকের স্পট। সাংবাদিক প্লটের পাশে দিনে রাতে খোলামেলা ভাবেই বিক্রি করছে মাদক। তবে বিক্রেতারা খুবই আনন্দের সাথে মুদি দোকানের মালামালের মতোই বিক্রয় করছে বাংলা মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট। এরা কখনো স্কুল ব্যাগে আবার কখনও চাউলের বস্তায় খোলামেলা জনসম্মুখে বিক্রি করছে। হয়তোবা প্রসাশনের নজরে নেই, কারণ ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা, নিয়ে প্রসাশনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা থাকলেও বাংলা মদ নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নেই এমনটাই জানান এলাকার সাধারণ জনগণ। মাদক আনা নেওয়ার কাজে পুলিশের সোর্স বিশেষ ভুমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাদক কারবারি। সুত্রে আরো জানা যায় মার্ডার মামলার আসামি এখন পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে পুলিশের গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও মাদক বিক্রি করছে। এলাকাবাসি বলেন প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকাই হয়তো বা এমনটি হচ্ছে। সুত্রে জানা যায় বাংলা মদের জন্য বিশেষ কিছু জায়গা রয়েছে তাদের মধ্য উলেক্ষ্য পল্লবীর মাদক সম্রাট সিরাজ স্পট বি ব্লক ৭নং রোডের মাথায়, সেকশন ১১, নাভানা টাওয়ারের পিছনে। সাংবাদিক প্লটের পাশে মাদক সম্রাট কালুর ইস্পট মাদক সম্রাট লিটন, জাহিদ, লাইন ম্যান সেলিম, মামুন, রুবেল ও ম্যানেজার রাসেল। বাবুর্চি শামীম, কালশী কাচাঁবাজার লালমাটিয়া টেম্পু ইষ্টান, মাদক ব্যাবসায়ী আলী,কলার আড়ৎ, মাহফুজ ইস্পট, পাগলা আজিজ এরা সবাই একাধিক মাদক বিক্রয় কেন্দ্রের সুনাম ধন্য ডিলার।এই জায়গাই সব সময় জনসমক্ষে খোলামেলা ভাবেই বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব ও বাংলা মদ বিক্রি করছে। ঐ মাদক ব্যাবসায়ীরা খুবই শক্তিশালী,কেউ আবার পুলিশের সোর্স সেই কারণেই হয়তোবা তাদের মাদক কারবারি ব্যাবসা দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে। সুত্রে আরো জানা যায় ঐ দুর্র্ধষ মাদক ব্যাবসায়ীরা নাকি মাসুহারা দেই তাই তাদের কোন সমস্য হয় না। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবেদককে জানান মাদক ব্যাবসায়ী, পুলিশের সোর্স, ছিনতাই কারী দলবেঁধে আড্ডায় সামিল হচ্ছে বিভিন্ন স্থানগুলোতে তবে এদের পাপ সম্রাজের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন বিশাল ক্ষমতাবান ব্যাক্তি। বর্তমানে মাদকের বিরুদ্ধে পল্লবী থানা পুলিশের অভিযান দ্রত গতিতেই চলছে তবে বাংলা মদ নিয়ে খোলামেলা বিক্রি হচ্ছে তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ ধরে নিব বাংলা মদ কোন মাদক বা নেশা জাতীয় দ্রব্যর মধ্যে পড়েনা? যদি নেশা জাতীয় দ্রব্য হয় তাহলে কেন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। এলাকাবাসী আরো জানাই মাদক ব্যাবসার আড়ালে চলে বিভিন্ন অপকর্ম ও অরাজকতা তবে পুলিশের সোর্স ও মাদক নির্মুল কমিটির পদ পদবী নিয়েই অবৈধ ভাবে মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যাবসায়ী যদি মাদক নির্মুল কমিটির সভাপতি বা সেক্রেটারি হয় তাহলে কিভাবে সম্ভব মাদক নির্মুল করা।কারণ প্রত্যক সংগঠন চাই তার কমিটির উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাই কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে হবে তবে বিশেষ ভুমিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিতে হবে। তা যদি না হয় আমাদের ভবিষ্যত যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং উঠতি বয়সীদের ভবিষ্যত হবে অন্ধকার।ক্ষমতার দাপটে পুলিশের সোর্স,মাদক কারবারি,ও কিছু হাইব্রীড নামধারী নেতার কারণে মাদকের ভয়াল দশা। সেই সাথে পল্লবী থানা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ সোর্সের যে দ্বায়িত্ব সেটা যেন অপব্যাবহার না করতে পারে। কারণ কেউ আইনের উর্ধে নয় আইন সবার জন্য সমান। এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের একটাই চাওয়া মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকের সাথে জড়িত সকলকে তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার হওয়া দরকার। আরও বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে……।

ট্যাগস

পল্লবীতে রমরমা মাদক বানিজ্য

আপডেট টাইম : ০৭:০৭:৫৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২

সোহেল রানা :
পল্লবীতে রমরমা মাদক বানিজ্য চলছে। হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে মাদক। আর এই মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে জড়িত রয়েছে স্থানীয় নামধারী কিছু নেতা ও পুলিশের সোর্স, রাজধানী মিরপুর পল্লবী থানা এলাকায় রয়েছে কিছু মাদকের স্পট। সাংবাদিক প্লটের পাশে দিনে রাতে খোলামেলা ভাবেই বিক্রি করছে মাদক। তবে বিক্রেতারা খুবই আনন্দের সাথে মুদি দোকানের মালামালের মতোই বিক্রয় করছে বাংলা মদ ও ইয়াবা ট্যাবলেট। এরা কখনো স্কুল ব্যাগে আবার কখনও চাউলের বস্তায় খোলামেলা জনসম্মুখে বিক্রি করছে। হয়তোবা প্রসাশনের নজরে নেই, কারণ ফেনসিডিল, ইয়াবা, গাজা, নিয়ে প্রসাশনের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা থাকলেও বাংলা মদ নিয়ে তেমন মাথা ব্যাথা নেই এমনটাই জানান এলাকার সাধারণ জনগণ। মাদক আনা নেওয়ার কাজে পুলিশের সোর্স বিশেষ ভুমিকা পালন করে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মাদক কারবারি। সুত্রে আরো জানা যায় মার্ডার মামলার আসামি এখন পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে দাপটের সাথে পুলিশের গাড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও মাদক বিক্রি করছে। এলাকাবাসি বলেন প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের নজরদারি না থাকাই হয়তো বা এমনটি হচ্ছে। সুত্রে জানা যায় বাংলা মদের জন্য বিশেষ কিছু জায়গা রয়েছে তাদের মধ্য উলেক্ষ্য পল্লবীর মাদক সম্রাট সিরাজ স্পট বি ব্লক ৭নং রোডের মাথায়, সেকশন ১১, নাভানা টাওয়ারের পিছনে। সাংবাদিক প্লটের পাশে মাদক সম্রাট কালুর ইস্পট মাদক সম্রাট লিটন, জাহিদ, লাইন ম্যান সেলিম, মামুন, রুবেল ও ম্যানেজার রাসেল। বাবুর্চি শামীম, কালশী কাচাঁবাজার লালমাটিয়া টেম্পু ইষ্টান, মাদক ব্যাবসায়ী আলী,কলার আড়ৎ, মাহফুজ ইস্পট, পাগলা আজিজ এরা সবাই একাধিক মাদক বিক্রয় কেন্দ্রের সুনাম ধন্য ডিলার।এই জায়গাই সব সময় জনসমক্ষে খোলামেলা ভাবেই বিভিন্ন ধরনের নেশা জাতীয় দ্রব ও বাংলা মদ বিক্রি করছে। ঐ মাদক ব্যাবসায়ীরা খুবই শক্তিশালী,কেউ আবার পুলিশের সোর্স সেই কারণেই হয়তোবা তাদের মাদক কারবারি ব্যাবসা দাপটের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে। সুত্রে আরো জানা যায় ঐ দুর্র্ধষ মাদক ব্যাবসায়ীরা নাকি মাসুহারা দেই তাই তাদের কোন সমস্য হয় না। এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবেদককে জানান মাদক ব্যাবসায়ী, পুলিশের সোর্স, ছিনতাই কারী দলবেঁধে আড্ডায় সামিল হচ্ছে বিভিন্ন স্থানগুলোতে তবে এদের পাপ সম্রাজের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন বিশাল ক্ষমতাবান ব্যাক্তি। বর্তমানে মাদকের বিরুদ্ধে পল্লবী থানা পুলিশের অভিযান দ্রত গতিতেই চলছে তবে বাংলা মদ নিয়ে খোলামেলা বিক্রি হচ্ছে তাহলে আমরা সাধারণ জনগণ ধরে নিব বাংলা মদ কোন মাদক বা নেশা জাতীয় দ্রব্যর মধ্যে পড়েনা? যদি নেশা জাতীয় দ্রব্য হয় তাহলে কেন এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। এলাকাবাসী আরো জানাই মাদক ব্যাবসার আড়ালে চলে বিভিন্ন অপকর্ম ও অরাজকতা তবে পুলিশের সোর্স ও মাদক নির্মুল কমিটির পদ পদবী নিয়েই অবৈধ ভাবে মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক ব্যাবসায়ী যদি মাদক নির্মুল কমিটির সভাপতি বা সেক্রেটারি হয় তাহলে কিভাবে সম্ভব মাদক নির্মুল করা।কারণ প্রত্যক সংগঠন চাই তার কমিটির উন্নয়ন। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে সবাই কে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করতে হবে তবে বিশেষ ভুমিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিতে হবে। তা যদি না হয় আমাদের ভবিষ্যত যুবসমাজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং উঠতি বয়সীদের ভবিষ্যত হবে অন্ধকার।ক্ষমতার দাপটে পুলিশের সোর্স,মাদক কারবারি,ও কিছু হাইব্রীড নামধারী নেতার কারণে মাদকের ভয়াল দশা। সেই সাথে পল্লবী থানা প্রশাসনের কাছে অনুরোধ সোর্সের যে দ্বায়িত্ব সেটা যেন অপব্যাবহার না করতে পারে। কারণ কেউ আইনের উর্ধে নয় আইন সবার জন্য সমান। এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের একটাই চাওয়া মাদক ব্যাবসায়ী ও মাদকের সাথে জড়িত সকলকে তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে সঠিক বিচার হওয়া দরকার। আরও বিস্তারিত আসছে আগামী পর্বে……।