নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানী জুড়ে দিন দিন বেড়েই চলছে মানব পাচার ও মাদক সিন্ডিকেট, পাশাপাশি বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের দিয়ে চলছে রমরমা দেহ ব্যবসা। উত্তরা, গুলশান, বনানীসহ বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় স্পা বডি ম্যাসেজ এর অন্তরালে কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের দিয়ে এক শ্রেণীর প্রভাবশালী চক্র গড়ে তুলেছেন ভয়ঙ্কর মাদক সিন্ডিকেট ও দেহ ব্যবসা। মানব পাচারের মত অপরাধের সাথে দিন জড়িয়ে পড়েছে প্রভাশলী ব্যক্তিরাও প্রতিনিয়ত ধংশ হচ্ছে যুব সমাজ । পুরো রাজধানী জুড়ে মাকড়সার জালের মত ঘিরে রেখেছে একটি চক্র। নানা অযুহাতে ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে নিরাপদে চলছে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে তেমনই চমকপ্রদ এক তথ্য। এক সময়ের স্পা নামক প্রতিষ্ঠানে মেয়ে সাপ্লাই করতো আলাউদ্দিন ওরফে আলমগীর সেখান থেকেই পরিচয় হয় দেহ ব্যবসায়ী মারিয়ার সাথে, দুজনের মধ্যে গড়ে ওঠে পরকীয়া প্রেমের অবৈধ সম্পর্ক। পরবর্তীতে তাদের অবৈধ সম্পর্কের কাহিনী প্রকাশ হলে দুজনই ডিভোর্সি হয়ে যায় এবং তাদের অবৈধ সম্পর্ক চলমান থাকে। এরপরে শুরু হয় ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নিয়ে মাদক সাপ্লাই ও দেহ ব্যবসা। স্বামী-স্ত্রীর মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বাসা ভাড়া নেয় দুজনেই। নিজ বাসায়তেই চালায় দেহ ব্যবসা ও মাদকের আড্ডা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আলাউদ্দিন মারিয়ার খুব কাছের এক ব্যক্তি জানান বসুন্ধরা থেকে বিতাড়িত মাদক সম্রাট সাম্মির ডান হাত হিসেবে কাজ করতেন মারিয়া, বিভিন্ন এলাকায় করতেন মাদক সাপ্লাই। অবৈধ টাকায় বেপরোয়া জীবন যাপন বিলাসবহুল বাসা ভাড়া নিয়ে রঙিন সাজে রুপান্তরিত করেন বাসার ফার্নিচার ডেকোরেশন। তিনি আরও জানান অবৈধ মেলা মেশার কারনে তাদের ঘরে একটি মেয়ে সন্তান জন্ম নেয় যে সন্তানের বয়স বর্তমানে দুই বছরের অধিক কিন্তু তারা এখোনও ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক কোন বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়নি। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় গত ১০/০২/২০২২ ইং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসা নং- ১২/ এস,রোড নং- ১৫, ব্লক – জি, এর ছয়তলা বাড়ির তৃতীয় তলায় অভিযান পরিচালনা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ- পরিদর্শক মোঃ শাহ্ আলম (খিলগাঁও সার্কেল) এসময় আলাউদ্দিনের বাসায় অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা সহ আটক করেন আলাউদ্দিন ওরফে আলমগীরকে, পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন – ১০১৮ সনের ৩৬ (১) সারণির ১০ (ক) ধায়ায় আলাউদ্দিনের নামে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ- পরিদর্শক মোঃ শাহ্ আলম (খিলগাঁও সার্কেল) নিজে বাদি একটি মামলা রজু করেন । গত তিন রমজানে আলাউদ্দিন উক্ত মামলায় জামিনে মুক্তি পেয়ে পূূর্বের মতো আবারও শুরু করে মাদক ও দেহ ব্যবসা। বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের তাদের ভাড়া বাসায় নিয়ে এসে মডেলিং ছবি তুলে পাঠানো হয় খদ্দের তালিকায় থাকা সবার মুঠো ফোনে,আগেই জানিয়ে দেয়া হয় কখন কোন মেয়ে পাওয়া যাবে, উল্লেখ্য প্রতিবার অনৈতিক মেলামেশার জন্য আলাউদ্দিন মারিয়া দম্পতি নিয়ে থাকেন তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত। এক রাতের জন্য নেয়া হয় পনের থেকে বিশ হাজার টাকা। তাদের বাসায় নিয়মিত এই পেশায়জড়িত এক মেয়ে জানায় একবার অনৈতিক কাজের জন্য একটি মেয়ে সর্বচ্চ পায় পাঁচ থেকে সাতশত টাকা,সর্ব নিম্ন তিনশত টাকা,এবং এক রাতের জন্য পায় সর্বচ্চ দেড় হাজার থেকে দুই হাজার ও সর্ব নিম্ন আটশত থেকে এক হাজার টাকা। অনুসন্ধানে আরও জানা যায় সর্বশেষ আলাউদ্দিন ওরফে আলমগীর ও মারিয়া দম্পতি অবস্থান নিয়েছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্লক- আই, বাসা- ৭৯ লিফটের ৪ এর একটি বিলাসবহুল বাড়িতে, সেখানেই চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কর্মকাণ্ড ও মাদকের আড্ডা। বিশ্বস্ত আর একটি সুত্র জানায় মানব পাচারের সাথেও ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত এই ভয়ংকর অবৈধ দম্পতি।
উক্ত বিষয়ে তথ্য প্রদানকারী সন্দেহ করে সাদান হোসাইন সাজু নামের এক ব্যক্তিকে প্রাণ নাশেের হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন আলাউদ্দিন ও মারিয়া,তারা প্রকাশ্যে বলে বেড়াচ্ছেন চল্লিশ লক্ষ টাকা বাজেট রেখেছেন সন্দেহ ভাজন সাদান হোসাইন সাজুকে গুম করে দেয়ার জন্য। এ বিষয়ে সাদান সাজু নামের ঐ ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে, তার জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে রাজধানীর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি ।