ঢাকা ১২:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বরগুনায় ডিবির অভিযানে গাঁজার বস্তুাসহ আটক-১ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি সিভিল সার্জনের সিদ্ধান্তে তিন বছর উন্নত খাবার থেকে বঞ্চিত রোগীরা! সিরাজদিখানে সাংবাদিকদের সাথে বিএনপি’র সভাপতির মতবিনিময় শিগগিরই মানুষের সাথে কাঁধে কাধ মিলিয়ে কাজ করবে পুলিশ: স্বরাষ্ট্র সচিব বরগুনায় ডিবির অভিযানে গাঁজার বস্তুাসহ আটক ১ নওগাঁয় জমি নিয়ে বিরোধে কুপিয়ে জখম: আহত- ০৪ আমতলীতে অগ্নিকাণ্ডে বসত ঘর সহ ১১ টি দোকান পুড়ে ছাই মাগুরায় সরকারি রাস্তার গাছ কাটা ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দিচ্ছেন উপজেলা প্রশাসন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর  ডিজি‘র অনৈতিক সিদ্ধান্তে বাৎসরিক ওষুধ ক্রয়ের টেন্ডার বাতিল! 

কারাগারে রাত কাটিয়ে হাসপাতালে হাজী সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাকে কারাগরে পাঠানো হয়।
গতকাল আদালত থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় হাজী সেলিমকে। সেখানে এক রাত থাকার পর তাকে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাজী সেলিমকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করেছিল দুদক। এরপর দুদক মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে তার একটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজী সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশনার আলোকে গত বছর ৯ মার্চ হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। হাইকোর্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে, হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা যাওয়ায় তার আপিলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় জামিনে ছিলেন হাজী সেলিম।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বরগুনায় ডিবির অভিযানে গাঁজার বস্তুাসহ আটক-১

কারাগারে রাত কাটিয়ে হাসপাতালে হাজী সেলিম

আপডেট টাইম : ০৪:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক
দুর্নীতির মামলায় ১০ বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার সাত নম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তাকে কারাগরে পাঠানো হয়।
গতকাল আদালত থেকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় হাজী সেলিমকে। সেখানে এক রাত থাকার পর তাকে আজ সোমবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টায় অ্যাম্বুলেন্সে করে হাজী সেলিমকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি হৃদ্রোগে আক্রান্ত। হাসপাতালে হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জরুরি অবস্থার মধ্যে ২০০৭ সালের ২৪ অক্টোবর হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে এ মামলা করেছিল দুদক। এরপর দুদক মামলাটিতে চার্জশিট দাখিল করে। জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে প্রায় ২৬ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার টাকার সম্পদ অর্জন ও প্রায় ১০ কোটি ৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগের এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে তার একটি ধারায় ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া অবৈধ সম্পদ অর্জনে হাজী সেলিমকে সহযোগিতা করার দায়ে তার স্ত্রী গুলশান আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ২৫ অক্টোবর হাজী সেলিম ও তার স্ত্রী গুলশান আরা বেগম এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি হাইকোর্ট ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে রায় দেন।
হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগে আপিল করে দুদক। আপিলের শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারি হাইকোর্টের রায় বাতিল হয়ে যায়। সেই সঙ্গে হাজী সেলিমের আপিল পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির নির্দেশ দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সেই নির্দেশনার আলোকে গত বছর ৯ মার্চ হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। হাইকোর্ট রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে হাজী সেলিমকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে, হাজী সেলিমের স্ত্রী গুলশান আরা বেগম মারা যাওয়ায় তার আপিলটি বাতিল ঘোষণা করা হয়। এ মামলায় জামিনে ছিলেন হাজী সেলিম।