ঢাকা ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ- স্পীকার কুষ্টিয়াতে কনজুমারস এসোসিয়েশন-অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর মানববন্ধন নওগাঁয় আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আদমদিঘীতে ডাকাতি মামলার আরও একজন গ্রেফতার মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী গ্রেফতার, কুষ্টিয়ার উদিবাড়িয়া কলোনিতে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছেন কাবাডিতে বর্ষসেরা সংগঠক হিসেবে কুল-বিএসপিএ স্পোর্টস অ্যাওয়ার্ড-২০২৩ পেলেন ডিএমপি কমিশনার

সরকারের পেরীফেরীর সম্পত্তি বৈধভাবে ইজারা নিয়েও দখল নিতে না পেরে দিশেহারা শ্যামনগরের ৯৬ ব্যবসায়ী!

মোঃ আজিজুল ইসলাম (ইমরান) :
শ্যামনগরে সরকারের পেরীফেরীর হাটবাজারের সম্পত্তি বৈধভাবে ইজারা নিয়েও দখল নিতে পদে পদে হয়রানি এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে তারা। সকল কাগজপত্র এবং আদালতের রায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থাকলেও দুই জনপ্রতিনিধির বিরোধের কারনে দখল বুঝে নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ৯৬ জন ব্যবসায়ী। তারা জানান, ০১/২০১৬ নং কেসে শ্যামনগরের নকিপুর হাট-বাজার পেরিফেরী করার পর ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বাংলা ১৪২৩ থেকে ১৪২৮ সনের রাজস্ব গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামনগর ব্যবসায়ীদের নিকট দলিল হস্তান্তর করেন। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীদের দোকান দখল নিতে না পেরে হাইকোর্টের শরনাপন্ন হলে হাইকোর্টের ৩০ জুন ২১ ইং তারিখে ৫৯৯৬/২০২১ নং রিট পিটিশন অনুযায়ী নকিপুর হাটবাজারের পেরীফেরী মার্কেটের ১৪২৮সনের রাজস্ব প্রদান ও দখল হস্তান্তর করার জন্য বিবেচনা করতে বলা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে সহকারী কমিশনার ভূমি, শ্যামনগর, সার্ভেয়ার ও সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এর নির্দেশনায় সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে তাদের দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
দখল বুঝে পেয়ে সেখানে ঘর নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠি চার্জ করে দোকান থেকে তাদের বের করে দেয় বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। উপায়ন্তর হয়ে ব্যবসায়ী পুনরায় হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্ট একটি আদেশ জারি করেন। ৩০/০৯/২০২১ তারিখের ওই আদেশে বলা হয় লাইসেন্স গ্রহীতা, লাইসেন্স দাতার বিনানুমতিতে তফসিল সম্পত্তিতে কোন প্রকার নির্মাণ মেরাত কাজ করতে পারবে না এবং তফশীল সম্পত্তি দোকানঘর নির্মাণ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। এদিকে, ৩০/০৯/২১ ইং তারিখে সরেজমিনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নায়েবসহ সার্ভেয়ার শ্যামনগরের নির্দেশনায় এবং ২৫/০৩/২০২১ তারিখে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা কর্তৃক দখল হস্তান্তর করার জন্য সহকারী কমিশনার শ্যামনগরকে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। সে কারণে এখানে স্পস্ট যে লাইসেন্সদাতার অনুমতি ক্রমেই তফসিল সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া হাট বাজার নীতিমালা অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ে জারিকৃত ০৭/১০/১৯৯৬ তারিখের ভূমি/৭বিধি/২৪/৯৫/৪৯৮ (৭৪) নং স্মারক অনুসারে এবং সরবরাহকৃত নথি অনুযায়ী আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ ও সে অনুযায়ী রাজস্ব প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। নীতিমালা অনুসারেই সেখানে দোকানঘরগুলো নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে গোপন বিরোধের বলি হয়েছেন ওই ৯৬ ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যকার বিরোধের কারনেই ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। সম্প্রতি স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির পকেটের কিছু ব্যক্তি সেখানে ব্যবসায়ীদের যেতে দিচ্ছেন না। ওই জনপ্রতিনিধির নির্দেশে পুলিশ এবং তার লোকজন ব্যবসায়ীদের সেখান থেকে বের করে দিচ্ছেন। বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বার বার আশ্বাস দিলেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। অতচ আমাদের কাছ থেকে রাজস্ব গ্রহণ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনাসহ সকল বৈধ কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষিত বেকার। সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করেই জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম সংকটে দিনাতিপাত করছি। ডিসি সাহেব বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, তারা কেন যেতে পারছে না। কারা বাধা দিচ্ছে এটি আমার জানা নেই। আমি অবশ্যই খোজ নিয়ে দেখবো।

ট্যাগস

তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ

সরকারের পেরীফেরীর সম্পত্তি বৈধভাবে ইজারা নিয়েও দখল নিতে না পেরে দিশেহারা শ্যামনগরের ৯৬ ব্যবসায়ী!

আপডেট টাইম : ০৪:১৮:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২

মোঃ আজিজুল ইসলাম (ইমরান) :
শ্যামনগরে সরকারের পেরীফেরীর হাটবাজারের সম্পত্তি বৈধভাবে ইজারা নিয়েও দখল নিতে পদে পদে হয়রানি এবং ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছে তারা। সকল কাগজপত্র এবং আদালতের রায় ব্যবসায়ীদের পক্ষ থাকলেও দুই জনপ্রতিনিধির বিরোধের কারনে দখল বুঝে নিতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ৯৬ জন ব্যবসায়ী। তারা জানান, ০১/২০১৬ নং কেসে শ্যামনগরের নকিপুর হাট-বাজার পেরিফেরী করার পর ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে বাংলা ১৪২৩ থেকে ১৪২৮ সনের রাজস্ব গ্রহণ করে এবং রাষ্ট্রপতির পক্ষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামনগর ব্যবসায়ীদের নিকট দলিল হস্তান্তর করেন। কিন্তু তারপরও ব্যবসায়ীদের দোকান দখল নিতে না পেরে হাইকোর্টের শরনাপন্ন হলে হাইকোর্টের ৩০ জুন ২১ ইং তারিখে ৫৯৯৬/২০২১ নং রিট পিটিশন অনুযায়ী নকিপুর হাটবাজারের পেরীফেরী মার্কেটের ১৪২৮সনের রাজস্ব প্রদান ও দখল হস্তান্তর করার জন্য বিবেচনা করতে বলা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ইং তারিখে সহকারী কমিশনার ভূমি, শ্যামনগর, সার্ভেয়ার ও সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা এর নির্দেশনায় সরেজমিনে তদন্তপূর্বক প্রত্যেক ব্যবসায়ীকে তাদের দোকান বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
দখল বুঝে পেয়ে সেখানে ঘর নির্মাণ করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় এবং লাঠি চার্জ করে দোকান থেকে তাদের বের করে দেয় বলে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। উপায়ন্তর হয়ে ব্যবসায়ী পুনরায় হাইকোর্টে আবেদন করলে হাইকোর্ট একটি আদেশ জারি করেন। ৩০/০৯/২০২১ তারিখের ওই আদেশে বলা হয় লাইসেন্স গ্রহীতা, লাইসেন্স দাতার বিনানুমতিতে তফসিল সম্পত্তিতে কোন প্রকার নির্মাণ মেরাত কাজ করতে পারবে না এবং তফশীল সম্পত্তি দোকানঘর নির্মাণ ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না। এদিকে, ৩০/০৯/২১ ইং তারিখে সরেজমিনে সহকারী কমিশনার (ভূমি) নায়েবসহ সার্ভেয়ার শ্যামনগরের নির্দেশনায় এবং ২৫/০৩/২০২১ তারিখে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা কর্তৃক দখল হস্তান্তর করার জন্য সহকারী কমিশনার শ্যামনগরকে চিঠি প্রদান করা হয়েছে। সে কারণে এখানে স্পস্ট যে লাইসেন্সদাতার অনুমতি ক্রমেই তফসিল সম্পত্তিতে নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া হাট বাজার নীতিমালা অনুযায়ী ভূমি মন্ত্রণালয়ে জারিকৃত ০৭/১০/১৯৯৬ তারিখের ভূমি/৭বিধি/২৪/৯৫/৪৯৮ (৭৪) নং স্মারক অনুসারে এবং সরবরাহকৃত নথি অনুযায়ী আধাপাকা দোকানঘর নির্মাণ ও সে অনুযায়ী রাজস্ব প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। নীতিমালা অনুসারেই সেখানে দোকানঘরগুলো নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় দুই জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে গোপন বিরোধের বলি হয়েছেন ওই ৯৬ ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যকার বিরোধের কারনেই ব্যবসায়ীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। সম্প্রতি স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধির পকেটের কিছু ব্যক্তি সেখানে ব্যবসায়ীদের যেতে দিচ্ছেন না। ওই জনপ্রতিনিধির নির্দেশে পুলিশ এবং তার লোকজন ব্যবসায়ীদের সেখান থেকে বের করে দিচ্ছেন। বিষয়টি সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তিনি বার বার আশ্বাস দিলেও এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। অতচ আমাদের কাছ থেকে রাজস্ব গ্রহণ করা হয়েছে। হাইকোর্টের নির্দেশনাসহ সকল বৈধ কাগজপত্র আমাদের রয়েছে। ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ব্যবসায়ীদের মধ্যে অধিকাংশ শিক্ষিত বেকার। সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করেই জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ব্যবসা পরিচালনা করতে না পেরে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম সংকটে দিনাতিপাত করছি। ডিসি সাহেব বার বার প্রতিশ্রুতি দিলেও কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এবিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, তারা কেন যেতে পারছে না। কারা বাধা দিচ্ছে এটি আমার জানা নেই। আমি অবশ্যই খোজ নিয়ে দেখবো।