তাওহিদুল ইসলাম :
ফরিদপুর জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ফজলু শেখের মেয়ে লাবণী খাতুন এর সাথে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন একই ওয়ার্ডের সুজিত সাহার ছেলে বিশ্ব সাহা। তারই সূত্র ধরে গত ৭ জুন বিশ্ব সাহা ও লাবণী খাতুন দুজনই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব সাহা ও লাবণী খাতুন নওপারা কলেজের ডিগ্রী ফার্স্ট ইয়ারের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৭ই জুন বিশ্ব সাহা বাড়িতে না ফিরলে তার বাবা সুজিত সাহা মধুখালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন, সেই ডাইরী অনুসারে মধুখালী থানা পুলিশের অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে বিশ্ব সাহা কক্সবাজারের হোটেল সিফাতে অবস্থান করছেন। মধুখালী থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম ও স্থানীয় কাউন্সিলর কে নিয়ে রউনা করেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে, সেখানে গিয়ে বিশ্ব সাহা ও লাবণীকে একসাথে দেখে উভয়কেই কক্সবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় ফিরিয়ে আনেন মধুখালী থানাতে। এ বিষয়ে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছেলের বাবা প্রথমাবস্থায় আমাদের কাছে ছেলে হারানো গেছে মর্মে একটি সাবধান ডায়েরি করেন, সেই ছেলেকে খুজতে গিয়েই ছেলে ও মেয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। কক্সবাজার একটি হোটেলে সেখানকার পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় ও আমার টিমের মাধ্যমে তাদেরকে ফিরিয়ে এনে পরিবারের মুচলেকায় দুজনকেই ফিরিয়ে দেয়া হয় তার বাবা-মায়ের কাছে। এদিকে বিশ্ব সাহার বাড়িতে গেলে তাকে না পাওয়া গেলেও কথা হয় তার পিসিমার সাথে তিনি বলেন, আমাদের এই ঝামেলা মিটমাট হয়েছে। তবে ৫ লক্ষ টাকার বেশি দিতে হয়েছে মেয়ের পরিবারকে। অন্যদিকে ছেলের বাবা সুজিত সাহার সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমার ছেলে রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গিয়েছিল। তাকে খুজে পাচ্ছিলাম না, তাই জিডি করেছিলাম মধুখালী থানাতে। ফলে মাওয়া ঘাট থেকে মধুখালী থানা পুলিশের একটি টিম আমার ছেলেকে উদ্ধার করেন।এ বিষয়ে লাবণী খাতুন এর বাবা ফজলু শেখ কে বাড়িতে পাওয়া না গেলে, তার বড় বোন রাবেয়া বলেন আমাদের ঝামেলা আমরাই মিট করেছি। কাজেই আমরা আর ঝামেলায় জড়াতে চাচ্ছিনা। তবে এই ঘটনায় মধুখালীতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।