গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশ্রাফুল আলম শিমুলের কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুর রহমান মিয়ার ভরাডুবি হয়েছে। কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করতে পারেনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
অপরদিকে, গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভা নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীর চাচা স্বতন্ত্র শেখ রকিব হোসেন বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করে বেসরকারিভাবে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মুকসুদপুর পৌরসভা নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশ্রাফুল আলম শিমুল ৬ হাজার ১৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আহাজ্জাদ মহাসিন খিপু মিয়া ৪ হাজার ৫৩৩ ভোট, মন্টু মিয়া ১ হাজার ৪৪৯ ভোট, বিদ্যুৎ সরদার ১ হাজার ৩২৩ ভোট, আওয়ামী লীগ প্রার্থী আতিকুর রহমান ৬০৪ ভোট পেয়েছেন।
আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিয়ার রহমান মিয়াকে দলীয় মনোনয়ন (নৌকা প্রতীক) দিলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আশ্রাফুল আলম শিমুলের কাছে পরাজিত হন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ই আসতে পারেননি।
অপরদিকে, গোপালগঞ্জ সদর পৌরসভায় স্বতন্ত্র শেখ রকিব হোসেন নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে ৩৪ হাজার ৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. দিদারুল ইসলাম ৭৫০ ভোট, জি এম সাহাব উদ্দিন আজম ৪৩৩ ভোট, এসএম নজরুল ইসলাম নুতন ৩৭৮ ভোট, রেজাউল হক সিকদার রাজু ৩৫১ ভোট, কাজী লিয়াকত আলী লেকু ২৭৪ ভোট, মুশফিকুর রহমান লিটন ২৫১ ভোট, দিলীপ কুমার সাহা দীপু ৮৩ ভোট, মৃনাল কান্তি রায় চৌধুরী পপা ৮১ ভোট ও মো. আবুল ফত্তাহ সজু ৭৮ ভোট পান।
গোপালগঞ্জ পৌরসভায় উন্মুক্ত নির্বাচন দেয়া হলে প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ রকিব হোসেনসহ ১০জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে নামেন। পরে ৯ প্রার্থী শেখ রকিব হোসেনকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে ফাঁকা মাঠেই গোল দিয়েছেন নারিকেল গাছের প্রার্থী শেখ রকিব হোসেন।
প্রসঙ্গত, গোপালগঞ্জের দুই পৌরসভা নির্বাচনই ইভিএম পদ্ধতিতে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়।