বিশেষ প্রতিনিধি :
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ ড্রিমলাইনার। বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই উড়োজাহাজটি পুশব্যাক শুরু করে। এতে ড্রিমলাইনারের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিমানবন্দরের ৪ নম্বর বোর্ডিং গেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বিমানের প্রিন্সিপাল প্রকৌশলীসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিমানের এক কর্মকর্তা জানান, ওই ঘটনায় বিমানের প্রিন্সিপাল মোহাম্মদ বদরুল ইসলাম, প্রকৌশলী মো. মাইনুল ইসলাম, সৈয়দ বাহাউল ইসলাম, সেলিম হোসেন খান এবং জিএসই অপারেটর মো. হাফিজুর রহমানকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এর আগেও বিমানের একটি বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রাখার সময় আরেকটি বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুটি উড়োজাহাজই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
জানা গেছে, বিমানের ড্রিমলাইনার পেনটি ৪ নম্বর বোর্ডিং গেটে থেমে যাত্রী নামায় বৃহস্পতিবার বিকালে। বিমানের দরজা বন্ধ করে বোর্ডিং ব্রিজ থেকে একে আলাদা করা হয় এবং সেটাকে পুশব্যাক (পেছনে ধাক্কা দিয়ে নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যাওয়া) করা হয়। ড্রিমলাইনারটিকে পার্কিং পজিশনে নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানের দরজা বন্ধ না করে এবং বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা ছাড়াই এটিকে পুশব্যাক শুরু করে। তখন পেনের দরজার সঙ্গে বোর্ডিং ব্রিজের একটি টান লাগে। তখন বিমানবন্দরে হইচই শুরু হয়। তখন দেখা যায় বোর্ডিং ব্রিজ ও বিমানের দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বর্তমানে ড্রিমলাইনারটিকে বিমানের হ্যাঙ্গারে রাখা হয়েছে।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বোর্ডিং ব্রিজ থেকে বিমান পৃথক করার সময় যেসব নিয়ম-কানুন মানতে হয়, সেগুলো মানা হয়নি। তারা পেনের দরজা ও বোর্ডিং ব্রিজের সংযোগ না খুলেই পুশব্যাক করেছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাটি কীভাবে এবং কেন হয়েছে তা বিমানের ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনের কাছে জানতে চেয়েছি। তবে বোর্ডিং ব্রিজের কোনো ক্ষতি হয়নি।