ঢাকা ১২:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরায় মাদক ব্যবসায়ীর ষড়যন্ত্রের শিকার মাওলানা মাহবুবুর রহমান!

মিজানুর রহমান রেন্টু :
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় কুখ্যাত এক মাদক ব্যবসায়ীর প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বালিদিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মো. ফজলু মোল্যার ছেলে মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান। ওই মাদক ব্যবসায়ী বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। ইউপি নির্বাচনে তার ভরাডুবুরি হওয়ায় এখন বিভিন্ন মানুষের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ওই মাদক ব্যবসায়ী হলেন মাগুরা জেলা, মহম্মদপুর থানাধিন মৌলি গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছোট ছেলে মুরাদ আলী (বর্তমানে চাঁপাতলা গ্রামে বাড়ী)। তার সহযোগিতায় ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৫ জুন ২০২২ ইং তারিখে একটি পত্রিকায় মাগুরায় পাকা ঘর দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত করা হয়। এব্যপারে মাওলানা মাহবুবুর রহমান জনান, আমি একটি সংস্থার মাধ্যমে চারশতাধিক পরিবারের কাছ থেকে ঘর বাবদ আবেদন নিয়ে ওই সংস্থায় আবেদন পঠিয়েছি, যার অধিকাংশ লোকের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র কোন খরচ নেওয়া হয়নি। হাতে গোনা মুস্টিময় যাদের দেওয়ার সামর্থ্য আছে এমন কিছু পরিবারের কাছ থেকে খরচ বাবদ ১ হাজার থেকে ১৫ শত টাকা নেওয়া হয়েছে। সেটাকে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। প্রকৃত পক্ষে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য ও জনগণের কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারে নেমেছে, যেটা মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমাকে পরবর্তী নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য তাদের এই অপপ্রয়াস। তাদের এই ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না, সত্যের জয় চিরদিনই হয় ইনশাআল্লাহ। ১৯ জুন রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পত্রিকায় নাম আসা অভিযোগকারী আবেদনকারীদের সাথে কথা বললে মহবুবুর রহমানের এই কথার সত্যতা মেলে। তাদের মধ্যে একজন হলেন মৌলি গ্রামের জয়নুউদ্দীনের ছেলে সালিমুল তিনি জানান, চাঁপাতলা গ্রামের মুরাদ আলী কাকা আমাকে বলে ঘর বাবদ কত টাকা দিয়েছো? আমি বললাম ২৫ শত টাকা দিয়েছি, তখন মুরাদ কাকা বললো এক সাংবাদিক তোমাকে ফোন দিবে তখন ২৫ শত টাকার কথা বলবা না। আমি যা বলি তাই বলবা, এখন থেকে তুমি বলবা, ঘর বাবদ আমি ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। এই কথা বলার ঠিক পাঁচ মিনিট পর এক সাংবাদিক আমাকে ফোন দেয়। ওই সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনি ঘর বাবদ কত টাকা দিয়েছেন। তখন আমি মুরাদ আলী কাকার শেখানো কথা বলি। কথা গুলো সালিমুল প্রতিবেদকের ভিডিও ক্যামেরার রেকর্ড বক্তব্য বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে আমি মুরাদের শিখানো কথা বলা আমার বড় ভুল ও চরম অন্যায় হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিনোদপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া গ্রামের শুকুরন, ক্ষমা রাজবংশী, বালিদিয়া ইউনিয়নের চরচাপাতলা গ্রামের আব্দুর রশিদ, বিশ্বাস, সুন্দরী, তাসলিমা, মৌলি গ্রামের শাহিনুর রহমান, মেলিনা খাতুন, ছোট কলমধারী গ্রামের সামেলা ও শিল্পীসহ শতাধিক লোকজন বলে আমরা ঘর বাবদ আবেদন করেছি তবে কোন টাকা পয়সা দেয়নি। সুত্রে জানা যায় মুরাদ আলী ও বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায়, মাগুরা মহম্মদপুর থানায়, যশোর সদর থানায়, ঢাকা আশুলিয়া থানায় একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় তার বিরুদ্ধে একটি আইসিটি মামলা রয়েছে বর্তমান পিবিআইতে তদন্তধিন রয়েছে। তথ্যনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর মুরাদ আলীর বাড়ীতে মাগুরা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭৫ পিচ ইয়বা ট্যাবলেট, বিভিন্ন সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ১৫টি জাল সিল, মোটরবাইক চুরির ভিবিন্ন যন্ত্রপাতিসহ তার স্ত্রী শ্যামলী মুরাদ গ্রেফতার হয়। তখন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে ইউপি সদস্য শ্যামলী মুরাদ এর বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এ সময় তার বাড়ি থেকে ১৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। তার বাড়ি থেকে পাসপোর্ট বহির্গমণ শাখার সিল, মিনিস্ট্রি অব ফরেন এফেয়ারস, পুলিশের উর্ধতনকর্মকর্তা ও হাসপাতালসহ ১৫টি সিল উদ্ধার করে। একই সময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক মটর সাইকেল চুরি মামলার আসামী মুরাদ আলী ব্যবহৃত মটর সাইকেল ভাঙ্গার যন্ত্রপাতিসহ জব্দ করা হয়।

ট্যাগস

মাগুরায় মাদক ব্যবসায়ীর ষড়যন্ত্রের শিকার মাওলানা মাহবুবুর রহমান!

আপডেট টাইম : ০৬:৫৬:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

মিজানুর রহমান রেন্টু :
মাগুরা মহম্মদপুর উপজেলায় কুখ্যাত এক মাদক ব্যবসায়ীর প্রতিনিয়ত ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছেন বালিদিয়া ইউনিয়নের গোপীনাথপুর গ্রামের মো. ফজলু মোল্যার ছেলে মাওলানা মো. মাহবুবুর রহমান। ওই মাদক ব্যবসায়ী বালিদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন। ইউপি নির্বাচনে তার ভরাডুবুরি হওয়ায় এখন বিভিন্ন মানুষের ক্ষতি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। ওই মাদক ব্যবসায়ী হলেন মাগুরা জেলা, মহম্মদপুর থানাধিন মৌলি গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছোট ছেলে মুরাদ আলী (বর্তমানে চাঁপাতলা গ্রামে বাড়ী)। তার সহযোগিতায় ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাংবাদিকের কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৫ জুন ২০২২ ইং তারিখে একটি পত্রিকায় মাগুরায় পাকা ঘর দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশিত করা হয়। এব্যপারে মাওলানা মাহবুবুর রহমান জনান, আমি একটি সংস্থার মাধ্যমে চারশতাধিক পরিবারের কাছ থেকে ঘর বাবদ আবেদন নিয়ে ওই সংস্থায় আবেদন পঠিয়েছি, যার অধিকাংশ লোকের কাছ থেকে বিন্দুমাত্র কোন খরচ নেওয়া হয়নি। হাতে গোনা মুস্টিময় যাদের দেওয়ার সামর্থ্য আছে এমন কিছু পরিবারের কাছ থেকে খরচ বাবদ ১ হাজার থেকে ১৫ শত টাকা নেওয়া হয়েছে। সেটাকে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করছে। প্রকৃত পক্ষে আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য ও জনগণের কাছ থেকে আমাকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে এই অপপ্রচারে নেমেছে, যেটা মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমাকে পরবর্তী নির্বাচন থেকে দুরে রাখার জন্য তাদের এই অপপ্রয়াস। তাদের এই ষড়যন্ত্র কোন কাজে আসবে না, সত্যের জয় চিরদিনই হয় ইনশাআল্লাহ। ১৯ জুন রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পত্রিকায় নাম আসা অভিযোগকারী আবেদনকারীদের সাথে কথা বললে মহবুবুর রহমানের এই কথার সত্যতা মেলে। তাদের মধ্যে একজন হলেন মৌলি গ্রামের জয়নুউদ্দীনের ছেলে সালিমুল তিনি জানান, চাঁপাতলা গ্রামের মুরাদ আলী কাকা আমাকে বলে ঘর বাবদ কত টাকা দিয়েছো? আমি বললাম ২৫ শত টাকা দিয়েছি, তখন মুরাদ কাকা বললো এক সাংবাদিক তোমাকে ফোন দিবে তখন ২৫ শত টাকার কথা বলবা না। আমি যা বলি তাই বলবা, এখন থেকে তুমি বলবা, ঘর বাবদ আমি ২৫ হাজার টাকা দিয়েছি। এই কথা বলার ঠিক পাঁচ মিনিট পর এক সাংবাদিক আমাকে ফোন দেয়। ওই সাংবাদিক আমাকে ফোন দিয়ে বলে আপনি ঘর বাবদ কত টাকা দিয়েছেন। তখন আমি মুরাদ আলী কাকার শেখানো কথা বলি। কথা গুলো সালিমুল প্রতিবেদকের ভিডিও ক্যামেরার রেকর্ড বক্তব্য বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে আমি মুরাদের শিখানো কথা বলা আমার বড় ভুল ও চরম অন্যায় হয়েছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিনোদপুর ইউনিয়নের বেথুলিয়া গ্রামের শুকুরন, ক্ষমা রাজবংশী, বালিদিয়া ইউনিয়নের চরচাপাতলা গ্রামের আব্দুর রশিদ, বিশ্বাস, সুন্দরী, তাসলিমা, মৌলি গ্রামের শাহিনুর রহমান, মেলিনা খাতুন, ছোট কলমধারী গ্রামের সামেলা ও শিল্পীসহ শতাধিক লোকজন বলে আমরা ঘর বাবদ আবেদন করেছি তবে কোন টাকা পয়সা দেয়নি। সুত্রে জানা যায় মুরাদ আলী ও বিরুদ্ধে মাগুরা সদর থানায়, মাগুরা মহম্মদপুর থানায়, যশোর সদর থানায়, ঢাকা আশুলিয়া থানায় একাধিক মাদক ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়া ঢাকায় তার বিরুদ্ধে একটি আইসিটি মামলা রয়েছে বর্তমান পিবিআইতে তদন্তধিন রয়েছে। তথ্যনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৬ অক্টোবর মুরাদ আলীর বাড়ীতে মাগুরা ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৭৫ পিচ ইয়বা ট্যাবলেট, বিভিন্ন সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ১৫টি জাল সিল, মোটরবাইক চুরির ভিবিন্ন যন্ত্রপাতিসহ তার স্ত্রী শ্যামলী মুরাদ গ্রেফতার হয়। তখন মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে ইউপি সদস্য শ্যামলী মুরাদ এর বাড়িতে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এ সময় তার বাড়ি থেকে ১৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। তার বাড়ি থেকে পাসপোর্ট বহির্গমণ শাখার সিল, মিনিস্ট্রি অব ফরেন এফেয়ারস, পুলিশের উর্ধতনকর্মকর্তা ও হাসপাতালসহ ১৫টি সিল উদ্ধার করে। একই সময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক মটর সাইকেল চুরি মামলার আসামী মুরাদ আলী ব্যবহৃত মটর সাইকেল ভাঙ্গার যন্ত্রপাতিসহ জব্দ করা হয়।