ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে

এক ঠিকাদারের ভিত্তিহীন অভিযোগে নাজেহাল গণপূর্ত আজিমপুর বিভাগের ৩ প্রকৌশলী

রোস্তম মল্লিক
অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের ৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের ও পত্র পত্রিকায় অপপ্রচার করে তাদেরকে নাজেহাল করা হচ্ছে মর্মে পুলিশ ও র‌্যাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ।
যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তিনি হলেন: ঢাকা মহানগরীর হোল্ডিং নং ২৭৬, লালবাগ রোড,থানা-লালবাগ,ঢাকা এর মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টু। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টু ২০১৯/২০২০ অর্থ বছরে ইজিপি টেন্ডারে আরএপিপির ক্রমিক নং ১৭৬ মেরামতের কাজটি পান। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১৩.৬৩ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে তিনি কার্যাদেশ পেয়ে আংশিক কাজ করে সমূদয় কাজের বিল সাবমিট করেন। তৎপর সংশ্লিষ্ট উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে বিলের জন্য চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। উপ সহকারী প্রকৌশলী ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজটি সম্পূর্ণভাবে সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক পল্টন দাস ওরফে পল্টুকে অনুরোধ জানালেও তিনি কাজটি সম্পূর্ণরুপে সম্পাদন করতে অসন্মতি জ্ঞাপন করেন। সেহেতু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পাদিত ১১.৬০ লক্ষ টাকা মুল্যের কাজের বিল চুড়ান্ত করে দাখিল করেন। যা বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। এবং ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে যথা নিয়মে জমানেেতর টাকাও পরিশোধ করা হয়।
এ ঘটনার পর হঠাৎ করে উক্ত ঠিকাদার মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক পল্টন দাস ওরফে পল্টু বিভিন্ন সময়ে পত্রের মাধ্যমে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সমুহে এবং সাংবাদিক ও মিডিয়ার কাছে ভিত্তিহীন লিখিত অভিযোগ প্রদান করে জন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন এবং কিছু পত্রিকায় মনগড়া সংবাদ ছাপিয়ে সেগুলো নিজ অর্থে ক্রয় ও বিতরণ করে গণপূর্ত আজিমপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: সোহানুর রহমান ও উপ সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের চরিত্রের ওপর ঘুস-দুর্নীতির কলংক লেপন করে তাদের মান সম্মানহানী ও চাকুরী জীবনের ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ওইরুপ কর্মকান্ডে এই ৩ প্রকৌশলী মানসিক ও শাররীকভাবেও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঠিকাদার মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক পল্টন দাস ওরফে পল্টুর এহেন জঘন্য কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্থ আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
মিথ্যা হয়রানি মুলক এবং অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মোটা অংকের চাঁদা দাবীসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উন্্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এন গত ০৫/০৬/২০২২ ইং তারিখে ডিএমপির লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ। এছাড়া একই থানায় অভিনব কৌশলে চাঁদাদাবী ও সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগে মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টুর বিরুদ্ধে আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। যার স্মারক নং ২২৪৬,তারিখ ২১/০৬/২০২২ইং।
অন্যদিকে লালবাগ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার ও র‌্যাব ২,৩ ও ১০ এর অধিনায়কের কাছেও এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরো জানাগেছে, মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টু যে ঠিকাদারী লাইসেন্সটি ব্যবহার করছেন সেটিও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ঢাকা -১ এর অফিস সুত্রে জানা যায়, মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ নামে ২০০৪ সালে মীর আশরাফ আলী ( আজম) সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনারের নামে এই লাইসেন্সটি ইস্যু করা হয়। চাতুরতা করে সেই একই নামে পল্টন দাস ওরফে পল্টু ২০১৮ সালে মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ ২য় শ্রেণীর এই লাইসেন্সটি গ্রহন করেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক অথচ: লাইসেন্স নিয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের নামে। বিধি মোতাবেক একই নামে ২টি ঠিকাদারী লাইসেন্স ইস্যু করার বিধান নেই। সে অর্থে তার ঠিকাদারী লাইসেন্সটিও অকার্যকর। এখন লাইসেন্স জালিয়াতির দায়েও তিনি দোষী সাব্যস্ত হতে যাচ্ছেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানকালে জানাগেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী মো ইলিয়াস আহমেদ এই জোনে কর্মরত থাকাকালীন জোন বি-তে ২৩ টি ২০তলা আবাসিক ভবনের কাজ সফল ভাবে সমাপ্ত করে উক্ত ভবনের ১৭০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছেন। এই সকল ভবন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরেজমিনে উপস্থিত থেকে ও অনলাইনে উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ ও তার টিম বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৮৭ কোটি টাকা সাশ্রয় করে সরকারী কোষাগারে ফেরৎ দিয়েছেন যা তার সততার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। এ কারণে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার ভুয়সী প্রশংসা করেছেন এবং তার ওপর আস্থাশীল রয়েছেন। একজন কর্মদক্ষ প্রকৌশলীর স্বীকৃতিও তাকে দেওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের একাধিক প্রকৌশলী অনতিবিলম্বে এই ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী তুলেছেন। এধরনের ঠিকাদার কাম চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীর কারণে তারা শান্তিতে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন। এদের কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলেও তারা মনে করেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা

এক ঠিকাদারের ভিত্তিহীন অভিযোগে নাজেহাল গণপূর্ত আজিমপুর বিভাগের ৩ প্রকৌশলী

আপডেট টাইম : ০১:৩৬:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুন ২০২২

রোস্তম মল্লিক
অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে ব্যর্থ হয়ে আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের ৩ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের ও পত্র পত্রিকায় অপপ্রচার করে তাদেরকে নাজেহাল করা হচ্ছে মর্মে পুলিশ ও র‌্যাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন আজিমপুর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ।
যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তিনি হলেন: ঢাকা মহানগরীর হোল্ডিং নং ২৭৬, লালবাগ রোড,থানা-লালবাগ,ঢাকা এর মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টু। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণও করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টু ২০১৯/২০২০ অর্থ বছরে ইজিপি টেন্ডারে আরএপিপির ক্রমিক নং ১৭৬ মেরামতের কাজটি পান। যার প্রাক্কলিত মূল্য ১৩.৬৩ লক্ষ টাকা। পরবর্তীতে তিনি কার্যাদেশ পেয়ে আংশিক কাজ করে সমূদয় কাজের বিল সাবমিট করেন। তৎপর সংশ্লিষ্ট উপ বিভাগীয় প্রকৌশলীকে বিলের জন্য চাপ সৃষ্টি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকেন। উপ সহকারী প্রকৌশলী ও উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী কাজটি সম্পূর্ণভাবে সম্পাদনের জন্য ঠিকাদার মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক পল্টন দাস ওরফে পল্টুকে অনুরোধ জানালেও তিনি কাজটি সম্পূর্ণরুপে সম্পাদন করতে অসন্মতি জ্ঞাপন করেন। সেহেতু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সম্পাদিত ১১.৬০ লক্ষ টাকা মুল্যের কাজের বিল চুড়ান্ত করে দাখিল করেন। যা বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা হয়। এবং ঠিকাদারের আবেদনের প্রেক্ষিতে যথা নিয়মে জমানেেতর টাকাও পরিশোধ করা হয়।
এ ঘটনার পর হঠাৎ করে উক্ত ঠিকাদার মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক পল্টন দাস ওরফে পল্টু বিভিন্ন সময়ে পত্রের মাধ্যমে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর সমুহে এবং সাংবাদিক ও মিডিয়ার কাছে ভিত্তিহীন লিখিত অভিযোগ প্রদান করে জন বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন এবং কিছু পত্রিকায় মনগড়া সংবাদ ছাপিয়ে সেগুলো নিজ অর্থে ক্রয় ও বিতরণ করে গণপূর্ত আজিমপুর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: সোহানুর রহমান ও উপ সহকারি প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুনের চরিত্রের ওপর ঘুস-দুর্নীতির কলংক লেপন করে তাদের মান সম্মানহানী ও চাকুরী জীবনের ক্ষতি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ওইরুপ কর্মকান্ডে এই ৩ প্রকৌশলী মানসিক ও শাররীকভাবেও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ঠিকাদার মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক পল্টন দাস ওরফে পল্টুর এহেন জঘন্য কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে শেষ পর্যন্থ আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
মিথ্যা হয়রানি মুলক এবং অনৈতিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে মোটা অংকের চাঁদা দাবীসহ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উন্্নয়নমূলক কর্মকান্ডে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ এন গত ০৫/০৬/২০২২ ইং তারিখে ডিএমপির লালবাগ থানায় একটি সাধারণ ডাইরী করেছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ। এছাড়া একই থানায় অভিনব কৌশলে চাঁদাদাবী ও সরকারি কাজে বিঘ্ন সৃষ্টির অভিযোগে মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টুর বিরুদ্ধে আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। যার স্মারক নং ২২৪৬,তারিখ ২১/০৬/২০২২ইং।
অন্যদিকে লালবাগ বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার ও র‌্যাব ২,৩ ও ১০ এর অধিনায়কের কাছেও এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরো জানাগেছে, মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ এর মালিক ( ঠিকাদার) পল্টন দাস ওরফে পল্টু যে ঠিকাদারী লাইসেন্সটি ব্যবহার করছেন সেটিও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্টি করা হয়েছে। গণপূর্ত বিভাগ ঢাকা -১ এর অফিস সুত্রে জানা যায়, মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ নামে ২০০৪ সালে মীর আশরাফ আলী ( আজম) সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনারের নামে এই লাইসেন্সটি ইস্যু করা হয়। চাতুরতা করে সেই একই নামে পল্টন দাস ওরফে পল্টু ২০১৮ সালে মেসার্স এম এ আলী এন্টারপ্রাইজ ২য় শ্রেণীর এই লাইসেন্সটি গ্রহন করেন যা সম্পূর্ণ অবৈধ। কারণ তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক অথচ: লাইসেন্স নিয়েছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের নামে। বিধি মোতাবেক একই নামে ২টি ঠিকাদারী লাইসেন্স ইস্যু করার বিধান নেই। সে অর্থে তার ঠিকাদারী লাইসেন্সটিও অকার্যকর। এখন লাইসেন্স জালিয়াতির দায়েও তিনি দোষী সাব্যস্ত হতে যাচ্ছেন।
সরেজমিন অনুসন্ধানকালে জানাগেছে, নির্বাহী প্রকৌশলী মো ইলিয়াস আহমেদ এই জোনে কর্মরত থাকাকালীন জোন বি-তে ২৩ টি ২০তলা আবাসিক ভবনের কাজ সফল ভাবে সমাপ্ত করে উক্ত ভবনের ১৭০০টি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছেন। এই সকল ভবন প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সরেজমিনে উপস্থিত থেকে ও অনলাইনে উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: ইলিয়াস আহমেদ ও তার টিম বরাদ্দকৃত টাকা থেকে ৮৭ কোটি টাকা সাশ্রয় করে সরকারী কোষাগারে ফেরৎ দিয়েছেন যা তার সততার একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। এ কারণে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা তার ভুয়সী প্রশংসা করেছেন এবং তার ওপর আস্থাশীল রয়েছেন। একজন কর্মদক্ষ প্রকৌশলীর স্বীকৃতিও তাকে দেওয়া হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের একাধিক প্রকৌশলী অনতিবিলম্বে এই ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী তুলেছেন। এধরনের ঠিকাদার কাম চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীর কারণে তারা শান্তিতে সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না বলেও জানিয়েছেন। এদের কারণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড চরমভাবে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে বলেও তারা মনে করেন।