ঢাকা ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাজীপুরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ পঞ্চগড়ে ৬ বছর পর বিএনপির জনসভা নিজ বাড়ির উঠানে ট্রাক্টরের চাপায় প্রাণ গেল শিশুর নওগাঁয় নার্সিং ইনষ্টিটিউটে পরিক্ষায় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা: সমালোচনার জট কালিহাতীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী’র স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের মৃত্যুতে পররাষ্ট্র  উপদেষ্টার শোক গাজীপুরে জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সাভার আশুলিয়া থানা ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রার্থী আলহাজ্ব মাদবর উপর সন্ত্রাসী হামলা গাজীপুরে সাংবাদিকদের সাথে ইউএনও’র মতবিনিময়

আলমডাঙ্গা থানা পাড়ায় কে এই চাঁদাবাজ মুছা?

বিশেষ প্রতিনিধি :
কথায় আছে চোরের মার বড় গলা এবার বাস্তবে মিলে গেল মুছা ভুমিদূশ্য ধর্ষক প্রতারক আর তারই বড় ছেলে নাহিদ হাসান লিংকন,মোটরবাইক চোর ও মাদক কারবারি। বাপ ছেলের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন কৌশল করে ও রেহাই পাইনি কারণ পাপ বাপকে ও ছাড়েনা। একটা ভিডিও সাক্ষাৎ কারে আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মুছার রোশানলের শিকার বিধবা মহিলা ও তার পরিবার জানান যেমন বাপ তেমন বেটা মুছা চাঁদাবাজ আর ছেলে ছিনতাই মাদক কারবারি ও মোটরবাইক চোর। মোটরবাইক চুরির বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে ডাক্তার মোস্তফা প্রতিবেদক কে বলেন মুছার ছেলে লিংক আমার মোটরসাইকেল চুরি করেছিল ঘটনা সত্য মারধর করার পরে জরিমানা দিয়েছিল আমার গাড়ি ফেরত পাইনি।আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মৃত আহসান মৃধার স্ত্রী ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন আমাদের সম্পত্তি জাল দলিল বানিয়ে মালিক সেজে অন্য জনের কাছে বিক্রি করেছে ভুমিদূশ্য মুছা।তিনি আরো বলেন মুছা ডাকাত আমার স্বামী কে তার সন্ত্রাসী দলের সদস্য দিয়ে রাতের আধারে জামজামি মাঠে হাত পা ও চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের জামজামি বাজারের জায়গা জাল দলিল করে অন্যর কাছে বিক্রি করেছে। চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মুছার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে একাধিক । এছাড়াও আমাদের ইটের ভাটা জোরপূর্বক দখল করেছে ইটের মার্কা এ এম বি যা মুছা এখন নিজের বলে দাবী করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্লভপুর গ্রামের মুছার ঠিকাদার ব্যাবসায়ীক পাটনায় তার নিকট থেকে লাক্ষ লাক্ষ টাকা লুটে নিয়েছেন প্রতারক মুছা। এছাড়াও ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটার মাটি নিয়ে ৩ লাক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে মুছার বিরুদ্ধে। রসুনপুর গ্রামের দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী নারী কেলেঙ্কারির মহানায়ক, প্রতারণা,চাঁদাবাজী জামজামি বাজারে একাধিক জমি দখল করে মুছার রাজত্ব এখন আলমডাঙ্গা থানাপাড়ায়। সুত্রে জানা যায় দখলবাঁজি চাঁদাবাজি অন্েযর সম্পদ লুট করে বর্তমানে মুছা কোটিপতি। একচালা টিনের ঘরের পরিবর্তন করে বতর্মানে একাধিক বিল্ডিং এর মালিক চাঁদাবাজ মুছা। সমাজের চোখে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী। মুছার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ২০০৯ সালে ২৬ জুলাই চাঁদাবাজি মামলা হয়, যাহার নং-১৬, ধারা ৩৬৪-ক/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬ পেনাল কোড ১৮০৬, এই মামলাই এজাহারে অভিযুক্ত । তবুও থেমে নেই মুছার অন্ধকার জগতের ধান্দা, সুযোগ পেলেই কাজে লাগিয়ে দেন সে আপন হোক আর পর হোক দেখাশুনা নেই। এলাকার বাসিন্দারা জানান হজ্ব করে এসে আলমডাঙ্গা হাইরোডে নিজেই বানিয়েছেন একটি আবাসিক হোটেল যেখানে উঠতি বয়সী স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের আনাগুনা। একাধিক ব্যাক্তি বলেন রসুনপুর গ্রামের বধু আনোয়ারা কে ধর্ষনের দায়ে মুছা জেল ও খেটেছে। মুছা বিগত বিএনপি সরকারের আমলে এমন কোন কাজ নেই যা তিনি করেন নাই। তিনি ওই সময় দুধর্ষ সন্ত্রাসী ও ক্যাডার ছিলেন। তখন সেনাবাহিনীর অফিসার আহসান মৃধা ধর্ষণ মামলার তদবির করে উকিলের মাধ্যমে মুছাকে জামিন করেছিলেন। মুছার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি নারী কেলেঙ্কারি জমি দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগের কথা জানান আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়া ও থানা পাড়ার বাসিন্দারা। একাধিক সুত্রে জানা যায় বর্তমানে মুছার শেষ ইচ্ছা বিএনপি থেকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি হতে চান। মুছার রোশানলে শিকার ভুক্তভোগী সাবেক চেয়ারম্যান মন্টু বলেন মুছার আবাসিক হোটেলের পাশেই আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয় মুছার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে। আমি বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করি, কিন্তু থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে পরবর্তীতে মুছার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মামলা দায়ের করি। চেয়ারম্যান মন্টু প্রতিবেদকে আরো জানান বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন মুসা জাল দলিল বানিয়ে প্রসাশনকে মেনেজ করে অনেক জায়গা জমি দখল করেন। পরবর্তীতে মিথ্যা মামলা অথবা আপোষ করে কিছু জায়গা ফেরত দেয় তাও টাকার বিনিময়ে। চেয়ারম্যান মন্টু আরোও জানান আমার কাগজপত্র থাকা সত্তে ও ৬ ফুট চওড়া ৪০ ফুট লম্বা আলমডাঙ্গা পোষ্ট অফিসের বিপরীতের পাশের জায়গা এখন মুছা দখল করে রেখেছে। যার বর্তমান দাম পাঁচ লাক্ষ টাকা আমার বয়স হয়ে গেছে প্রাণের ভয়ে কিছু বলতে পারিনা কোর্টে মামলা রয়েছে দেখি কি হয়। তিনি আরো বলেন ভুমিদসূ ও দুধর্ষ সন্ত্রাসী মুছা এখন হাজী সেজে প্রসাশন ও সমাজের চোখে ধুলো দিয়ে নিরিহ মানুষের সাথে এখনো প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে জানা যায়। মুছা হাজী তার আগের চরিত্র এখনও বদলাতে পারেন নাই। এলাকাবাসির জানান, মুছার ছেলেদের চরিত্র খুব একটা ভালো না, তার ছেলে নাহিদ ওরফে লিংকন মুছার বড় ছেলে মোটরসাইকেল চুরির দ্বায়ে এক ডাক্তারের পা ধরে মাফ চেয়ে জরিমানা দিয়ে রেহায় পায়। ছোট ছেলে মাদক কারবারি ও নেশাখোর গাড়ি চালাতে গিয়ে একসিডেন্ট করে বর্তমানে অচল অবস্থায় রয়েছে। ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সহজেই সব কিছু ম্যানেজ করে নেন ওই চাঁদাবাঁজ মুছা। অপরাধী স্ব স্ব স্থানে এতোটাই সংঘবদ্ধ যে, তাদের পাল্টা প্রতিরোধে সর্বস্বহারা প্রতারিত লোকজনই উল্টো পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হন প্রাণের ভয়ে। এ কারণে একই অপরাধী বীরবেশে ঘোরাফেরা করে বেড়ায়। আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা আহসান মৃধার স্ত্রী বলেন ডাকাত মুছার রোশানলে পড়ে অর্থ সম্পদ হারিয়ে ষ্টোক করে মারা যান আমার স্বামী। ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান রসুনপুর গ্রামের দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী নারী লোভী বিএনপির দাপুটে নেতা ছিল মুছা। রসুনপুর গ্রামের আনোয়ারা নামেএক গৃহ বধুকে ধর্ষণ করেছিল ওই ডাকাতমুছা। ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে রেহাই পেয়ে যায় শুধু তাই নয় আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ায় ক্ষমতার দাপটে পাংসি নামে আরো একটা মহিলাকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করেছিল।ঘটনার সত্যতা জানতে মুছার সাবেক গ্রাম রসুনপুর গেলে মুছার অনৈতিক কাজের সহযোগী মহাদেব কে না পাওয়া গেলে মহাদেব এর ছোট ভাই ও বাড়ির পাশে সজ্ঞিত ঘটনার সত্যতা শিকার করেন এবং বলেন এটা অনেক আগের ঘটনা মিমাংসা হয়ে গেছে মুছা জেল ও খেটেছিল ঘটনা সত্য।আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ায় বসবাসরত বিধবা নারীর সাথে সাক্ষাৎ কালে প্রতিবেদককে বলে ওই ডাকাত মুছার কারণে আমার স্বামীকে হারিয়েছি।আমাদের অর্থ সম্পদ জোরপূর্বক হাতিয়ে নিয়ে তবুও ডাকাত মুছা শান্ত হয়নি পরবর্তীতে হঠাৎ রাতে ডাকাত মুছা তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার স্বামীকে রাতের আধারে হাত পা বেধে জামজামী মাঠের মধ্য নিয়ে যায় এবং দশ লাক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন প্রাণের ভয়ে আমার স্বামীর পেনশনের টাকা থেকে দশ লাক্ষ টাকা দিয়ে ওই রাতে প্রাণে বেঁচে যায়। সব কিছু হারিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে করতে আমার স্বামী ষ্টক করে মারা যায়। আহসান মিলিটারির স্ত্রী আরো বলেন মুছা জায়গার দালালী করতো আমার স্বামীর খুবই কাছের লোক ছিল আমাদের টাকা দিয়ে জায়গা কিনে সব জায়গা মুছার নামে নিয়েছে।এখন ও আমাদের অনেক জায়গা জাল দলিলপত্র বানিয়ে দখল করে রেখেছে।আমি বিধবা অসহায় তাই কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই তবে প্রসাশন ও সাংবাদিকদের কাছে আমার একটাই চাওয়া আমার উপর যে অত্যচার নির্যাতন জুলুম করা হয়েছে আইনের আওতায় এনে দুর্র্ধষ চাঁদাবাঁজ ভুমিদৃশ্য মুছার বিচার করা দরকার। ধর্ষন, হত্যা গুম,চাঁদাবাজিঁ, জায়গা দখল, কোনটাই বাদ দেননি মুছা ।এখন মুখোশ পাল্টিয়ে সমাজের চোখে নিজেকে বিশিষ্ট ইটভাটা ব্যাবসায়ী ও হাজী মুছা হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। যে ইটের ভাটা টি ও জোর পূর্বক আমার স্বামীর নিকট থেকে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দিয়ে লিখে নিয়েছে।বর্তমানে মুছার অবৈধ সম্পদের পাহাড় তাই কাউকে সে গুনাই ধরে না।তবুও থেমে নেই দখলবাজী ও মিথ্য মামলা দিয়ে নিরিহ মানুষ কে হয়রানি করা। অনুসন্ধানে ডাকাত মুছার গ্রামের বাড়ি রসুনপুর গেলে এলাকার স্থায়ী বসবাসকারী জনগন বলেন মৃত ইসারত আলীর ছেলে মুছা বর্তমানে আলমডাঙ্গা থানা পাড়ার বাসিন্দা। রসুনপুর এলাকায় গৃহবধুকে ধর্ষনের দায়ে পালিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পাড়া এলাকায় চলে গেছে শুধু তাই নই আমরা শুনেছি আহসান মিলিটারি নামে এক লোকের নিকট থেকে জামজামি বাজারে ছয় কাঠ জমি ইটের ভাটা জোরপূর্বক দখল ও অর্থ আত্মসাত করেছে । মুছা এখন আলমডাঙ্গা থানা পাড়ায় থাকে তবে আমরা সাধারণ জনগণ যতটুকু জানি মুছা দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ও নারীলোভী ছিল। মুছা একাধিক ব্যাক্তির সাথে প্রতারণা করে জমি দখল নিয়েছে আর না পারলে মিথ্যামামলা দিয়ে সহজ সরল মানুষ কে দিনের পর দিন হয়রানি ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া মুছার মুল উদ্দেশ্য। তবে সব চেয়ে মজার বিষয়টি হলো মামলা করার পরে মুছা আর কখনো কোর্টে যায়না। মুছার মহুরীকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে বছরের পর বছর মামলা চালাই। তার একান্ত সহযোগী ও পর্রামর্শ দাতা বিএনপির নামধারী কিছু সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী। বুঝতে আর বাকি থাকলো না জাল দলিল বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আত্মসাত করাই প্রতারক ভুমিদূশ্য মুসার কাজ। আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় বসবাসকারী একাধিক ব্যাক্তি বলেন জায়গা জমি দখল ছাড়া ও নারী কেলেঙ্কারির সাথেও মুছা জড়িত ছিল। ভুমিদূস্য মুছার রোশানলে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত কেউ আবার অর্থ সম্পত্তি হারিয়ে ষ্টক করে মারা গেছে। সুত্রে আরো জানা যায় এলাকার বাসিন্দারা বলে যেমন বাপ তেমন বেটা। নেশার তাড়নায় মুছার ছেলে লিংকন। বাপ বেটার কাছে অসহায় নিরিহ কিছু মানুষ। সুশীল সমাজ, ভুক্তভোগী এলাকার সাধারণ জনগণের একটাই প্রত্যশা বিষটি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা। সেই সাথে আইনের মাধ্যমে প্রতারক মুছার চাঁদাবাজির মামলা তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার হওয়া দরকার এটাই সুশীল সমাজ ওভুক্তভোগিদের প্রত্যশা। আরও বিস্তারিত দেখুন আগামী পর্বে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

বিডিআর হত্যাকাণ্ডে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

আলমডাঙ্গা থানা পাড়ায় কে এই চাঁদাবাজ মুছা?

আপডেট টাইম : ০৬:০৫:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ জুলাই ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি :
কথায় আছে চোরের মার বড় গলা এবার বাস্তবে মিলে গেল মুছা ভুমিদূশ্য ধর্ষক প্রতারক আর তারই বড় ছেলে নাহিদ হাসান লিংকন,মোটরবাইক চোর ও মাদক কারবারি। বাপ ছেলের অপকর্ম ঢাকতে বিভিন্ন কৌশল করে ও রেহাই পাইনি কারণ পাপ বাপকে ও ছাড়েনা। একটা ভিডিও সাক্ষাৎ কারে আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মুছার রোশানলের শিকার বিধবা মহিলা ও তার পরিবার জানান যেমন বাপ তেমন বেটা মুছা চাঁদাবাজ আর ছেলে ছিনতাই মাদক কারবারি ও মোটরবাইক চোর। মোটরবাইক চুরির বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে ডাক্তার মোস্তফা প্রতিবেদক কে বলেন মুছার ছেলে লিংক আমার মোটরসাইকেল চুরি করেছিল ঘটনা সত্য মারধর করার পরে জরিমানা দিয়েছিল আমার গাড়ি ফেরত পাইনি।আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা মৃত আহসান মৃধার স্ত্রী ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন আমাদের সম্পত্তি জাল দলিল বানিয়ে মালিক সেজে অন্য জনের কাছে বিক্রি করেছে ভুমিদূশ্য মুছা।তিনি আরো বলেন মুছা ডাকাত আমার স্বামী কে তার সন্ত্রাসী দলের সদস্য দিয়ে রাতের আধারে জামজামি মাঠে হাত পা ও চোখ বেঁধে তুলে নিয়ে যায়। আমাদের জামজামি বাজারের জায়গা জাল দলিল করে অন্যর কাছে বিক্রি করেছে। চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মুছার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে একাধিক । এছাড়াও আমাদের ইটের ভাটা জোরপূর্বক দখল করেছে ইটের মার্কা এ এম বি যা মুছা এখন নিজের বলে দাবী করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্লভপুর গ্রামের মুছার ঠিকাদার ব্যাবসায়ীক পাটনায় তার নিকট থেকে লাক্ষ লাক্ষ টাকা লুটে নিয়েছেন প্রতারক মুছা। এছাড়াও ফসলি জমির মাটি কেটে ইট ভাটার মাটি নিয়ে ৩ লাক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা না দেওয়ার অভিযোগ ও রয়েছে মুছার বিরুদ্ধে। রসুনপুর গ্রামের দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী নারী কেলেঙ্কারির মহানায়ক, প্রতারণা,চাঁদাবাজী জামজামি বাজারে একাধিক জমি দখল করে মুছার রাজত্ব এখন আলমডাঙ্গা থানাপাড়ায়। সুত্রে জানা যায় দখলবাঁজি চাঁদাবাজি অন্েযর সম্পদ লুট করে বর্তমানে মুছা কোটিপতি। একচালা টিনের ঘরের পরিবর্তন করে বতর্মানে একাধিক বিল্ডিং এর মালিক চাঁদাবাজ মুছা। সমাজের চোখে বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী। মুছার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় ২০০৯ সালে ২৬ জুলাই চাঁদাবাজি মামলা হয়, যাহার নং-১৬, ধারা ৩৬৪-ক/৩৮৫/৩৮৭/৫০৬ পেনাল কোড ১৮০৬, এই মামলাই এজাহারে অভিযুক্ত । তবুও থেমে নেই মুছার অন্ধকার জগতের ধান্দা, সুযোগ পেলেই কাজে লাগিয়ে দেন সে আপন হোক আর পর হোক দেখাশুনা নেই। এলাকার বাসিন্দারা জানান হজ্ব করে এসে আলমডাঙ্গা হাইরোডে নিজেই বানিয়েছেন একটি আবাসিক হোটেল যেখানে উঠতি বয়সী স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েদের আনাগুনা। একাধিক ব্যাক্তি বলেন রসুনপুর গ্রামের বধু আনোয়ারা কে ধর্ষনের দায়ে মুছা জেল ও খেটেছে। মুছা বিগত বিএনপি সরকারের আমলে এমন কোন কাজ নেই যা তিনি করেন নাই। তিনি ওই সময় দুধর্ষ সন্ত্রাসী ও ক্যাডার ছিলেন। তখন সেনাবাহিনীর অফিসার আহসান মৃধা ধর্ষণ মামলার তদবির করে উকিলের মাধ্যমে মুছাকে জামিন করেছিলেন। মুছার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি নারী কেলেঙ্কারি জমি দখল সহ বিভিন্ন অভিযোগের কথা জানান আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়া ও থানা পাড়ার বাসিন্দারা। একাধিক সুত্রে জানা যায় বর্তমানে মুছার শেষ ইচ্ছা বিএনপি থেকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের এমপি হতে চান। মুছার রোশানলে শিকার ভুক্তভোগী সাবেক চেয়ারম্যান মন্টু বলেন মুছার আবাসিক হোটেলের পাশেই আমার জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নেয় মুছার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে। আমি বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ করি, কিন্তু থানা পুলিশের সহযোগিতা না পেয়ে পরবর্তীতে মুছার বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে মামলা দায়ের করি। চেয়ারম্যান মন্টু প্রতিবেদকে আরো জানান বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকা কালিন মুসা জাল দলিল বানিয়ে প্রসাশনকে মেনেজ করে অনেক জায়গা জমি দখল করেন। পরবর্তীতে মিথ্যা মামলা অথবা আপোষ করে কিছু জায়গা ফেরত দেয় তাও টাকার বিনিময়ে। চেয়ারম্যান মন্টু আরোও জানান আমার কাগজপত্র থাকা সত্তে ও ৬ ফুট চওড়া ৪০ ফুট লম্বা আলমডাঙ্গা পোষ্ট অফিসের বিপরীতের পাশের জায়গা এখন মুছা দখল করে রেখেছে। যার বর্তমান দাম পাঁচ লাক্ষ টাকা আমার বয়স হয়ে গেছে প্রাণের ভয়ে কিছু বলতে পারিনা কোর্টে মামলা রয়েছে দেখি কি হয়। তিনি আরো বলেন ভুমিদসূ ও দুধর্ষ সন্ত্রাসী মুছা এখন হাজী সেজে প্রসাশন ও সমাজের চোখে ধুলো দিয়ে নিরিহ মানুষের সাথে এখনো প্রতারণা করে যাচ্ছে বলে জানা যায়। মুছা হাজী তার আগের চরিত্র এখনও বদলাতে পারেন নাই। এলাকাবাসির জানান, মুছার ছেলেদের চরিত্র খুব একটা ভালো না, তার ছেলে নাহিদ ওরফে লিংকন মুছার বড় ছেলে মোটরসাইকেল চুরির দ্বায়ে এক ডাক্তারের পা ধরে মাফ চেয়ে জরিমানা দিয়ে রেহায় পায়। ছোট ছেলে মাদক কারবারি ও নেশাখোর গাড়ি চালাতে গিয়ে একসিডেন্ট করে বর্তমানে অচল অবস্থায় রয়েছে। ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে আইনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে সহজেই সব কিছু ম্যানেজ করে নেন ওই চাঁদাবাঁজ মুছা। অপরাধী স্ব স্ব স্থানে এতোটাই সংঘবদ্ধ যে, তাদের পাল্টা প্রতিরোধে সর্বস্বহারা প্রতারিত লোকজনই উল্টো পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হন প্রাণের ভয়ে। এ কারণে একই অপরাধী বীরবেশে ঘোরাফেরা করে বেড়ায়। আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ার বাসিন্দা আহসান মৃধার স্ত্রী বলেন ডাকাত মুছার রোশানলে পড়ে অর্থ সম্পদ হারিয়ে ষ্টোক করে মারা যান আমার স্বামী। ভুক্তভোগীর পরিবারের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে জানান রসুনপুর গ্রামের দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী নারী লোভী বিএনপির দাপুটে নেতা ছিল মুছা। রসুনপুর গ্রামের আনোয়ারা নামেএক গৃহ বধুকে ধর্ষণ করেছিল ওই ডাকাতমুছা। ক্ষমতা আর টাকার বিনিময়ে রেহাই পেয়ে যায় শুধু তাই নয় আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ায় ক্ষমতার দাপটে পাংসি নামে আরো একটা মহিলাকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত করেছিল।ঘটনার সত্যতা জানতে মুছার সাবেক গ্রাম রসুনপুর গেলে মুছার অনৈতিক কাজের সহযোগী মহাদেব কে না পাওয়া গেলে মহাদেব এর ছোট ভাই ও বাড়ির পাশে সজ্ঞিত ঘটনার সত্যতা শিকার করেন এবং বলেন এটা অনেক আগের ঘটনা মিমাংসা হয়ে গেছে মুছা জেল ও খেটেছিল ঘটনা সত্য।আলমডাঙ্গা কলেজ পাড়ায় বসবাসরত বিধবা নারীর সাথে সাক্ষাৎ কালে প্রতিবেদককে বলে ওই ডাকাত মুছার কারণে আমার স্বামীকে হারিয়েছি।আমাদের অর্থ সম্পদ জোরপূর্বক হাতিয়ে নিয়ে তবুও ডাকাত মুছা শান্ত হয়নি পরবর্তীতে হঠাৎ রাতে ডাকাত মুছা তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার স্বামীকে রাতের আধারে হাত পা বেধে জামজামী মাঠের মধ্য নিয়ে যায় এবং দশ লাক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করেন প্রাণের ভয়ে আমার স্বামীর পেনশনের টাকা থেকে দশ লাক্ষ টাকা দিয়ে ওই রাতে প্রাণে বেঁচে যায়। সব কিছু হারিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে করতে আমার স্বামী ষ্টক করে মারা যায়। আহসান মিলিটারির স্ত্রী আরো বলেন মুছা জায়গার দালালী করতো আমার স্বামীর খুবই কাছের লোক ছিল আমাদের টাকা দিয়ে জায়গা কিনে সব জায়গা মুছার নামে নিয়েছে।এখন ও আমাদের অনেক জায়গা জাল দলিলপত্র বানিয়ে দখল করে রেখেছে।আমি বিধবা অসহায় তাই কিছু করার ক্ষমতা আমার নেই তবে প্রসাশন ও সাংবাদিকদের কাছে আমার একটাই চাওয়া আমার উপর যে অত্যচার নির্যাতন জুলুম করা হয়েছে আইনের আওতায় এনে দুর্র্ধষ চাঁদাবাঁজ ভুমিদৃশ্য মুছার বিচার করা দরকার। ধর্ষন, হত্যা গুম,চাঁদাবাজিঁ, জায়গা দখল, কোনটাই বাদ দেননি মুছা ।এখন মুখোশ পাল্টিয়ে সমাজের চোখে নিজেকে বিশিষ্ট ইটভাটা ব্যাবসায়ী ও হাজী মুছা হিসেবেই পরিচয় দিয়ে থাকেন। যে ইটের ভাটা টি ও জোর পূর্বক আমার স্বামীর নিকট থেকে প্রাণে মেরেফেলার হুমকি দিয়ে লিখে নিয়েছে।বর্তমানে মুছার অবৈধ সম্পদের পাহাড় তাই কাউকে সে গুনাই ধরে না।তবুও থেমে নেই দখলবাজী ও মিথ্য মামলা দিয়ে নিরিহ মানুষ কে হয়রানি করা। অনুসন্ধানে ডাকাত মুছার গ্রামের বাড়ি রসুনপুর গেলে এলাকার স্থায়ী বসবাসকারী জনগন বলেন মৃত ইসারত আলীর ছেলে মুছা বর্তমানে আলমডাঙ্গা থানা পাড়ার বাসিন্দা। রসুনপুর এলাকায় গৃহবধুকে ধর্ষনের দায়ে পালিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পাড়া এলাকায় চলে গেছে শুধু তাই নই আমরা শুনেছি আহসান মিলিটারি নামে এক লোকের নিকট থেকে জামজামি বাজারে ছয় কাঠ জমি ইটের ভাটা জোরপূর্বক দখল ও অর্থ আত্মসাত করেছে । মুছা এখন আলমডাঙ্গা থানা পাড়ায় থাকে তবে আমরা সাধারণ জনগণ যতটুকু জানি মুছা দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ও নারীলোভী ছিল। মুছা একাধিক ব্যাক্তির সাথে প্রতারণা করে জমি দখল নিয়েছে আর না পারলে মিথ্যামামলা দিয়ে সহজ সরল মানুষ কে দিনের পর দিন হয়রানি ও অর্থ হাতিয়ে নেওয়া মুছার মুল উদ্দেশ্য। তবে সব চেয়ে মজার বিষয়টি হলো মামলা করার পরে মুছা আর কখনো কোর্টে যায়না। মুছার মহুরীকে দিয়ে টাকার বিনিময়ে বছরের পর বছর মামলা চালাই। তার একান্ত সহযোগী ও পর্রামর্শ দাতা বিএনপির নামধারী কিছু সন্ত্রাসী গুন্ডা বাহিনী। বুঝতে আর বাকি থাকলো না জাল দলিল বানিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে অর্থ আত্মসাত করাই প্রতারক ভুমিদূশ্য মুসার কাজ। আলমডাঙ্গা থানা এলাকায় বসবাসকারী একাধিক ব্যাক্তি বলেন জায়গা জমি দখল ছাড়া ও নারী কেলেঙ্কারির সাথেও মুছা জড়িত ছিল। ভুমিদূস্য মুছার রোশানলে পড়ে অনেকেই সর্বশান্ত কেউ আবার অর্থ সম্পত্তি হারিয়ে ষ্টক করে মারা গেছে। সুত্রে আরো জানা যায় এলাকার বাসিন্দারা বলে যেমন বাপ তেমন বেটা। নেশার তাড়নায় মুছার ছেলে লিংকন। বাপ বেটার কাছে অসহায় নিরিহ কিছু মানুষ। সুশীল সমাজ, ভুক্তভোগী এলাকার সাধারণ জনগণের একটাই প্রত্যশা বিষটি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা। সেই সাথে আইনের মাধ্যমে প্রতারক মুছার চাঁদাবাজির মামলা তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচার হওয়া দরকার এটাই সুশীল সমাজ ওভুক্তভোগিদের প্রত্যশা। আরও বিস্তারিত দেখুন আগামী পর্বে।