ঢাকা ১০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা সিরাজদিখানে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি ও সাবেক নেত্রীবৃন্দের স্বরণে দোয়া ও আলোচনা সভা টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন গাজীপুরে চাঁদার দাবিতে বাড়ি ঘর ভাংচুরের অভিযোগ গোপালগঞ্জের হালিমের কথায় চলছে নন্দী পাড়া ভুমি অফিস গাজীপুরে StepUp অ্যাপ- এর প্রশিক্ষণ এবং কর্মশালা অনুষ্ঠিত আদমদীঘিতে মাদকসেবনের দায়ে চার জনকে ভ্রাম্যমাণ দিল ইউএনও আগরতলায় হাইকমিশনে হামলায় বাংলাদেশের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া গাজীপুরে অনুর্ধ ১৭ ফুটবল খেলায় বিকেএসপি ২-১ গোলে হারালো গাজীপুরকে

মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার গোলাম মোর্তজা ঘুষ ছাড়া স্পর্শ করেন না কোন দলিল!

মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা ঘুস ছাড়া কোন দলিল স্পর্শ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এর আগে গাইবান্ধায় থাকাকালে সীমাহীন অনিয়ম -দুর্নীতি করে আয়ের সাথে সংগতিহীন অর্থ সম্পদ অর্জন করায় দুদকে অভিযোগ দায়ের হয়। তখন তাকে মাগুরায় বদলী করা হয়। গত ০১/১২/২০২০ ইং তারিখে তিনি মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা যশোর। ০২/০৬/২০১৩ ইং তারিখে তিনি সাব রেজিস্ট্রার এর চাকুরীতে যোগদান করেন। মাত্র ৯ বছর তার চাকুরীর বয়স হলেও তিনি ঘুস -দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনেগেছেন। স্থানীয় দলিল লেখক ও ভুমি মালিকদের অভিযোগ থেকে জানাগেছে, সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গঠন করেন। পরবর্তীতে দলিল ও জমির ধরণ ভেদে ঘুসের রেট নির্ধারণ করে দেন। এ ছাড়া আন্ডারভ্যালু দলিলে তিনি তার দাবী মত ঘুস দিতে বাধ্য করেন। অভিযোগ মতে, বাংলাদেশের সব সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড এ দলিল রেজিষ্ট্রি হলেও মাগুরা সদর সাব রেজিষ্ট্রার সেটি মানছেন না । তিনি প্রতি দলিল ২০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে তবেই দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। তিনি হাউজিং কোম্পানি ( ডেভলপার) ও জমির মালিক ( ল্যান্ড ডোনার) চুক্তিনামা রেজিস্ট্রেশনে পাওয়ার দলিলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে থাকেন। কোন ডেভলপার এই পরিমাণ ঘুস না দিলে তার পাওয়ার দলিল আটকে রাখেন। একাধিক সূত্র জানায়, মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিমাসে প্রায় ১ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এসব দলিলের একটি বড় অংশেরই শ্রেণী পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে। অনেক জমিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ধরনের দলিল তৈরীতে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সাব রেজিস্টারসহ এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে । এ প্রসংগে কথা বললে মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা সেলফোনে জানান, আমি যোগদান করার পর এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে এই অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনে কোন ঘূস দিতে হয়না। তিনি দুদকের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এমন কোন তদন্ত সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ,নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

সরকারি নথি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে: ভূমি উপদেষ্টা

মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার গোলাম মোর্তজা ঘুষ ছাড়া স্পর্শ করেন না কোন দলিল!

আপডেট টাইম : ০২:৫২:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ জুলাই ২০২২

মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা ঘুস ছাড়া কোন দলিল স্পর্শ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তিনি এর আগে গাইবান্ধায় থাকাকালে সীমাহীন অনিয়ম -দুর্নীতি করে আয়ের সাথে সংগতিহীন অর্থ সম্পদ অর্জন করায় দুদকে অভিযোগ দায়ের হয়। তখন তাকে মাগুরায় বদলী করা হয়। গত ০১/১২/২০২০ ইং তারিখে তিনি মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেন। তার নিজ জেলা যশোর। ০২/০৬/২০১৩ ইং তারিখে তিনি সাব রেজিস্ট্রার এর চাকুরীতে যোগদান করেন। মাত্র ৯ বছর তার চাকুরীর বয়স হলেও তিনি ঘুস -দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কোটি কোটি টাকা ও সম্পদের মালিক বনেগেছেন। স্থানীয় দলিল লেখক ও ভুমি মালিকদের অভিযোগ থেকে জানাগেছে, সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে যোগদান করেই কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মচারিদের সমন্বয়ে একটি সিন্ডিকেট গঠন করেন। পরবর্তীতে দলিল ও জমির ধরণ ভেদে ঘুসের রেট নির্ধারণ করে দেন। এ ছাড়া আন্ডারভ্যালু দলিলে তিনি তার দাবী মত ঘুস দিতে বাধ্য করেন। অভিযোগ মতে, বাংলাদেশের সব সাব রেজিষ্ট্রার অফিসে আরএস চুড়ান্ত রেকর্ড এ দলিল রেজিষ্ট্রি হলেও মাগুরা সদর সাব রেজিষ্ট্রার সেটি মানছেন না । তিনি প্রতি দলিল ২০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে তবেই দলিল রেজিষ্ট্রি করেন। তিনি হাউজিং কোম্পানি ( ডেভলপার) ও জমির মালিক ( ল্যান্ড ডোনার) চুক্তিনামা রেজিস্ট্রেশনে পাওয়ার দলিলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঘুস নিয়ে থাকেন। কোন ডেভলপার এই পরিমাণ ঘুস না দিলে তার পাওয়ার দলিল আটকে রাখেন। একাধিক সূত্র জানায়, মাগুরা সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে প্রতিমাসে প্রায় ১ হাজার দলিল রেজিস্ট্রি হয়। এসব দলিলের একটি বড় অংশেরই শ্রেণী পরিবর্তন করে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে। অনেক জমিতেই সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কম মূল্য দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করায় প্রতিমাসে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সে হিসেবে বছরে কমপক্ষে ৬০ কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এ ধরনের দলিল তৈরীতে কোটি টাকার অবৈধ লেনদেনের সাথে সংশ্লিষ্ঠ সাব রেজিস্টারসহ এক শ্রেণীর দলিল লেখক ও সাব রেজিস্ট্রি অফিসের একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত রয়েছে । এ প্রসংগে কথা বললে মাগুরা সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: গোলাম মোর্তজা সেলফোনে জানান, আমি যোগদান করার পর এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। বর্তমানে এই অফিসে দলিল রেজিস্ট্রেশনে কোন ঘূস দিতে হয়না। তিনি দুদকের অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, এমন কোন তদন্ত সম্পর্কে তার কিছু জানা নেই। ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ,নিবন্ধন পরিদপ্তরের মহাপরিচালক ও দুর্নীতি দমন কমিশনের পদক্ষেপ কামনা করেছেন।