ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল! একসঙ্গে ৩ মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ- স্পীকার কুষ্টিয়াতে কনজুমারস এসোসিয়েশন-অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর মানববন্ধন নওগাঁয় আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আদমদিঘীতে ডাকাতি মামলার আরও একজন গ্রেফতার

মহম্মদপুরে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ

 

 

এম.এম.নবী :—
মাগুরার মহম্মদপুরের দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা এলাকায় প্রেমের সম্পর্ক ধরে বিয়ের প্রলোভনে ২০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে দোকানঘরে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সবুজ নামের এক মুদি দোকানদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পাল্লা ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা ও ধর্ষণকারীর পরিবারের মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এবিষয়ে মহম্মদপুর থানায় কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ধর্ষিতার নিকট থেকে জানা যায়, গত ৫ বছর যাবত পাল্লা চরপাড়া এলাকার শুকুর মেম্বারের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী সবুজ (২২) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তবে গত ৪ বছর পূর্বে কিশোরী ঢাকায় থাকার কারণে বছর খানেক তাদের প্রেমজ সম্পর্কের কিছুটা ভাটা পড়ে। একবছর বাদে প্রেমিক সবুজ বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে পুনরায় প্রেমের সম্পর্ক শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রেমিক সবুজ ওই কিশোরীর সাথে প্রায়শ বিভিন্ন স্থানে শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো।

কিশোরী আরও জানায়, ঘটনার রাতে প্রেমিক সবুজ ওই কিশোরীকে বিয়ে করবে মর্মে তাকে দেখা করতে বলে। সবুজের কথামত কিশোরী পাল্লা ঘাট এলাকায় আসার পর সবুজ তার মুদি দোকানে মধ্যে তাকে নিয়ে রাত যাপন ও ধর্ষণ করে। ভোর রাতে কিশোরী সবুজকে বিয়ের কথা বললে সবুজ ও কিশোরীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লোক জানাজানি হলে, সবুজের পরিবারের সদস্যরা এসে দোকানঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চোর সাব্যস্ত করে গাছের সাথে বেধে রেখে সবুজকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

পরে একই গ্রামে বসবাসকারী সবুজের খালু মফিজার মোল্যার মাধ্যমে ধর্ষিতাকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এখবর কিশোরীর এলাকায় জানাজনি হলে লোকলজ্জার ভয়ে তার মা তাকে সবুজের খালু মফিজারের বাড়িতে রেখে যান। শুক্রবার রাতে স্থানীয়রা ঘটনাটি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। পরে শনিবার ধর্ষিতা থানায় এসে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করে।

ধর্ষক প্রেমিক সবুজের বাড়িতে গিয়ের তার বাবা শুকুর মোল্যা ও মাতা রেখা বেগমের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সবুজ পলাতক রয়েছেন।

এবিষয়ে সবুজের খালু মফিজার মোল্যা বলেন ঘটনা যা ঘটেছে সেটা সত্য। আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে মিমাংশার চেষ্টা চালিয়েছি কিন্তু সমাধান হয়নি।

মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম (অঃ দাঃ) বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত  ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

 

ট্যাগস

পটুয়াখালী পৌর কৃষকলীগ নেতার আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল!

মহম্মদপুরে বিয়ের প্রলোভনে কিশোরীকে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ

আপডেট টাইম : ০১:০৪:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ অগাস্ট ২০২২

 

 

এম.এম.নবী :—
মাগুরার মহম্মদপুরের দীঘা ইউনিয়নের পাল্লা এলাকায় প্রেমের সম্পর্ক ধরে বিয়ের প্রলোভনে ২০ বছর বয়সি এক কিশোরীকে দোকানঘরে আটকে রেখে রাতভর ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সবুজ নামের এক মুদি দোকানদারের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার পাল্লা ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা ও ধর্ষণকারীর পরিবারের মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। এবিষয়ে মহম্মদপুর থানায় কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী ধর্ষিতার নিকট থেকে জানা যায়, গত ৫ বছর যাবত পাল্লা চরপাড়া এলাকার শুকুর মেম্বারের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী সবুজ (২২) এর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। তবে গত ৪ বছর পূর্বে কিশোরী ঢাকায় থাকার কারণে বছর খানেক তাদের প্রেমজ সম্পর্কের কিছুটা ভাটা পড়ে। একবছর বাদে প্রেমিক সবুজ বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে পুনরায় প্রেমের সম্পর্ক শুরু করে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রেমিক সবুজ ওই কিশোরীর সাথে প্রায়শ বিভিন্ন স্থানে শারিরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতো।

কিশোরী আরও জানায়, ঘটনার রাতে প্রেমিক সবুজ ওই কিশোরীকে বিয়ে করবে মর্মে তাকে দেখা করতে বলে। সবুজের কথামত কিশোরী পাল্লা ঘাট এলাকায় আসার পর সবুজ তার মুদি দোকানে মধ্যে তাকে নিয়ে রাত যাপন ও ধর্ষণ করে। ভোর রাতে কিশোরী সবুজকে বিয়ের কথা বললে সবুজ ও কিশোরীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে লোক জানাজানি হলে, সবুজের পরিবারের সদস্যরা এসে দোকানঘর থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে চোর সাব্যস্ত করে গাছের সাথে বেধে রেখে সবুজকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে।

পরে একই গ্রামে বসবাসকারী সবুজের খালু মফিজার মোল্যার মাধ্যমে ধর্ষিতাকে তার পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এখবর কিশোরীর এলাকায় জানাজনি হলে লোকলজ্জার ভয়ে তার মা তাকে সবুজের খালু মফিজারের বাড়িতে রেখে যান। শুক্রবার রাতে স্থানীয়রা ঘটনাটি গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়। পরে শনিবার ধর্ষিতা থানায় এসে পুলিশের সহায়তা গ্রহণ করে।

ধর্ষক প্রেমিক সবুজের বাড়িতে গিয়ের তার বাবা শুকুর মোল্যা ও মাতা রেখা বেগমের সাথে কথা বললে তারা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত সবুজ পলাতক রয়েছেন।

এবিষয়ে সবুজের খালু মফিজার মোল্যা বলেন ঘটনা যা ঘটেছে সেটা সত্য। আমরা বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করে মিমাংশার চেষ্টা চালিয়েছি কিন্তু সমাধান হয়নি।

মহম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুল ইসলাম (অঃ দাঃ) বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত  ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।