ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই ২০২৪, ৮ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

থানায় মৃত্যু: সুমনের মরদেহ বুঝে নিল পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
দুইদিন মর্গে পরে থাকার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখ ওরফে রুম্মনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে বাবা পিয়ার আলী। সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা পোনে ৩টার দিকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দেওয়া হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুল হাসপাতালে গোসল করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে আজিমপুর কবরস্থানে অথবা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জে দাফন করা হবে। এদিকে নিহত সুমন শেখের স্বজনরা থানা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করতে গেছেন বলে জানা গেছে। নিহত সুমনের স্ত্রী জান্নাত আক্তারের ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, জান্নাত আজকে শারীরিকভাবে অসুস্থ। মামলা করার জন্য আমরা আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি। আমরা কেউ মরদেহ গ্রহণ করতে যায়নি, পুলিশ হয়তো সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দিয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার বাসা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাতিরঝিল থানা হাজতে রুম্মনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, ৫৩ লাখ টাকা চুরির একটি মামলার আসামি ছিলেন রুম্মন। তাকে শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। পরে তিনি হাজতে নিজের পরিহিত ট্রাউজার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখকে আটকের সময় আচমকা মারধর করা হয়। তিনি যেখানে চাকরি করতেন সেই মেসার্স মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের এক কর্মকর্তাও তাকে লাথি দেন। এ সময় পুলিশও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাকে। সুমনের স্ত্রী জান্নাত খাতুন, স্বজন ও সহকর্মীদের দাবি, সুমন আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে থানায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। অথবা অমানুষিক নির্যাতনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। সুমনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে রোববার দিনভর চলেছে নানা নাটকীয়তা। মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় বলে দাবি স্বজনদের। সেই শর্ত না মেনে স্ত্রী জান্নাত ঢাকার মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে যান মামলা করতে। তবে তিনি বিকেল পর্যন্ত মামলা করতে পারেননি বলে জানান। সুমনের স্ত্রী জান্নাত রোববার দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় লাশ নিয়ে রামপুরার বাসায় যাওয়া যাবে না। মরদেহ নিয়ে তাদের সোজা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জের চলে যেতে হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

থানায় মৃত্যু: সুমনের মরদেহ বুঝে নিল পরিবার

আপডেট টাইম : ০৪:২৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার
দুইদিন মর্গে পরে থাকার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখ ওরফে রুম্মনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে বাবা পিয়ার আলী। সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা পোনে ৩টার দিকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দেওয়া হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুল হাসপাতালে গোসল করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে আজিমপুর কবরস্থানে অথবা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জে দাফন করা হবে। এদিকে নিহত সুমন শেখের স্বজনরা থানা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করতে গেছেন বলে জানা গেছে। নিহত সুমনের স্ত্রী জান্নাত আক্তারের ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, জান্নাত আজকে শারীরিকভাবে অসুস্থ। মামলা করার জন্য আমরা আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি। আমরা কেউ মরদেহ গ্রহণ করতে যায়নি, পুলিশ হয়তো সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দিয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার বাসা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাতিরঝিল থানা হাজতে রুম্মনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, ৫৩ লাখ টাকা চুরির একটি মামলার আসামি ছিলেন রুম্মন। তাকে শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। পরে তিনি হাজতে নিজের পরিহিত ট্রাউজার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখকে আটকের সময় আচমকা মারধর করা হয়। তিনি যেখানে চাকরি করতেন সেই মেসার্স মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের এক কর্মকর্তাও তাকে লাথি দেন। এ সময় পুলিশও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাকে। সুমনের স্ত্রী জান্নাত খাতুন, স্বজন ও সহকর্মীদের দাবি, সুমন আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে থানায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। অথবা অমানুষিক নির্যাতনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। সুমনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে রোববার দিনভর চলেছে নানা নাটকীয়তা। মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় বলে দাবি স্বজনদের। সেই শর্ত না মেনে স্ত্রী জান্নাত ঢাকার মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে যান মামলা করতে। তবে তিনি বিকেল পর্যন্ত মামলা করতে পারেননি বলে জানান। সুমনের স্ত্রী জান্নাত রোববার দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় লাশ নিয়ে রামপুরার বাসায় যাওয়া যাবে না। মরদেহ নিয়ে তাদের সোজা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জের চলে যেতে হবে।