মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
১৬ ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে ওমরা ভিসা নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌদি আরব, বিমানবন্দরে আটক পেট্রোল পাম্প মালিকদের কমিশন ও পরিবহন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি শেখ হাসিনার জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী—হাসিব আলম তালুকদার বিএনপি মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়েছে—জাহাঙ্গীর কবির নানক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শ্রীপুর কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ ভালো কাজ হচ্ছে জানালেন এলাকাবাসী ত্রিশালে চরিত্রহীন শিক্ষককে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে আনতে ইমামকে লাঞ্চিত করলো কমিটি! আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
থানায় মৃত্যু: সুমনের মরদেহ বুঝে নিল পরিবার

থানায় মৃত্যু: সুমনের মরদেহ বুঝে নিল পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
দুইদিন মর্গে পরে থাকার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখ ওরফে রুম্মনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে বাবা পিয়ার আলী। সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা পোনে ৩টার দিকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দেওয়া হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুল হাসপাতালে গোসল করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে আজিমপুর কবরস্থানে অথবা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জে দাফন করা হবে। এদিকে নিহত সুমন শেখের স্বজনরা থানা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করতে গেছেন বলে জানা গেছে। নিহত সুমনের স্ত্রী জান্নাত আক্তারের ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, জান্নাত আজকে শারীরিকভাবে অসুস্থ। মামলা করার জন্য আমরা আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি। আমরা কেউ মরদেহ গ্রহণ করতে যায়নি, পুলিশ হয়তো সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দিয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার বাসা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাতিরঝিল থানা হাজতে রুম্মনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, ৫৩ লাখ টাকা চুরির একটি মামলার আসামি ছিলেন রুম্মন। তাকে শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। পরে তিনি হাজতে নিজের পরিহিত ট্রাউজার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখকে আটকের সময় আচমকা মারধর করা হয়। তিনি যেখানে চাকরি করতেন সেই মেসার্স মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের এক কর্মকর্তাও তাকে লাথি দেন। এ সময় পুলিশও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাকে। সুমনের স্ত্রী জান্নাত খাতুন, স্বজন ও সহকর্মীদের দাবি, সুমন আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে থানায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। অথবা অমানুষিক নির্যাতনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। সুমনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে রোববার দিনভর চলেছে নানা নাটকীয়তা। মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় বলে দাবি স্বজনদের। সেই শর্ত না মেনে স্ত্রী জান্নাত ঢাকার মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে যান মামলা করতে। তবে তিনি বিকেল পর্যন্ত মামলা করতে পারেননি বলে জানান। সুমনের স্ত্রী জান্নাত রোববার দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় লাশ নিয়ে রামপুরার বাসায় যাওয়া যাবে না। মরদেহ নিয়ে তাদের সোজা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জের চলে যেতে হবে।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com