ঢাকা ০৪:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা পঞ্চগড়ে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদকসহ মা-ছেলে আটক ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্তদের নিয়োগ করা হবে- স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কে এই শরীফ জহির? এলডিসি দেশগুলোর জন্য ২০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দে ইইউ-এর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ কক্সবাজার সফরকালে যৌথ বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শনে সালাউদ্দিন চৌধুরী ডিসেম্বরে ভারতের সাথে এফওসি বৈঠক, এজেন্ডা এখনো চূড়ান্ত নয় গাজীপুরে ঝুকিপূর্ণ রেলক্রসিংয়ে ফুটওভার ব্রীজের দাবীতে মানববন্ধন গাজীপুরে ২১০ পিস ইয়াবা ও সাড়ে ১১ লাখ টাকাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার প্রকল্পের টাকা হরিলুটের অভিযোগ ইউএনও এবং পিআইও’র বিরুদ্ধে

থানায় মৃত্যু: সুমনের মরদেহ বুঝে নিল পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার
দুইদিন মর্গে পরে থাকার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখ ওরফে রুম্মনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে বাবা পিয়ার আলী। সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা পোনে ৩টার দিকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দেওয়া হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুল হাসপাতালে গোসল করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে আজিমপুর কবরস্থানে অথবা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জে দাফন করা হবে। এদিকে নিহত সুমন শেখের স্বজনরা থানা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করতে গেছেন বলে জানা গেছে। নিহত সুমনের স্ত্রী জান্নাত আক্তারের ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, জান্নাত আজকে শারীরিকভাবে অসুস্থ। মামলা করার জন্য আমরা আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি। আমরা কেউ মরদেহ গ্রহণ করতে যায়নি, পুলিশ হয়তো সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দিয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার বাসা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাতিরঝিল থানা হাজতে রুম্মনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, ৫৩ লাখ টাকা চুরির একটি মামলার আসামি ছিলেন রুম্মন। তাকে শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। পরে তিনি হাজতে নিজের পরিহিত ট্রাউজার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখকে আটকের সময় আচমকা মারধর করা হয়। তিনি যেখানে চাকরি করতেন সেই মেসার্স মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের এক কর্মকর্তাও তাকে লাথি দেন। এ সময় পুলিশও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাকে। সুমনের স্ত্রী জান্নাত খাতুন, স্বজন ও সহকর্মীদের দাবি, সুমন আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে থানায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। অথবা অমানুষিক নির্যাতনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। সুমনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে রোববার দিনভর চলেছে নানা নাটকীয়তা। মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় বলে দাবি স্বজনদের। সেই শর্ত না মেনে স্ত্রী জান্নাত ঢাকার মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে যান মামলা করতে। তবে তিনি বিকেল পর্যন্ত মামলা করতে পারেননি বলে জানান। সুমনের স্ত্রী জান্নাত রোববার দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় লাশ নিয়ে রামপুরার বাসায় যাওয়া যাবে না। মরদেহ নিয়ে তাদের সোজা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জের চলে যেতে হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সীগঞ্জে কৃষকদের ন্যায্য মূল্যে বীজ আলু ও সার প্রাপ্তি নিশ্চিতকরনের লক্ষে অবহিতকরণ সভা

থানায় মৃত্যু: সুমনের মরদেহ বুঝে নিল পরিবার

আপডেট টাইম : ০৪:২৬:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার
দুইদিন মর্গে পরে থাকার পর রাজধানীর হাতিরঝিল থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখ ওরফে রুম্মনের মরদেহ বুঝে নিয়েছে বাবা পিয়ার আলী। সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা পোনে ৩টার দিকে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন। তিনি বলেন, সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দেওয়া হয়েছে। মরদেহ বর্তমানে মোহাম্মদপুরের আল মারকাজুল হাসপাতালে গোসল করানো হচ্ছে। পরবর্তীতে আজিমপুর কবরস্থানে অথবা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জে দাফন করা হবে। এদিকে নিহত সুমন শেখের স্বজনরা থানা হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে আজ ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলা করতে গেছেন বলে জানা গেছে। নিহত সুমনের স্ত্রী জান্নাত আক্তারের ভাই মোশারফ হোসেন বলেন, জান্নাত আজকে শারীরিকভাবে অসুস্থ। মামলা করার জন্য আমরা আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি। আমরা কেউ মরদেহ গ্রহণ করতে যায়নি, পুলিশ হয়তো সুমনের বাবার কাছে মরদেহ দিয়েছে। গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার বাসা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাতিরঝিল থানা হাজতে রুম্মনের মৃত্যু হয়। পুলিশের দাবি তিনি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ জানান, ৫৩ লাখ টাকা চুরির একটি মামলার আসামি ছিলেন রুম্মন। তাকে শুক্রবার বিকেলে ওই মামলায় গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখা হয়। পরে তিনি হাজতে নিজের পরিহিত ট্রাউজার দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিন্তু পরিবারের দাবি, থানা হেফাজতে মারা যাওয়া সুমন শেখকে আটকের সময় আচমকা মারধর করা হয়। তিনি যেখানে চাকরি করতেন সেই মেসার্স মাসুদ অ্যান্ড ব্রাদার্সের এক কর্মকর্তাও তাকে লাথি দেন। এ সময় পুলিশও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে তাকে। সুমনের স্ত্রী জান্নাত খাতুন, স্বজন ও সহকর্মীদের দাবি, সুমন আত্মহত্যা করতে পারেন না। তাকে থানায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। অথবা অমানুষিক নির্যাতনের কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। সুমনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা নিয়ে রোববার দিনভর চলেছে নানা নাটকীয়তা। মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় বলে দাবি স্বজনদের। সেই শর্ত না মেনে স্ত্রী জান্নাত ঢাকার মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিম আদালতে যান মামলা করতে। তবে তিনি বিকেল পর্যন্ত মামলা করতে পারেননি বলে জানান। সুমনের স্ত্রী জান্নাত রোববার দেশ রূপান্তরকে বলেন, হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর মরদেহ নিতে গেলে পুলিশ শর্ত দেয় লাশ নিয়ে রামপুরার বাসায় যাওয়া যাবে না। মরদেহ নিয়ে তাদের সোজা গ্রামের বাড়ি নবাবগঞ্জের চলে যেতে হবে।