ঢাকা ০৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান তীব্র দাবদাহে নওগাঁয় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি’র বিনামূল্যে পানি বিতরণ দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড শিশু অধিকার বিষয়ক সচেতনতা সৃষ্টিতে মিডিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ- স্পীকার কুষ্টিয়াতে কনজুমারস এসোসিয়েশন-অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর মানববন্ধন নওগাঁয় আপন ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বোনের সংবাদ সম্মেলন আদমদিঘীতে ডাকাতি মামলার আরও একজন গ্রেফতার মধুমতি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ডকে নৃশংসভাবে হত্যাকারী গ্রেফতার, কুষ্টিয়ার উদিবাড়িয়া কলোনিতে দীর্ঘদিন যাবত মাদকের স্বর্গ রাজ্য গড়ে তুলেছেন

সেই মহরম আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় লাঠিপেটার ঘটনায় গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

সোমবার (২২ আগস্ট) বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি বলেন, ‘১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের আচরণ পুলিশ সার্ভিস রুলের পরিপন্থি হওয়ায় কমিটি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। যেহেতু তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছেন, তাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে, তার সব কিছুই খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে। এ সময় বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বের হন এমপি শম্ভু। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কাছে লাঠিপেটার কারণ জানতে চান তিনি। তখন মহরম আলী এমপির সঙ্গে তর্কে জড়ান। বলেন, ‘স্যার, আমাদের গাড়ি ভেঙেছে ছাত্রলীগ। আমাদের গাড়ি ভাঙল কেন জবাব দিয়ে যেতে হবে।’

ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মোল্লার বড় ভাই জসীম মোল্লা পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে এমপি শম্ভুর কাছে অভিযোগ করতে থাকলে এমপির সামনেই জসীম মোল্লাকে এএসপি মহরম ধমক দিয়ে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের অ্যাকশন হবে কিন্তু।’

জবাবে জসীম বলেন, ‘মামলা দেন, মারলেন কেন?’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এমপির সামনেই ডিবি পুলিশ জসীম মোল্লাকে পিটুনির পর আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে এমপির নির্দেশে পুলিশ জসীম মোল্লাকে ছেড়ে দেয়।

পরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ সরকার ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন খান।

ট্যাগস

কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান

সেই মহরম আলীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ

আপডেট টাইম : ০৪:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ অগাস্ট ২০২২

অনলাইন ডেস্ক

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় লাঠিপেটার ঘটনায় গঠিত পুলিশের তদন্ত কমিটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মহরম আলীসহ ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রমাণ পেয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি।

সোমবার (২২ আগস্ট) বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এস এম আক্তারুজ্জামান সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ডিআইজি বলেন, ‘১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের আচরণ পুলিশ সার্ভিস রুলের পরিপন্থি হওয়ায় কমিটি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে। যেহেতু তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আছেন, তাই পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনায় পুলিশের পেশাদারিত্ব কতটা ছিল, ঘটনাস্থলে কী কী হয়েছে, তার সব কিছুই খতিয়ে দেখা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধুর ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি কমপ্লেক্সে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে ফেরার সময় শিল্পকলা একাডেমির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের ওপর পদবঞ্চিত কয়েকজন হামলা চালায়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের মধ্যেই পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মীদের মারধর করে। এ সময় বরগুনা-১ আসনের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুসহ আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা যুবলীগের সভাপতি রেজাউল করিম এটম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে বের হন এমপি শম্ভু। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীর কাছে লাঠিপেটার কারণ জানতে চান তিনি। তখন মহরম আলী এমপির সঙ্গে তর্কে জড়ান। বলেন, ‘স্যার, আমাদের গাড়ি ভেঙেছে ছাত্রলীগ। আমাদের গাড়ি ভাঙল কেন জবাব দিয়ে যেতে হবে।’

ওই সময় জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সবুজ মোল্লার বড় ভাই জসীম মোল্লা পুলিশের লাঠিপেটা নিয়ে এমপি শম্ভুর কাছে অভিযোগ করতে থাকলে এমপির সামনেই জসীম মোল্লাকে এএসপি মহরম ধমক দিয়ে বলেন, ‘গাড়ি ভাঙচুরের অ্যাকশন হবে কিন্তু।’

জবাবে জসীম বলেন, ‘মামলা দেন, মারলেন কেন?’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে এমপির সামনেই ডিবি পুলিশ জসীম মোল্লাকে পিটুনির পর আটক করে নিয়ে যেতে চাইলে এমপির নির্দেশে পুলিশ জসীম মোল্লাকে ছেড়ে দেয়।

পরে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এস এম তারেক রহমানকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পাথরঘাটা সার্কেল) তোফায়েল আহমেদ সরকার ও জেলা পুলিশ কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহাবুদ্দীন খান।