নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহায়তা নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নেব। এটা আমাদের সিদ্ধান্তে আছে। সরকারকে প্রস্তাব দেব সেনাবাহিনীর সহায়তা দেওয়ার জন্য। জাতীয় নির্বাচনের সময় সেনা সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সাহায্যকারী হিসেবে থাকেন, টহল দেন। যেখানে যখন ডাক পড়ে সেখানে যান।’
তবে সেনা সদস্যদের কোনও বিচারিক ক্ষমতা না দেওয়ার কথা জানিয়ে মো. আলমগীর বলেন, ‘স্ট্যান্ডিং ফোর্স বা টহল ও ইভিএমে টেকনিক্যাল সহায়তাকারী হিসেবে তারা থাকবেন।’
সরকারের কাছে যেকোনো সংস্থার সহযোগিতা নির্বাচন কমিশন চাইতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কয়েকটা রাজনৈতিক দলের প্রস্তাব ছিল যেন নির্বাচনের সময় স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন, স্থানীয় সরকার ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কমিশনের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। আমরা সেটার সঙ্গে একমত হইনি।’
ইভিএমে ভোট ৫০ আসনেও হতে পারে
সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও কতগুলো আসনে এই মেশিন ব্যবহার হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি বলে জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের সক্ষমতা আছে ৭০-৮০টা আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়ার। পরিস্থিতি যদি এমন হয় যে, আমরা ১৫০ আসনেই করতে পারবো, তাহলে ১৫০ আসনেই করবো। আর যদি আমাদের প্রকিউরমেন্ট করা সম্ভব না হয় (নতুন মেশিন কেনা না গেলে) তাহলে ৭০-৮০ আসনেই হতে পারে। মেশিন যদি আরও নষ্ট হয়ে যায় তাহলে ৫০টায় ভোট হতে পারে।’
১৫০ আসনে ভোট করতে আরও দেড় থেকে দুই লাখ ইভিএম কিনতে হবে বলে জানান এই কমিশনার।