ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আট তলার অনুমোদনে দশ তলা সহযোগীতায় রাজউক কর্মকর্তা (পর্ব-১)

সোহেল রানা
রাজধানী তেজগাও পশ্চিম তেজতুরী বাজার ২৩/৩/২ এর ঠিকানায় ইপিক প্রপার্টিজ কোম্পানি লিমিটেড রাজউক থেকে ৮ তলা পর্যন্ত প্লান পাশ নিয়ে সেখানে অবৈধ ভাবে ১০ তলা ভবন নির্মান করেন। রাজউক জোন-৫ এর অথরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান হোসেন জাহির অবৈধ ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিত নোটিশ পাঠিয়ে সর্তকবাণীদেন এবং বলা হয় ১ সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত তলা গুলো ভেঙ্গে দিতে এবং আরও বলা হয় উক্ত সময়ের মধ্যে না ভাঙ্গিলে রাজউক ব্যবস্থা নিবে। এই ভাবে ওই অথরাইজড অফিসার আরও পর পর ২টা নোটিশ পাঠায়। কিন্তু কোন নোটিশ রাজউকের কাজে আসে নাই। হঠাৎ করে সব কিছু থমকে গেলো। কি জন্য রাজউক থমকে গেলো সেই তথ্য বের করতে মাঠে নামে “খবর বাংলাদেশ” টিম। তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া যায় ভয়াবহ চিত্র, এবং রাজউক কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে ওই অবৈধ ভবণ টিকিয়ে রাখতে। রাজউক জোন-৫ এর পরিচালক ও অথরাইজড অফিসার সহ একাধিক ব্যাক্তি জড়িত বলে সুত্রে জানা যায়। সরোজমিনে গিয়ে কথা বললে, রাজউক জোন-৫ এর পরিচালক শাহআলম চৌধুরী বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি বলেন আমরা জানিনা বিষয়টি দেখবো। অর্থরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান হোসেন জাহির এর পাঠানো নোটিশে অবৈধ ইমারত নির্মাণ ভেঙ্গে ফেলার জন্য বলা হলেও কোন রহস্য কারণে পরবর্তীতে ইমারত নির্মাণ বৈধ করে দেয়। সরেজমিনে গেলে ইপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড এর করা ওই ভবনের গেটের সিকিউরিটি সাংবাদিকদের বলেন এই বিষয়ে ইনঞ্জিনিয়ার নান্টু সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন। দীর্ঘসময় গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকার পরেও কেউ কথা বলতে রাজি হননি। আর সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার নিখিল দাস নান্টু ভবণের পিছন পাশ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অবৈধ ওই ভবণ নির্মাণ এর সাথে রয়েছে রাজউক এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী। রাজউক এর নক্সার অনুমোদন না মেনে ইমারত নির্মাণ করা ইপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার নিখিল দাস ওরফে নান্টুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান কোম্পানি যে ভাবে আমাকে ভবন নির্মাণ করতে বলেছে আমি সেই ভাবে করেছি অনিয়ম ও নক্সার প্লান কেন মানা হয়নি জানতে চাইলে বলেন সেই বিষয়ে যারা মালিক তাদের সাথে কথা বলেন অথবা রাজউকের স্যারদের সাথে কথা বলেন আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাইনা বলে মোবাইলে বলে ফোন কেটে দেন। ইঞ্জিনিয়ার নিখিল দাশ আট তলা ভবনকে দশ তলা বানিয়ে অবৈধকে বৈধ করার জন্য রাজউক সহ বিভিন্ন জায়গা টাকার বিনিময়ে তদবির করে বিল্ডিং টি বৈধ করেছেন বলে জানা যায়। ইপিক প্রপার্টিজ লিঃ এর পরিচালক সেলিম আলমগীর এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান অবৈধভাবে ইমারত নির্মাণ এবং রাজউক থেকে ভাঙ্গার নোটিশ বিষয়ে তিনি অবগত নন, এবং এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। গত ৩/৭/২০২২ ইং তারিখে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ ঢাকা অথরাইজড অফিসার জোন-৫ মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন (জাহির) অনুমোদিত নক্সার বিচ্যুতি সম্পর্কিত একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠান ইপিক প্রপাটিজ এর মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ একরামুল করিম এর বরাবর। সরেজমিনে ২৩/৩/২/ পশ্চিম তেজতুরি বাজার এই ঠিকানাই গেলে ইপিক প্রপ্রার্টিজ লিঃ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী ভবনের মুল গেটে সিকিউরিটির কে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। বার বার চেষ্টা করেও ইপিক প্রপার্টিজ লিঃ এর কতৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি। তবে এলাকার বাসির অভিযোগ রাজউক এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা রহস্য জনক কারণে অবৈধ ভবণকে বৈধতা দিয়েছে তাদের মধ্য প্রধান রাজউক এর অথরাইজাড কর্মকতা নুরুজ্জামান হোসেন জাহির ও জোন-৫ এর পরিচালক শাহ আলম চৌধুরী। অনিয়ম অবৈধ স্থাপত্য নির্মাণের সহযোগী অথরাইজড জোন-৫ এর কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান এর মোবাইল ফোন ০১৭৩০-০১৩৯২৯ যোগাযোগ করলে মোবাইল নাম্বার টি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি রাজউক অফিসে গিয়েও অর্থরাইজড অফিসার নুরুজ্জামানের দেখা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে জোন- ৫ এর পরিচালক শাহ আলম চৌধুরীকে বিষয়টি অবগত করা হয় এবং তিনি বলেন আমি যতটুকু জানি ভবনটি ভাঙ্গার বিষয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে এবং নুরুজ্জামান সাহেবকে বলবো এই বিষয়টি দেখার জন্য কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। মনে হচ্ছে শস্যর মধ্যই ভুত। নোটিশে বলা হয়েছিল আপনাদের নির্মিত /নির্মাণাধীন ইমারত স্থাপনার অনুমোদিত নক্সার ব্যত্যয়/ব্যতিক্রম অংশ অবৈধ এবং তা ভেঙ্গে ফেলা/অপসারন এবং ০৭(সাত)দিনের মধ্য লিখিত ভাবে নিম্মসাক্ষরকারী বরাবর কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান । উল্লেখ্য ব্যর্থতায় ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ইপিক প্রপাটিজ কতৃপক্ষ নোটিশের জবাবে ১৮/০৭/২০২২ইং তারিখে অথরাইজড অফিসার বরাবর লিখেছেন ইমারত নির্মাণকাজের অনুমোদিত নক্সার বাইরে যে স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়েছে সেটা অপসারণ করা হবে। নির্মাণে যে ব্যত্যয় হয়েছে মর্মে অভিযোগ আছে তা নিরসন কল্পে আমরা রাজউক এর সহযোগিতা নিয়ে বিচ্যুতি অংশ সংশোধন করতে অঙ্গীকার করছি। কিন্তু অপসারণ ও ভেঙ্গে ফেলা তো দুরের কথা ৮তলার অনুমোদন নিয়ে বানিয়েছেন দশ তলা। দক্ষিণ পাশে অনুমোদিত নকশা মোতাবেক সেটব্যক ৪.৬৫/৩.৯১মিটার,সরেজমিনে প্রাপ্ত ১.৯৮/১.২৫মিটার,ব্যত্যয় অংশ ২.৬৭/২.৬৬ মিটার। পূর্ব পাশে অনুমোদিত সেটব্যক ২.৮১/১.৩০মিটার,প্রাপ্ত ১.৮৩/১.৪০মিটার,ব্যত্যয়০.৯৮/০.০ মিটার। তবে অথরাইজড অফিসার জোন-৫/১.৫/২.৫/৩.মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন জাহির ৪/৮/২০২২-ইং তারিখের ফাইনাল নোটিশে লিখেছেন আপনাদের নির্মাণধীন ভবনের অনুমোদিত নক্সার ব্যত্যয়/ব্যতিক্রম অংশ কেন ভাঙ্গা বা অপসারণ এবং কাজ বন্ধ করা হয় নাই,এবং উক্ত নোটিশে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হওয়াই আপনাদেরকে ০৭ (সাত) দিনের মধ্য নক্সায় ব্যত্যয়/ব্যতিক্রম অংশ ভেঙ্গে অপসারণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। উল্লেখ্য উক্ত অবৈধ অবকাঠামো রাজউক কর্তৃক ভেঙ্গে অপসারণ করা হবে। ভবণ আইন নির্মাণ আইনের সংশিষ্ট ধারা অনুযায়ী ভেঙ্গে অপসারণ বাবদ যাবতীয় খরচ আপনার /আপনাদের নিকট হতে আদায় করা হবে ইহাই চুড়ান্ত নোটিশ বলে গণ্য করা হবে। রাজউক উন্নয়ন কতৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ওই ভবণকে বৈধ বলে গন্য করেছে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে। তথ্য অনুসন্ধানে একাধিক ব্যক্তি বলেন অপসারণ ও না ভেঙ্গে ৮তলা অনুমোদিত ভবনকে ১০ তলা বানিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য নুরুজ্জামান সহ উপরে ও নিচের স্যারদের অবৈধ অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে ভবনটি এখনো দাড়িয়ে রেখেছেন ইপিক প্রপ্রাটিজ কর্তৃপক্ষ । আরও বিস্তারিত আগামী পর্বে চোখ রাখুন।

ট্যাগস

আট তলার অনুমোদনে দশ তলা সহযোগীতায় রাজউক কর্মকর্তা (পর্ব-১)

আপডেট টাইম : ০৫:২৫:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

সোহেল রানা
রাজধানী তেজগাও পশ্চিম তেজতুরী বাজার ২৩/৩/২ এর ঠিকানায় ইপিক প্রপার্টিজ কোম্পানি লিমিটেড রাজউক থেকে ৮ তলা পর্যন্ত প্লান পাশ নিয়ে সেখানে অবৈধ ভাবে ১০ তলা ভবন নির্মান করেন। রাজউক জোন-৫ এর অথরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান হোসেন জাহির অবৈধ ভবন নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লিখিত নোটিশ পাঠিয়ে সর্তকবাণীদেন এবং বলা হয় ১ সপ্তাহের মধ্যে অতিরিক্ত তলা গুলো ভেঙ্গে দিতে এবং আরও বলা হয় উক্ত সময়ের মধ্যে না ভাঙ্গিলে রাজউক ব্যবস্থা নিবে। এই ভাবে ওই অথরাইজড অফিসার আরও পর পর ২টা নোটিশ পাঠায়। কিন্তু কোন নোটিশ রাজউকের কাজে আসে নাই। হঠাৎ করে সব কিছু থমকে গেলো। কি জন্য রাজউক থমকে গেলো সেই তথ্য বের করতে মাঠে নামে “খবর বাংলাদেশ” টিম। তথ্য অনুসন্ধানে পাওয়া যায় ভয়াবহ চিত্র, এবং রাজউক কর্মকর্তা কর্মচারীরা জড়িত রয়েছে ওই অবৈধ ভবণ টিকিয়ে রাখতে। রাজউক জোন-৫ এর পরিচালক ও অথরাইজড অফিসার সহ একাধিক ব্যাক্তি জড়িত বলে সুত্রে জানা যায়। সরোজমিনে গিয়ে কথা বললে, রাজউক জোন-৫ এর পরিচালক শাহআলম চৌধুরী বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি বলেন আমরা জানিনা বিষয়টি দেখবো। অর্থরাইজড অফিসার নুরুজ্জামান হোসেন জাহির এর পাঠানো নোটিশে অবৈধ ইমারত নির্মাণ ভেঙ্গে ফেলার জন্য বলা হলেও কোন রহস্য কারণে পরবর্তীতে ইমারত নির্মাণ বৈধ করে দেয়। সরেজমিনে গেলে ইপিক প্রপার্টিজ লিমিটেড এর করা ওই ভবনের গেটের সিকিউরিটি সাংবাদিকদের বলেন এই বিষয়ে ইনঞ্জিনিয়ার নান্টু সাহেবের সাথে যোগাযোগ করেন। দীর্ঘসময় গেটের সামনে দাড়িয়ে থাকার পরেও কেউ কথা বলতে রাজি হননি। আর সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইঞ্জিনিয়ার নিখিল দাস নান্টু ভবণের পিছন পাশ দিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। অবৈধ ওই ভবণ নির্মাণ এর সাথে রয়েছে রাজউক এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারী। রাজউক এর নক্সার অনুমোদন না মেনে ইমারত নির্মাণ করা ইপিক প্রপার্টিজ লিমিটেডের কর্মরত ইঞ্জিনিয়ার নিখিল দাস ওরফে নান্টুর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান কোম্পানি যে ভাবে আমাকে ভবন নির্মাণ করতে বলেছে আমি সেই ভাবে করেছি অনিয়ম ও নক্সার প্লান কেন মানা হয়নি জানতে চাইলে বলেন সেই বিষয়ে যারা মালিক তাদের সাথে কথা বলেন অথবা রাজউকের স্যারদের সাথে কথা বলেন আমি এই বিষয়ে কথা বলতে চাইনা বলে মোবাইলে বলে ফোন কেটে দেন। ইঞ্জিনিয়ার নিখিল দাশ আট তলা ভবনকে দশ তলা বানিয়ে অবৈধকে বৈধ করার জন্য রাজউক সহ বিভিন্ন জায়গা টাকার বিনিময়ে তদবির করে বিল্ডিং টি বৈধ করেছেন বলে জানা যায়। ইপিক প্রপার্টিজ লিঃ এর পরিচালক সেলিম আলমগীর এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি প্রতিবেদক কে জানান অবৈধভাবে ইমারত নির্মাণ এবং রাজউক থেকে ভাঙ্গার নোটিশ বিষয়ে তিনি অবগত নন, এবং এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। গত ৩/৭/২০২২ ইং তারিখে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ ঢাকা অথরাইজড অফিসার জোন-৫ মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন (জাহির) অনুমোদিত নক্সার বিচ্যুতি সম্পর্কিত একটি কারণ দর্শানো নোটিশ পাঠান ইপিক প্রপাটিজ এর মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ একরামুল করিম এর বরাবর। সরেজমিনে ২৩/৩/২/ পশ্চিম তেজতুরি বাজার এই ঠিকানাই গেলে ইপিক প্রপ্রার্টিজ লিঃ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারী ভবনের মুল গেটে সিকিউরিটির কে দিয়ে তালা লাগিয়ে দেয়। বার বার চেষ্টা করেও ইপিক প্রপার্টিজ লিঃ এর কতৃপক্ষের সাথে সাক্ষাৎ করা সম্ভব হয়নি। তবে এলাকার বাসির অভিযোগ রাজউক এর কিছু অসাধু কর্মকর্তা রহস্য জনক কারণে অবৈধ ভবণকে বৈধতা দিয়েছে তাদের মধ্য প্রধান রাজউক এর অথরাইজাড কর্মকতা নুরুজ্জামান হোসেন জাহির ও জোন-৫ এর পরিচালক শাহ আলম চৌধুরী। অনিয়ম অবৈধ স্থাপত্য নির্মাণের সহযোগী অথরাইজড জোন-৫ এর কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান এর মোবাইল ফোন ০১৭৩০-০১৩৯২৯ যোগাযোগ করলে মোবাইল নাম্বার টি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ পাওয়া যায়। এমনকি রাজউক অফিসে গিয়েও অর্থরাইজড অফিসার নুরুজ্জামানের দেখা পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে জোন- ৫ এর পরিচালক শাহ আলম চৌধুরীকে বিষয়টি অবগত করা হয় এবং তিনি বলেন আমি যতটুকু জানি ভবনটি ভাঙ্গার বিষয়ে চেয়ারম্যান মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে এবং নুরুজ্জামান সাহেবকে বলবো এই বিষয়টি দেখার জন্য কিন্তু পরবর্তীতে আর কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। মনে হচ্ছে শস্যর মধ্যই ভুত। নোটিশে বলা হয়েছিল আপনাদের নির্মিত /নির্মাণাধীন ইমারত স্থাপনার অনুমোদিত নক্সার ব্যত্যয়/ব্যতিক্রম অংশ অবৈধ এবং তা ভেঙ্গে ফেলা/অপসারন এবং ০৭(সাত)দিনের মধ্য লিখিত ভাবে নিম্মসাক্ষরকারী বরাবর কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান । উল্লেখ্য ব্যর্থতায় ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২ ধারা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।ইপিক প্রপাটিজ কতৃপক্ষ নোটিশের জবাবে ১৮/০৭/২০২২ইং তারিখে অথরাইজড অফিসার বরাবর লিখেছেন ইমারত নির্মাণকাজের অনুমোদিত নক্সার বাইরে যে স্থাপত্য নির্মাণ করা হয়েছে সেটা অপসারণ করা হবে। নির্মাণে যে ব্যত্যয় হয়েছে মর্মে অভিযোগ আছে তা নিরসন কল্পে আমরা রাজউক এর সহযোগিতা নিয়ে বিচ্যুতি অংশ সংশোধন করতে অঙ্গীকার করছি। কিন্তু অপসারণ ও ভেঙ্গে ফেলা তো দুরের কথা ৮তলার অনুমোদন নিয়ে বানিয়েছেন দশ তলা। দক্ষিণ পাশে অনুমোদিত নকশা মোতাবেক সেটব্যক ৪.৬৫/৩.৯১মিটার,সরেজমিনে প্রাপ্ত ১.৯৮/১.২৫মিটার,ব্যত্যয় অংশ ২.৬৭/২.৬৬ মিটার। পূর্ব পাশে অনুমোদিত সেটব্যক ২.৮১/১.৩০মিটার,প্রাপ্ত ১.৮৩/১.৪০মিটার,ব্যত্যয়০.৯৮/০.০ মিটার। তবে অথরাইজড অফিসার জোন-৫/১.৫/২.৫/৩.মোঃ নুরুজ্জামান হোসেন জাহির ৪/৮/২০২২-ইং তারিখের ফাইনাল নোটিশে লিখেছেন আপনাদের নির্মাণধীন ভবনের অনুমোদিত নক্সার ব্যত্যয়/ব্যতিক্রম অংশ কেন ভাঙ্গা বা অপসারণ এবং কাজ বন্ধ করা হয় নাই,এবং উক্ত নোটিশে কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হওয়াই আপনাদেরকে ০৭ (সাত) দিনের মধ্য নক্সায় ব্যত্যয়/ব্যতিক্রম অংশ ভেঙ্গে অপসারণ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। উল্লেখ্য উক্ত অবৈধ অবকাঠামো রাজউক কর্তৃক ভেঙ্গে অপসারণ করা হবে। ভবণ আইন নির্মাণ আইনের সংশিষ্ট ধারা অনুযায়ী ভেঙ্গে অপসারণ বাবদ যাবতীয় খরচ আপনার /আপনাদের নিকট হতে আদায় করা হবে ইহাই চুড়ান্ত নোটিশ বলে গণ্য করা হবে। রাজউক উন্নয়ন কতৃপক্ষের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ওই ভবণকে বৈধ বলে গন্য করেছে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে। তথ্য অনুসন্ধানে একাধিক ব্যক্তি বলেন অপসারণ ও না ভেঙ্গে ৮তলা অনুমোদিত ভবনকে ১০ তলা বানিয়ে টিকিয়ে রাখার জন্য নুরুজ্জামান সহ উপরে ও নিচের স্যারদের অবৈধ অর্থনৈতিক সুবিধা দিয়ে ভবনটি এখনো দাড়িয়ে রেখেছেন ইপিক প্রপ্রাটিজ কর্তৃপক্ষ । আরও বিস্তারিত আগামী পর্বে চোখ রাখুন।