ঢাকা ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুষ ছাড়া ফাইল ধরেন না কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের বাজেট অফিসার সৈয়দ রেজাউল করিম!

বিশেষ প্রতিনিধি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন অর্থ, হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উর্ধ্বোতন হিসাব রক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত বাজেট অফিসার মোঃ সৈয়দ রেজাউল করিম ঘুস ছাড়া কোন ফাইল টাচ করেন না মর্মে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারি চাকুরী বিধি ভংগ করে দীর্ঘ ১৫ বছর একই কর্মস্থলে কর্মরত রয়েছেন বলেও দাবী করা হয়েছে। দীর্ঘদিন একই দপ্তরে কর্মরত থাকায় সেখানে সেবা নিতে আসা সকলকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ঘুষছাড়া কোন কাজই হয়না তার টেবিলে। দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি। এছাড়া উক্ত শাখায় তার স্ত্রী কম্পিউটার অপারেটর-নাছিমা আক্তার একই পন্থায় ঘুষ-বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন।
সূত্রে জানাযায় দীর্ঘ ১৫ বছরের উধ্বের্ সৈয়দ রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী-নাছিমা আক্তার উক্ত দপ্তরে কর্মরত থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘুস-দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। সরকারী বিধিমালায় একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তিন বছর পরপর বদলীর নিয়ম থাকলেও সেই নিয়ম কার্যকর হয় না তাদের ক্ষেত্রে। অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে উর্ধ্বোতন কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে সৈয়দ রেজাউল করিম ভারপ্রাপ্ত বাজেট পদটিও বাগিয়ে নিয়েছেন। ১৫ বছর যাবৎ সৈয়দ রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী-নাছিমা আক্তার একই কর্মস্থলে কর্মরত থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে কাদের প্রাইভেট কোম্পানীতে রূপান্তর করেছেন। খে্াঁজ নিয়ে জানা যায় হটিকালচার উইং এর সারা বাংলাদেশের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন ভারপ্রাপ্ত বাজেট অফিসার সৈয়দ রেজাউল করিম। উক্ত বরাদ্দের চাহিদা মাফিক বিভিন্ন উপজেলা হটিকালচার উইং এর বরাদ্দকৃত অর্থ পাইতে তাকে ১০% ঘুষ দিতে হয়। যে সকল কর্মকর্তাগণ তাদের চাহিদা মাফিক বরাদ্দকৃত অর্থের ১০% ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তাদেরকে অর্থ বরাদ্দ নিতে বেগ পেতে হয় বলে সূত্রে জানাযায়। খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বার্ষিক ফল মেলার জন্য এক কোটি সাইত্রিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। প্রতিটি উপজেলা বার্ষিক ফল মেলায় বরাদ্দকৃত টাকা নেওয়া জন্য ১০% হারে ঘুষ দিতে হয়েছিল বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক উপজেলা কর্মকর্তা জানিয়েছন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সৈয়দ রেজাউল করিম এখন মি. ১০% বলে পরিচিত। অবৈধ পন্থায় রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন-রেজাউল করিম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সভাপতি হয়ে কর্মকর্তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছেন সৈয়দ রেজাউল করিম। রাতকে দিন, দিনকে রাত বানানোই তার কাজ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্তাব্যক্তিদের সাথেও রয়েছে তার বিশেষ সখ্যতা। যে কারনে তার দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। সূত্রে জানাযায়, বিগত সময়ে একটি প্রকল্পে হিসাব রক্ষক হিসাবে পেষনে কর্মরত থেকে দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তখনকার সময় প্রকল্প পরিচালকের যোগসাজসে। সে যাত্রায় তার দূর্নীতির অভিযোগ অধিদপ্তরে তদন্ত করে প্রমাণি ত হলে সে যাত্রায় বেঁচে যান অদৃশ্য শক্তিতে। ভুয়াবিল-ভাউচার তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা তার আমলের ভাউচার গুলো যাচাই-বাছাই করিলেই ধরা পড়বে। মালামাল ক্রয় না করে বিল-ভাউচার উত্তোলনেরও প্রমাণ মিলবে। সৈয়দ রেজাউল করিম তার দেশের বাড়ী টাঙ্গাইলসহ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ২টি বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এছাড়া রামপুরা বনশ্রীতে ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে নামে-বেনামে। যাত্রাবাড়ী তাদের বসবাসরত ফ্ল্যাটটির ডেকেরোশন দেখলেই যে কেউ ভোড়কে যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান,তার আলিশান ফ্ল্যাট দেখলেই মনে হবে একজন মন্ত্রী, এমপি’দের ফ্ল্যাটও এত ডেকোরেশন নেই। সামন্য একজন ৩য় শ্রেণির কর্মচারী বিশ হাজার টাকা বেসিক বেতন পেয়ে এত সম্পদ বানালেন কোন পথে? যা দুদক কর্তৃক তদন্ত করলে অবৈধ সম্পদের থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জানান সৈয়দ রেজাউল করিম চাকুরী শুরুর সময় তার নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। দেশের বাড়ী টাঙ্গাইল এলাকাবাসী এই প্রতিবেদক কে জানান, এত সম্পদ তিনি কোথায় পেলেন ? এলাকাবাসী অনেকেই বলেন তার কাছে নাকি আলাদীনের যাদুর চেরাগ আছে। না হলে মাত্র ১৬/১৭ বছরের ব্যবধানে এত সম্পদ কিভাবে হয়। বিগত সময় সৈয়দ রেজাউল করিম, জামায়াত, বিএনপি সমর্থক ছিলেন বলেও প্রচার আছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভোল পাল্টে বঙ্গবন্ধ পরিষদে যোগদান করেই বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে গোটা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ রেজাউল করিম এর আত্মপক্ষের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইলে ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হলো না। চলবে…..

ট্যাগস

ঘুষ ছাড়া ফাইল ধরেন না কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তরের বাজেট অফিসার সৈয়দ রেজাউল করিম!

আপডেট টাইম : ০৫:৪৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশাসন অর্থ, হিসাব ও নিরীক্ষা শাখার উর্ধ্বোতন হিসাব রক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত বাজেট অফিসার মোঃ সৈয়দ রেজাউল করিম ঘুস ছাড়া কোন ফাইল টাচ করেন না মর্মে অভিযোগ উঠেছে। তিনি সরকারি চাকুরী বিধি ভংগ করে দীর্ঘ ১৫ বছর একই কর্মস্থলে কর্মরত রয়েছেন বলেও দাবী করা হয়েছে। দীর্ঘদিন একই দপ্তরে কর্মরত থাকায় সেখানে সেবা নিতে আসা সকলকে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। ঘুষছাড়া কোন কাজই হয়না তার টেবিলে। দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন তিনি। এছাড়া উক্ত শাখায় তার স্ত্রী কম্পিউটার অপারেটর-নাছিমা আক্তার একই পন্থায় ঘুষ-বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন।
সূত্রে জানাযায় দীর্ঘ ১৫ বছরের উধ্বের্ সৈয়দ রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী-নাছিমা আক্তার উক্ত দপ্তরে কর্মরত থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে ঘুস-দূর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছেন। সরকারী বিধিমালায় একজন কর্মকর্তা-কর্মচারী তিন বছর পরপর বদলীর নিয়ম থাকলেও সেই নিয়ম কার্যকর হয় না তাদের ক্ষেত্রে। অবৈধ ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে উর্ধ্বোতন কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে সৈয়দ রেজাউল করিম ভারপ্রাপ্ত বাজেট পদটিও বাগিয়ে নিয়েছেন। ১৫ বছর যাবৎ সৈয়দ রেজাউল করিম ও তার স্ত্রী-নাছিমা আক্তার একই কর্মস্থলে কর্মরত থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে কাদের প্রাইভেট কোম্পানীতে রূপান্তর করেছেন। খে্াঁজ নিয়ে জানা যায় হটিকালচার উইং এর সারা বাংলাদেশের অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকেন ভারপ্রাপ্ত বাজেট অফিসার সৈয়দ রেজাউল করিম। উক্ত বরাদ্দের চাহিদা মাফিক বিভিন্ন উপজেলা হটিকালচার উইং এর বরাদ্দকৃত অর্থ পাইতে তাকে ১০% ঘুষ দিতে হয়। যে সকল কর্মকর্তাগণ তাদের চাহিদা মাফিক বরাদ্দকৃত অর্থের ১০% ঘুষ দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তাদেরকে অর্থ বরাদ্দ নিতে বেগ পেতে হয় বলে সূত্রে জানাযায়। খোঁজ নিয়ে আরো জানাযায়, বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরের বার্ষিক ফল মেলার জন্য এক কোটি সাইত্রিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ ছিল। প্রতিটি উপজেলা বার্ষিক ফল মেলায় বরাদ্দকৃত টাকা নেওয়া জন্য ১০% হারে ঘুষ দিতে হয়েছিল বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক উপজেলা কর্মকর্তা জানিয়েছন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে সৈয়দ রেজাউল করিম এখন মি. ১০% বলে পরিচিত। অবৈধ পন্থায় রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন-রেজাউল করিম। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদের সভাপতি হয়ে কর্মকর্তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছেন সৈয়দ রেজাউল করিম। রাতকে দিন, দিনকে রাত বানানোই তার কাজ। কৃষি মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্তাব্যক্তিদের সাথেও রয়েছে তার বিশেষ সখ্যতা। যে কারনে তার দুর্নীতি দেখার কেউ নেই। সূত্রে জানাযায়, বিগত সময়ে একটি প্রকল্পে হিসাব রক্ষক হিসাবে পেষনে কর্মরত থেকে দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন তখনকার সময় প্রকল্প পরিচালকের যোগসাজসে। সে যাত্রায় তার দূর্নীতির অভিযোগ অধিদপ্তরে তদন্ত করে প্রমাণি ত হলে সে যাত্রায় বেঁচে যান অদৃশ্য শক্তিতে। ভুয়াবিল-ভাউচার তৈরি করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন যা তার আমলের ভাউচার গুলো যাচাই-বাছাই করিলেই ধরা পড়বে। মালামাল ক্রয় না করে বিল-ভাউচার উত্তোলনেরও প্রমাণ মিলবে। সৈয়দ রেজাউল করিম তার দেশের বাড়ী টাঙ্গাইলসহ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ২টি বিলাশ বহুল ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন। এছাড়া রামপুরা বনশ্রীতে ২টি ফ্ল্যাট রয়েছে নামে-বেনামে। যাত্রাবাড়ী তাদের বসবাসরত ফ্ল্যাটটির ডেকেরোশন দেখলেই যে কেউ ভোড়কে যাবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানান,তার আলিশান ফ্ল্যাট দেখলেই মনে হবে একজন মন্ত্রী, এমপি’দের ফ্ল্যাটও এত ডেকোরেশন নেই। সামন্য একজন ৩য় শ্রেণির কর্মচারী বিশ হাজার টাকা বেসিক বেতন পেয়ে এত সম্পদ বানালেন কোন পথে? যা দুদক কর্তৃক তদন্ত করলে অবৈধ সম্পদের থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ জানান সৈয়দ রেজাউল করিম চাকুরী শুরুর সময় তার নুন আনতে পান্তা ফুরাতো। দেশের বাড়ী টাঙ্গাইল এলাকাবাসী এই প্রতিবেদক কে জানান, এত সম্পদ তিনি কোথায় পেলেন ? এলাকাবাসী অনেকেই বলেন তার কাছে নাকি আলাদীনের যাদুর চেরাগ আছে। না হলে মাত্র ১৬/১৭ বছরের ব্যবধানে এত সম্পদ কিভাবে হয়। বিগত সময় সৈয়দ রেজাউল করিম, জামায়াত, বিএনপি সমর্থক ছিলেন বলেও প্রচার আছে। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে ভোল পাল্টে বঙ্গবন্ধ পরিষদে যোগদান করেই বঙ্গবন্ধু পরিষদের ব্যানারে গোটা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে। এসব অভিযোগের বিষয়ে সৈয়দ রেজাউল করিম এর আত্মপক্ষের বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার মোবাইলে ফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার কোন বক্তব্য প্রকাশ করা সম্ভব হলো না। চলবে…..