ঢাকা ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুর প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপীল

স্টাফ রিপোর্টার
মনোনয়ন পত্রের সাথে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার মুল সনদপত্র জমা না দেওয়া সত্ত্বেও সরকার দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আপীল করার পর অনৈতিক পথে মনোনয়নপত্রের সাথে শিক্ষাগত সনদপত্র সংযুক্ত করে আপীল খারিজ করার প্রতিবাদে মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্ণিং অফিসার মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. মো: আশরাফুল আলম এবং জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও শপথ ভংগের অভিযোগ এনে এবং অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুর মনোনয়ন পত্র বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপীল দায়ের করেছেন মাগুরা জেলা পরিষদর স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থী মো: জিহাদ মিয়া। গতকাল সকাল ১১ টায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে এই আপীল দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে ,গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে দেখা যায় যে, ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থী বাবু পঙ্কজ কুমার কুন্ডু তার শিক্ষাগত যোগ্যতার মুল সনদপত্র ছাড়াই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং রিটার্ণিং অফিসার সেটি বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়টি জানার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: জিহাদ মিয়া লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। তখন রিটাণিং অফিসার দলীয় প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুুকে ১৮/০৯/২০২২ইং তারিখ বেলা ২ ঘটিকার মধ্যে মূল সনদপত্র জমা দিতে আদেশ দেন। কিন্ত তিনি বেলা ২ ঘটিকার মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা না দিলেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিহাদ মিয়া সংক্ষুব্ধ হয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অতি: বিভাগীয় কমিশনার (রা:) (আপীল কর্তৃপক্ষ) এর নিকট আপীল করেন। অতি: কমিশনার আপীল আবেদনটি গ্রহন করে ২২/০৯/২০২২ ইং তারিখে শুনানী করেন । এ সময় দেখা যায় যে, পঙ্কজ কুন্ডুর মনোনয়ন পত্রের সাথে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে ১৯/০৯/২০২২ ইং তারিখে রিইস্যকৃত একটি শিক্ষা সনদ রয়েছে। ঘটনাটি সবাইকে বিস্মিত করে। প্রশ্ন ওঠে যে, ১৯/০৯/২০২২ ইং তারিখে বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত শিক্ষা সনদ ১৮/০৯/২০২২ ইং তারিখে যাচাই বাছাইকৃত মনোনয়ন পত্রের সাথে সংযুক্ত হলো কিভাবে? এতো ঘোড়ার আগে গাড়ী চলে যাওয়ার মত ঘটনা ? তাহলে এই অবৈধ ও বেআইনী কাজটি করলো কে? এ জন্য দায়ীই-বা কে? তবে এ প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে খুলনার অতি: কমিশনার (আপীল কর্তৃপক্ষ) স্বতন্ত্র প্রার্থী জিহাদ মিয়ার দায়েরকৃত আপীলটি খারিজ করে দিয়ে আ:লীগ দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। চাক্ষুস প্রমাণ থাকার পরও মাগুরা জেলা রিটার্ণিং অফিসার ও খুলনা বিভাগীয় আপীল কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার না পেয়ে গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: শরিয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া ও মো: জিহাদ মিয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আপীল দায়ের করেন। আপীলে তারা মাগুরা জেলা রিটার্ণিং অফিসার,নির্বাচনী অীফসার ও খুলনার অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) এর বিরুদ্ধে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতিত্ব, অনৈতিক সহযোগীতা, নির্বাচনী আইন অমান্য ও শপথ ভংগের অভিযোগ এনেছেন। তারা অভিযুক্ত প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুর মনোনয়ন পত্র বাতিল ও দোষী কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দানের আবেদন জানিয়েছেন। অন্যথায় তার মহামান্য হাই কোর্টে রীট আবেদন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

ট্যাগস

মাগুরা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুর প্রার্থীতা বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপীল

আপডেট টাইম : ০৫:৪০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার
মনোনয়ন পত্রের সাথে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতার মুল সনদপত্র জমা না দেওয়া সত্ত্বেও সরকার দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষণার প্রেক্ষিতে এবং খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আপীল করার পর অনৈতিক পথে মনোনয়নপত্রের সাথে শিক্ষাগত সনদপত্র সংযুক্ত করে আপীল খারিজ করার প্রতিবাদে মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্ণিং অফিসার মাগুরা জেলা প্রশাসক ড. মো: আশরাফুল আলম এবং জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও শপথ ভংগের অভিযোগ এনে এবং অভিযুক্ত চেয়ারম্যান প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুর মনোনয়ন পত্র বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আপীল দায়ের করেছেন মাগুরা জেলা পরিষদর স্বতন্ত্র চেয়াম্যান প্রার্থী মো: জিহাদ মিয়া। গতকাল সকাল ১১ টায় তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে এই আপীল দায়ের করেছেন। অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে ,গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইকালে দেখা যায় যে, ক্ষমতাশীন দলের প্রার্থী বাবু পঙ্কজ কুমার কুন্ডু তার শিক্ষাগত যোগ্যতার মুল সনদপত্র ছাড়াই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এবং রিটার্ণিং অফিসার সেটি বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়টি জানার পর স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: জিহাদ মিয়া লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। তখন রিটাণিং অফিসার দলীয় প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুুকে ১৮/০৯/২০২২ইং তারিখ বেলা ২ ঘটিকার মধ্যে মূল সনদপত্র জমা দিতে আদেশ দেন। কিন্ত তিনি বেলা ২ ঘটিকার মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতার মূল সনদ জমা না দিলেও তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিহাদ মিয়া সংক্ষুব্ধ হয়ে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অতি: বিভাগীয় কমিশনার (রা:) (আপীল কর্তৃপক্ষ) এর নিকট আপীল করেন। অতি: কমিশনার আপীল আবেদনটি গ্রহন করে ২২/০৯/২০২২ ইং তারিখে শুনানী করেন । এ সময় দেখা যায় যে, পঙ্কজ কুন্ডুর মনোনয়ন পত্রের সাথে যশোর শিক্ষা বোর্ড থেকে ১৯/০৯/২০২২ ইং তারিখে রিইস্যকৃত একটি শিক্ষা সনদ রয়েছে। ঘটনাটি সবাইকে বিস্মিত করে। প্রশ্ন ওঠে যে, ১৯/০৯/২০২২ ইং তারিখে বোর্ড থেকে ইস্যুকৃত শিক্ষা সনদ ১৮/০৯/২০২২ ইং তারিখে যাচাই বাছাইকৃত মনোনয়ন পত্রের সাথে সংযুক্ত হলো কিভাবে? এতো ঘোড়ার আগে গাড়ী চলে যাওয়ার মত ঘটনা ? তাহলে এই অবৈধ ও বেআইনী কাজটি করলো কে? এ জন্য দায়ীই-বা কে? তবে এ প্রশ্নের কোন জবাব না দিয়ে খুলনার অতি: কমিশনার (আপীল কর্তৃপক্ষ) স্বতন্ত্র প্রার্থী জিহাদ মিয়ার দায়েরকৃত আপীলটি খারিজ করে দিয়ে আ:লীগ দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। চাক্ষুস প্রমাণ থাকার পরও মাগুরা জেলা রিটার্ণিং অফিসার ও খুলনা বিভাগীয় আপীল কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার না পেয়ে গতকাল ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং তারিখে ২ স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: শরিয়ত উল্লাহ হোসেন মিয়া ও মো: জিহাদ মিয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আপীল দায়ের করেন। আপীলে তারা মাগুরা জেলা রিটার্ণিং অফিসার,নির্বাচনী অীফসার ও খুলনার অতিরিক্ত কমিশনার (রাজস্ব) এর বিরুদ্ধে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে পক্ষপাতিত্ব, অনৈতিক সহযোগীতা, নির্বাচনী আইন অমান্য ও শপথ ভংগের অভিযোগ এনেছেন। তারা অভিযুক্ত প্রার্থী পঙ্কজ কুন্ডুর মনোনয়ন পত্র বাতিল ও দোষী কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দানের আবেদন জানিয়েছেন। অন্যথায় তার মহামান্য হাই কোর্টে রীট আবেদন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।