ঢাকা ০৮:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

পিডিবিএফে ডিগ্রীবিহীন দুই কর্মকর্তা!

বিশেষ প্রতিনিধি
অনিয়মের বেড়াজালে নিমজ্জিত পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির পরতে পরতে দূর্নীতি ও অনিয়মের গন্ধ পাওয়া যায়। যেখানে অনিয়ম, পক্ষপাতিত্য ও দূর্নীতি যেন প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিয়েছে। জাল সার্টিফিকেট এবং অভিজ্ঞতার সনদের অযুহাতে সঠিকতা যাচাই না করে প্রশ্নবিদ্ধ তদন্তের মাধ্যমে ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত দুইজন কর্মচারী যথাক্রমে জাকির হোসেন শিকদার এবং জান মিয়াকে অমানবিকভাবে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচা উক্ত কর্মী দুইজন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ১৬ থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত কাজ করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে একই প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রীর সনদবিহীন এবং ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে শীর্ষ দুই কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং সহিদ হোসেন সেলিম যুগ্ম পরিচালক হিসাবে দীর্ঘ ২০ বৎসর কর্মরত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনরূপ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। জাল সার্টিফিকেট এবং অভিজ্ঞতার সনদ ভুয়া থাকায় অভিযোগে উক্ত দুই সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিডিবিএফ এবং সচিব (পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়) বরাবরে পত্র দেয়া সত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তথ্য প্রমাণ ও রেকর্ড মূলে দেখা যায় মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ২০০২ সালে সহকারী প্রোগ্রামার হিসাবে এবং ২০০১ সালে সহিদ হোসেন সেলিম ব্যবস্থাপক-১ পদে (অতিরিক্ত পরিচালক সমমান) নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সহিদ হোসেন সেলিম এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতির অভিযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রতিষ্ঠান) কর্তৃক যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাকে ২০২০ সালে নিম্ন পদে অর্থাৎ যুগ্ম পরিচালক পদে পদাবনত করা হয়। উক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কম্পিউটার সাইন্সে এ্যাডভান্স ডিগ্রী সহ ৩ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ থাকলেও তা ছিল না। বিষয়টি ২০০০ হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক সাহায্য পুষ্ট অডিট (ফাফাদ) এর নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসে। নিরীক্ষা আপত্তিতে উক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল পূর্বক অবৈধভাবে গ্রহনকৃত সমূদয় অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় সংসদের হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষে বলা হলোও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় সহিদ হোসেন সেলিম যুগ্ম পরিচালক চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে ১৯৯৮ সালে কেয়ার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ১৪ দিনের (২৬ এপ্রিল-১০ মে) পর্যন্ত একটি প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট এবং চাকুরী পরবর্তী সময়ের ২০০৫ সালে পিডিবিএফ এর অর্থে অওঞ থেকে ১০ দিনের (২৫ জুলাই-৫ আগষ্ট) পর্যন্ত প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট দেন। যা তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যাচিত কম্পিউটার সাইন্সে এ্যাডভান্স ডিগ্রীর সার্টিফিকেট এবং অভিজ্ঞতার সনদের পরিপূরক নয়। অপরদিকে মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চাকুরী প্রথম যোগদানের সময় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দাখিলকৃত অভিজ্ঞতার সনদপত্র ভুয়া, যার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। অথচ উক্ত শীর্ষ দুই কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে পদোন্নতি সহ অনৈতিক ভাবে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন এবং প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতার প্রভাব ও দাপট দেখিয়ে কতিপয় কর্মীর চাকুরীচ্যুতি সহ নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
এদিকে জাকির হোসেন সিকদার এবং জান মিয়ার ইলেকট্রিশিয়ান পদে অভ্যন্তরিন নিয়োগ কমিটিতে মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু অন্যতম সদস্য হিসাবে সকল সার্টিফিকেট এর সঠিকতা যাচাই করে নিয়োগের ব্যাপারে সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে জাকির হোসেন শিকদার এবং জান মিয়ার বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তাদের সার্টিফিকেট ও অভিজ্ঞতার সনদপত্র জাল উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে চাকুরী হতে বরখাস্তের ব্যবস্থা করেন। যা হলো একজন উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তার দ্বিচারী ভূমিকার জঘন্য দৃষ্টান্ত। যারা বেআইনী ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অভিজ্ঞতার জাল সনদ দিয়ে চাকুরী করে আসছে, তারাই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুকম্পা ও আস্থাভাজন হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে দুই গরীব নিম্ন পদস্ত কর্মচারীকে জাল অভিজ্ঞতা ও ভুয়া সার্টিফিকেটের দোহাই দিয়ে চাকুরীচ্যুত করার প্রতিহিংসায় লিপ্ত রয়েছে। উল্লেখ্য একই সময়ে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অনুরূপ সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেছে বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডিবিএফ এর এক কর্মকর্তা জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মউদুদউর রশীদ সফদার পিডিবিএফ এ যোগদানের এক বছর আট মাসে ৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে অন্যায় ভাবে চাকুরীচ্যুত করেছে। এবং শতাধিক কর্মীকে চাকুরীচ্যুতির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যায়ভাবে চাকুরী ছাটাই এবং নির্যাতিত পিডিবিএফ এর শতাধিক কর্মী বিগত ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পস্তবক প্রদানে মাধ্যমে বাফার্ড কোটালিপাড়ায় অনুষ্ঠিত উপপরিচালকদের সম্মেলনস্থলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনিয়ম, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে পিডিবিএফ এর দুর্নীতি বন্ধ এবং চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী ফেরতের দাবী জানানো হয়।
এছাড়াও পিডিবিএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতিত্বের অর্ধশতাধিক অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পর পর দুটি শে^তপত্র প্রকাশ করে যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে একক সাব ঠিকাদার দিয়ে ৫টি সোলার প্রকল্পে শত কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগ, প্রনোদনার অর্থ ভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে সরকারী অর্থ তছরূপ, প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া ঋণ পূনঃ তফসিলিকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি সাধন, সোলার সড়কবাতি প্রকল্পের ৩য় সর্বনিম্ন দরপত্রদাতাকে অবৈধ পন্থায় কার্যাদেশ প্রদান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া প্রতিষ্ঠানের তহবিল বিভিন্ন ব্যাংকে কমিশন নিয়ে বিনিয়োগ, অর্থের বিনিময়ে সিন্টিকেটের মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন বাণিজ্য, একচ্ছত্র আধিপত্ত বিস্তারের জন্য প্রগতিশীল ও দক্ষ যোগ্য কর্মকর্তাদের কোণঠাসা এবং অযাচিত ভাবে চাকুরীচ্যুতি সহ নানা বিদ অভিযোগ করেছে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

পিডিবিএফে ডিগ্রীবিহীন দুই কর্মকর্তা!

আপডেট টাইম : ০৫:০৭:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২

বিশেষ প্রতিনিধি
অনিয়মের বেড়াজালে নিমজ্জিত পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটির পরতে পরতে দূর্নীতি ও অনিয়মের গন্ধ পাওয়া যায়। যেখানে অনিয়ম, পক্ষপাতিত্য ও দূর্নীতি যেন প্রাতিষ্ঠানিক রুপ নিয়েছে। জাল সার্টিফিকেট এবং অভিজ্ঞতার সনদের অযুহাতে সঠিকতা যাচাই না করে প্রশ্নবিদ্ধ তদন্তের মাধ্যমে ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত দুইজন কর্মচারী যথাক্রমে জাকির হোসেন শিকদার এবং জান মিয়াকে অমানবিকভাবে চাকুরী হতে বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচা উক্ত কর্মী দুইজন প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ১৬ থেকে ৩২ বছর পর্যন্ত কাজ করে আসছে। অভিযোগ রয়েছে একই প্রতিষ্ঠানে ডিগ্রীর সনদবিহীন এবং ভুয়া অভিজ্ঞতার সনদ দিয়ে শীর্ষ দুই কর্মকর্তা মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ভারপ্রাপ্ত পরিচালক এবং সহিদ হোসেন সেলিম যুগ্ম পরিচালক হিসাবে দীর্ঘ ২০ বৎসর কর্মরত থাকলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনরূপ প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। জাল সার্টিফিকেট এবং অভিজ্ঞতার সনদ ভুয়া থাকায় অভিযোগে উক্ত দুই সিনিয়র কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ সহ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পিডিবিএফ এবং সচিব (পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়) বরাবরে পত্র দেয়া সত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
তথ্য প্রমাণ ও রেকর্ড মূলে দেখা যায় মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ২০০২ সালে সহকারী প্রোগ্রামার হিসাবে এবং ২০০১ সালে সহিদ হোসেন সেলিম ব্যবস্থাপক-১ পদে (অতিরিক্ত পরিচালক সমমান) নিয়োগপ্রাপ্ত হন। সহিদ হোসেন সেলিম এর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দূর্নীতির অভিযোগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রতিষ্ঠান) কর্তৃক যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় তাকে ২০২০ সালে নিম্ন পদে অর্থাৎ যুগ্ম পরিচালক পদে পদাবনত করা হয়। উক্ত কর্মকর্তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কম্পিউটার সাইন্সে এ্যাডভান্স ডিগ্রী সহ ৩ বছরের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ থাকলেও তা ছিল না। বিষয়টি ২০০০ হতে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বৈদেশিক সাহায্য পুষ্ট অডিট (ফাফাদ) এর নিরীক্ষা প্রতিবেদনে উঠে আসে। নিরীক্ষা আপত্তিতে উক্ত কর্মকর্তাদের নিয়োগ বাতিল পূর্বক অবৈধভাবে গ্রহনকৃত সমূদয় অর্থ ফেরত দিতে বলা হয়েছে। জাতীয় সংসদের হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের আলোকে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষে বলা হলোও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
তথ্যনুসন্ধানে জানা যায় সহিদ হোসেন সেলিম যুগ্ম পরিচালক চাকুরীতে যোগদানের পূর্বে ১৯৯৮ সালে কেয়ার বাংলাদেশ থেকে ভারতে ১৪ দিনের (২৬ এপ্রিল-১০ মে) পর্যন্ত একটি প্রশিক্ষণ সার্টিফিকেট এবং চাকুরী পরবর্তী সময়ের ২০০৫ সালে পিডিবিএফ এর অর্থে অওঞ থেকে ১০ দিনের (২৫ জুলাই-৫ আগষ্ট) পর্যন্ত প্রশিক্ষণের সার্টিফিকেট দেন। যা তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে যাচিত কম্পিউটার সাইন্সে এ্যাডভান্স ডিগ্রীর সার্টিফিকেট এবং অভিজ্ঞতার সনদের পরিপূরক নয়। অপরদিকে মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ভারপ্রাপ্ত পরিচালক চাকুরী প্রথম যোগদানের সময় বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী দাখিলকৃত অভিজ্ঞতার সনদপত্র ভুয়া, যার কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায় নাই। অথচ উক্ত শীর্ষ দুই কর্মকর্তা বহাল তবিয়তে প্রতিষ্ঠানে কাজ করে পদোন্নতি সহ অনৈতিক ভাবে নানাবিধ সুযোগ সুবিধা ভোগ করে যাচ্ছেন এবং প্রতিষ্ঠানে ক্ষমতার প্রভাব ও দাপট দেখিয়ে কতিপয় কর্মীর চাকুরীচ্যুতি সহ নানাবিধ অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
এদিকে জাকির হোসেন সিকদার এবং জান মিয়ার ইলেকট্রিশিয়ান পদে অভ্যন্তরিন নিয়োগ কমিটিতে মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু অন্যতম সদস্য হিসাবে সকল সার্টিফিকেট এর সঠিকতা যাচাই করে নিয়োগের ব্যাপারে সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে ২০২২ সালে জাকির হোসেন শিকদার এবং জান মিয়ার বিভাগীয় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হিসাবে মহিউদ্দিন আহমেদ পান্নু ভারপ্রাপ্ত পরিচালক তাদের সার্টিফিকেট ও অভিজ্ঞতার সনদপত্র জাল উল্লেখ করে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়ে চাকুরী হতে বরখাস্তের ব্যবস্থা করেন। যা হলো একজন উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তার দ্বিচারী ভূমিকার জঘন্য দৃষ্টান্ত। যারা বেআইনী ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে অভিজ্ঞতার জাল সনদ দিয়ে চাকুরী করে আসছে, তারাই ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনুকম্পা ও আস্থাভাজন হওয়ার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমে দুই গরীব নিম্ন পদস্ত কর্মচারীকে জাল অভিজ্ঞতা ও ভুয়া সার্টিফিকেটের দোহাই দিয়ে চাকুরীচ্যুত করার প্রতিহিংসায় লিপ্ত রয়েছে। উল্লেখ্য একই সময়ে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত অনুরূপ সার্টিফিকেট দিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করতেছে বলে জানা যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিডিবিএফ এর এক কর্মকর্তা জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক মউদুদউর রশীদ সফদার পিডিবিএফ এ যোগদানের এক বছর আট মাসে ৪২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীকে অন্যায় ভাবে চাকুরীচ্যুত করেছে। এবং শতাধিক কর্মীকে চাকুরীচ্যুতির প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অন্যায়ভাবে চাকুরী ছাটাই এবং নির্যাতিত পিডিবিএফ এর শতাধিক কর্মী বিগত ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে টুঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুস্পস্তবক প্রদানে মাধ্যমে বাফার্ড কোটালিপাড়ায় অনুষ্ঠিত উপপরিচালকদের সম্মেলনস্থলে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের অনিয়ম, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের প্রতিবাদে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে। সংবাদ সম্মেলনে পিডিবিএফ এর দুর্নীতি বন্ধ এবং চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চাকুরী ফেরতের দাবী জানানো হয়।
এছাড়াও পিডিবিএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এর অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতিত্বের অর্ধশতাধিক অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীরা পর পর দুটি শে^তপত্র প্রকাশ করে যা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে একক সাব ঠিকাদার দিয়ে ৫টি সোলার প্রকল্পে শত কোটি টাকার দূর্নীতির অভিযোগ, প্রনোদনার অর্থ ভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করে সরকারী অর্থ তছরূপ, প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া ঋণ পূনঃ তফসিলিকরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতি সাধন, সোলার সড়কবাতি প্রকল্পের ৩য় সর্বনিম্ন দরপত্রদাতাকে অবৈধ পন্থায় কার্যাদেশ প্রদান, বোর্ডের সিদ্ধান্ত ছাড়া প্রতিষ্ঠানের তহবিল বিভিন্ন ব্যাংকে কমিশন নিয়ে বিনিয়োগ, অর্থের বিনিময়ে সিন্টিকেটের মাধ্যমে বদলি ও পদায়ন বাণিজ্য, একচ্ছত্র আধিপত্ত বিস্তারের জন্য প্রগতিশীল ও দক্ষ যোগ্য কর্মকর্তাদের কোণঠাসা এবং অযাচিত ভাবে চাকুরীচ্যুতি সহ নানা বিদ অভিযোগ করেছে।