মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম :
১৬ ভিক্ষুক ভিক্ষা করতে ওমরা ভিসা নিয়ে যাচ্ছিলেন সৌদি আরব, বিমানবন্দরে আটক পেট্রোল পাম্প মালিকদের কমিশন ও পরিবহন ভাড়া পুনর্নির্ধারণ ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিয়ে দেব: প্রধানমন্ত্রী সুষ্ঠু নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছে ইসি শেখ হাসিনার জন্মদিন বিশেষ ভাবে পালন করলেন মনোনয়ন প্রত্যাশী—হাসিব আলম তালুকদার বিএনপি মাহুত ছাড়া পাগলা হাতিতে পরিনত হয়েছে—জাহাঙ্গীর কবির নানক সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর শ্রীপুর কুছাইছাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতভাগ ভালো কাজ হচ্ছে জানালেন এলাকাবাসী ত্রিশালে চরিত্রহীন শিক্ষককে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে আনতে ইমামকে লাঞ্চিত করলো কমিটি! আজ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)
মুঞ্জুরী কমিশনে পদোন্নতি পেলেন সেই দুই কুতুব!

মুঞ্জুরী কমিশনে পদোন্নতি পেলেন সেই দুই কুতুব!

সোহেল রানা
অনিয়মের বেড়াজালে মুঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। চেয়ারম্যান বিদেশে থাকায় এই সুযোগে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিলেন ইউজিসির কিছু অসাধু কর্মকর্তাগণ। একাধিক সুত্রে জানা যায় যাদেরকে পদোন্নতি দেওয়া হলো তা হচ্ছে ব্যাক্তির স্বার্থে অর্থের বিনিময়ে। যাদের প্রথম নিয়োগ অবৈধভাবে বলে নানান অভিযোগ সেই বির্তকিত ব্যাক্তিদের আবার পদোন্নতি দেওয়ার মানে কি? কার স্বার্থে যোগ্য চেয়ারে অযোগ্য ব্যাক্তিদের বসানো হলো। সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নিয়োগের বিষয়ে বয়সের বিশেষ সময় সীমা নির্ধারণ থাকে সেই ক্ষেত্রে ও রয়েছে একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ। ইউজিসির কর্মরত একাধিক ব্যাক্তি প্রতিবেদককে জানান ৩০ বছর ৩মাস পার হবার পরে কিভাবে শাহীন সিরাজ সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী পেল। আর এক জন জিয়াউর রহমান ইনজ্ঞিনিয়ার কমিউনিটি থেকে জামায়াত বিএনপি প্যানেলে বিজয়ী নির্বাচিত তার নিয়োগ ও অবৈধ এদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তদন্তে ও কাগজপত্র তার যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। ইউজিসির একাধিক ব্যাক্তির অভিযোগ কাজকর্ম নাই খালি প্রমোশন এর ধান্দা যোগ্য ব্যাক্তিদের বাদ দিয়ে অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়ে বার বার ওই দুই ব্যাক্তিকে পদোন্নতি দেওয়ার চেষ্টা চলছিলো তবে অবশেষে শাহীন সিরাজ ও জিয়াউর রহমানকে পদোন্নতি দিয়েই দিলেন। তবে কোন স্বার্থে এই অবৈধ নিয়মকানুন ব্যাবহার হলো তা ইউজিসির একাধিক ব্যাক্তি জানতে চাই। তথ্য প্রমাণে কমিশন নিজেই তদন্ত করে বলেছে তারা অনৈতিক সুবিধা ভোগ করেছে। ২০০৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ্য ছিল ৫ বৎসরের সরকারি চাকুরী অভিজ্ঞতা। অথচ অভিজ্ঞতা ছাড়াই বড় পদে নিয়োগ পায় কারণ স্বজনপ্রীতি ও অর্থনৈতিক সুবিধার কারণে। সুত্রে জানা যায় ৫ বছর অভিজ্ঞতা কি ভাবে পেল ছাত্র হিসাবে ১ম বর্ষ একটা অভিজ্ঞতা ছাত্র হিসাবে সেকেন্ড ইয়ারে অভিজ্ঞতা ইত্যাদি বুঝতে আর বাকি থাকলো না অভিজ্ঞতার সংজ্ঞা পাল্টে ফেলেছে। অন্যজন তো নিয়োগের শুরুতে এ্যাডহক ভিত্তিতে অর্থাৎ টেম্পোরারি হিসাবে যোগদান করেন। সেখান থেকে টেম্পোরারিকে মুল চাকরিকালিন সময় হিসাবে গণনা করে প্রথম স্থায়ী নিয়োগ পায়। সুত্রে জানা যায় উপ পরিচালক শাহীন সিরাজ ও জিয়াউর রহমান বর্তমানে ইউজিসির সোনার হরিণ। তাই যোগ্য ব্যাক্তি ছাড়া স্বার্থের বিনিময়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তা অযোগ্য ব্যাক্তিকে পদোন্নতি দিলেন। অতিরিক্ত পরিচালক হিসেবে ৭ জন পরীক্ষা দিয়ে ছিলেন এর মধ্যে মৌখিক পরীক্ষায় ১ম ও ২য় স্থান পাওয়া ব্যাক্তিদের বাদ দিয়ে ৬ নম্বরে থাকা শাহীন সিরাজই নিয়োগ কমিটির কাছে যোগ্য হলেন! তবে জিয়াউর রহমান ততকালীন বিএনপির আমলে হাওয়া ভবণ থেকে জাল অভিজ্ঞতার সার্টিফিকেট নিয়ে চাকুরিতে যোগদান করে ছিলেন আর বর্তমান ওই হাওয়া ভবণের জিয়াউর রহমান পদোন্নতি পেলেন। অন্য সকল প্রার্থীদের অভিযোগ ওই দুই অযোগ্যদের মর্যাদার চেয়ারে বসিয়েছে। একদিকে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হতে পারে অন্য দিকে অযোগ্য ব্যাক্তিকে যোগ্য চেয়ারে বসালে রাষ্ট্র ও সমাজের ক্ষতি হতে পারে ইউজিসির একাধিক কর্মকর্তা ও সুশীল সমাজের দাবী পদোন্নতির বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে যোগ্য ব্যাক্তিকে যোগ্য আসনে বসানোর দরকার। তাহলে রাষ্ট্র এবং দেশের উপকার হবে এবং ওই সকল ব্যাক্তিদের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে সহজ হবে। আরও বিস্তারিত আগামী পর্ব দেখুন……।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published.




© All rights reserved 2018-2022 khoborbangladesh.com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com