অনুসন্ধানী প্রতিবেদক, মোঃ সোহেল রানা
পল্লবীতে এবার পাওয়া গেল নতুন বাহিনী যার নাম দিয়েছে ভইরা দে। বাহিনীর প্রধান আশিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে চাকু,সুইচ গিয়ারচাকু, হেক্সোব্লেড দিয়ে তৈরি চাকু,রামদা বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র বানিয়ে নিজে সহ বাহিনীর সব সদস্যরা ব্যাবহার করেন। অনিকের পরিবারের সদস্যরা জানান আশিকের নেতৃত্বে নাভানার গলি লালমাটিয়া টেম্পু স্টপেজ ও কালশী কবর স্থান সহ বিভিন্ন এলাকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে কিশোর গ্যাং আশিক ও তার বাহিনী মহড়া দিয়ে বেড়াই। ভইরাদে কিশোর গ্যাং সদস্যদের কাজ হলো কাউকে যখন আঘাত করবে তখন ওই ব্যাক্তির শরিরের যে কোন জায়গাই চাকু ভরে দিয়ে শরির থেকে নাড়ীভুড়ি দেহের বাহিরে আনতে হবে ঠিকই সেই উদ্দেশ্যে অনিককের উপর হামলা চালায়। কথায় আছে রাখে আল্লাহ মারে কে অনিকের বিষয়টি ঠিক তেমন। পল্লবী থানাধীন সেকশন ১১ব্লক ই ৫নং লাইনের মাথায় ওয়ালটন শোরুমের সামনে রাস্তার উপর গত ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ০৯.৩০ঘটিকায় পল্লবীর টিকটক হিরো মাদক কারবারি দুর্র্ধষ সন্ত্রাসী ও কিশোর গ্যাং লিডার ক্ষ্যাত খালেকুজ্জামানের ছেলে সন্ত্রাসী মোঃ আশিক ও তার সন্ত্রাসী দলবল নিয়ে অনিককে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রাণে মেরেফেলার জন্য কুপিয়ে জখম করে মারা গেছে ভেবে রাস্তায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। শুধু তাই নয় সন্ত্রাসী কিশোর গ্যাংলিডার আশিক অনিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও দেয়। অথচ আশিক ও তার দলবল সহ ১৫ থেকে ২০জন মিলে অনিককে মেরে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। এই বিষয়ে অনিকের মা হোসনে আরা বাদী হয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর পল্লবী থানায় ভইরা দে কিশোর গ্যাংপ্রধান আশিক, জুয়েল, নাহিদহোসেন, হেলাল, পারভেজ ও খালেকুজ্জান জীবন, সহ অজ্ঞতানামা আরো ৫ থেকে ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন । যাহার ধারা ১৪৩/ ৩২৩ /৩২৪/ ৩২৫/ ৩২৬/ ৩০৭ /৩৭৯/ ৫০৬/ পেনাল কোড ১৮৬০। তথ্যমতে এখন পযর্ন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি পুলিশের সাথেই তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন । এই বিষয়ে তথ্য নেওয়ার জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তার এস আই এস এম খালিদ এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে মোবাইল নাম্বার টি বন্ধ পাওয়া যাই তাই মামলার অগ্রগতি বিষয়ে জানা সম্ভব হয়নি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় অনিক এবং আশিক একে অপরের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যাক্তি সাব ইন্সপেক্টর এস এম খালিদ। তাই দুইপক্ষই সজাগ রয়েছে দারোগা সাহেবর ভরসায় আর সেই সুযোগে মুল আপরাধী ধরাছোঁয়ার বাহিরে। সুত্রে আরো জানা যায় আসামীদের মধ্য একাধিক ব্যাক্তি পুলিশের সোর্স স্থানীয় বসবাসকারীরা জানান পল্লবীর শীর্ষ মাদক কারবারি ও পুলিশের সোর্স মিঠু,রোমান,জুয়েল,কিশোর গ্যাং লিডার আশিক এর দলের সদস্য তাই ওদের নামে মামলা হলেও পুলিশের গাড়িতে ওরা সৈনিক এর মতো ঘুরে বেড়ায়।স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি জানান পুলিশের সোর্স পরিচয় দিয়ে ওরা বিভিন্ন আপরাধ মুলক কাজ করে যাচ্ছে আর ওদেরকে সহযোগিতা করছে পল্লবী থানার কয়েক জন অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা. পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষ কে রীতিমতো বোকা বানিয়ে যাচ্ছে সেই সাথে চালিয়ে যাচ্ছে মাদক ব্যাবসা সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড ও বিভিন্ন বয়সের মেয়েদের কে দিয়ে অনৈতিক কাজ টিকটকের নামে। ভইরা দে গ্যাং সদস্যদের মধ্য অন্যতম পুলিশের সোর্স পরিচয় দানকারী মিঠু যেন প্রশাসনের চেয়েও শক্তিশালী বলে নিজেকে দাবী করে। আশিক ও তার বাহিনী নিয়ে অনিককে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য দলবল নিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে মাথা,মুখ,পিঠ সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গুরুতর রক্তাক্ত জখম করেছে। কিশোর গ্যাং প্রধানআশিক নিজেদেরকে সাধু বানাতে উল্টা অনিকসহ একাধিক ব্যাক্তির নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বিষয়টি রহস্যময় ছাড়া কিছুই নয় হয়তো বা কিশোর গ্যাং আশিক এর উপর কোন অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায় গ্যাংলিডার আশিকসহ তাদের বিরুদ্ধে মিরপুর পল্লবী থানাসহ ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় নারী পাচার মাদক ব্যাবসা মারামারী সহ একাধিক মামলা রয়েছে।তবুও ওরা প্রশাসনের চোখের সামনেই বীরের বেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে কারণ একটাই একাধিক আসামী পুলিশের সোর্স। বিষয়টি পুলিশের দৃষ্টি রাখা দরকার বলে মনে করেন সাধারণ জনগণ। কারণ সোর্স পরিচয় দিয়ে বর্তমানে ওরা অপরাধ করে বার বার রেহাই পেয়ে যায়। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে চায় কারণ ওরা নাকি পুলিশের সোর্স ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই পুলিশ ওদের কথামতো চলে। কিশোর গ্যাং আশিক সহ সবাই কে আইনের আওতায় এনে তদন্ত করা হলে ওরা কত ভয়ংকর এবং দুর্র্ধষ বের হয়ে আসবে। ভুক্তভোগী ও এলাকার নিরীহ জনগণের একটা চাওয়া আসামীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার ও অনিকের নামে মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি এবং সেই সাথে প্রশাসনের নাম ভাঙ্গিয়ে কেও যেন আইনের হাত থেকে রেহাই পেতে না পারে এটাই ভুক্তভোগী জনগণের প্রত্যাশা। সেই সাথে সুশীল সমাজের দাবী ভইরা দে গ্যাং লিডার সহ সকল সদস্যকে আইনের মাধ্যমে জেলখানায় ভইরা দিয়ে সঠিক বিচার করা দরকার। বিষয়টি গুরুত্ব সাথে দেখে পল্লবী থানা পুলিশ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের সঠিক বিচার করবে আশা করেন এলাকা বাসী।
শিরোনাম :
পল্লবীতে অপ্রতিরোধ্য কিশোরগ্যাং আশিক বাহিনী!
- খবর বাংলাদেশ ডেস্ক :
- আপডেট টাইম : ০৫:৩৪:৪৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অক্টোবর ২০২২
- ১০৮৫ বার পড়া হয়েছে
ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ