মোঃ রনি মিয়া
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মা ছেলে সহ পাঁচ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। এ সময় নিহতের কন্যা,স্বামী ও ভাই সহ তিনজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত সাড়ে তিনটায় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের মাধবপুর পলিটেকনিকেল কলেজের সামনে।
ঢাকা থেকে নৈশকোচ বরিশালগামী যাত্রীবাহী সাকুরা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-১১-৪৮০৬) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ডানপাশে মেহগনি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এই দুর্ঘটনায় পড়ে। নিহতরা হচ্ছে – ১. মা মেরিনা আক্তার (৩২) ও ২. কোলে থাকা শিশু পুত্র জুনায়েদ (০৩)
স্বামী -আহত আব্দুর রহিম। এদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার শিয়ালকাঠি গ্রামে।
৩. আব্দুর রউফ হাওলাদার (৫০)পিতা মৃত্যু বোরহান হাওলাদার, বাড়ি ঝালকাঠি জেলা সদরের দ্বারখিণ এলাকায়। ৪. হুমায়ুন কবির(৪৮) পিতা – আলহাজ্ব আমিন উদ্দিন। বাড়ি ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার গেন্ডা এলাকায়।
আহতরা হচ্ছে -নিহত মেরিন এর কন্যা আয়শা আক্তার(০৯), স্বামী আব্দুর রহিম (৪০) ও তার ভাই মামাতো ভাই মোহাম্মদ সাগর (২৫)। রহিম মাষ্টার তার পরিবারের পাঁচজন সাভারের নবীনগরে তার ফুফাতো ভাইয়ের বিয়ে খেতে আসছিল। সে এলাকার একটি হাই স্কুলের শিক্ষকতা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্ত্রী পুত্র হারা শোকে পাথর স্বামী আব্দুর রহিম মাস্টার বলেন, আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার পাশেই স্ত্রী পুত্র বসা ছিল আল্লাহ আমাকে রক্ষা করছেন কিন্তু আমার স্ত্রী পুত্রকে কেড়ে নিলেন এরকম আর্তনাদ করেন স্বামী রহিম। আমার আর কিছু বলার নাই। আমাদের মনে হয়েছে গাড়ির অরজিনাল ড্রাইভার ছিলনা সম্ভবত হেলপার কে দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। ওর বেপরোয়া গাড়ি চালানো দেখে আমরা আতঙ্কিত ছিলাম। নিমিষেই সব শেষ হয়ে গেল।
আরেকজন ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মুনসুরাবাদ নামক স্থানে নিজাম উদ্দিন মাতুব্বর নসু (৪৫) নামের একজন পথচারী অজ্ঞাত গাড়ির চাঁপায় রবিবার সকাল দশটায় ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। তার বাড়ি নগরকান্দার নাওডুবি গ্রামে।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মোহাম্মদ সোহানুর বলেন, প্রাথমিক ধারণা মতে রাত সাড়ে তিনটার দিকে সাকুরা পরিবহনের একটি বাস সম্ভবত ঘুমের ঝিমটিতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাজ গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে দুজন হাসপাতালে নেওয়ার পথে দুইজন নিহত হয়। অল্পের জন্য গাছে বাধা পেয়ে আরো ৩০ জন যাত্রী প্রাণে রক্ষা পাণ। এ ঘটনায় বাস বাসের ড্রাইভার হেল্পারের নামে মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহতদের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে নিহতদের পাঁচটি লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।