ঢাকা ০৯:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

এবার প্রেমের টানে ইতালির তরুণী রামুতে

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, চট্টগ্রাম ব্যুরো:

প্রেম মানে না কোনো বাধা। প্রেমে পড়লে মানুষ দুঃসাহসী হয়ে ওঠে। বিগত দিনগুলোতে ‘প্রেমের টানে’ বাংলাদেশে ভিনদেশি নারী-পুরুষের আগমন যেন একথাই বারবার প্রমাণ করেছে। এবার প্রেমের সেই দুঃসাহসিকতার ছোঁয়া লেগেছে কক্সবাজারের রামুতেও। বাংলাদেশি তরুণের প্রেমে মজে সূদুর ইতালি থেকে কক্সবাজারের রামুতে চলে এসেছেন রুবের টা (২৩) নামে এক তরুণী।
গেল বুধবার (৯ নভেম্বর) রামু উপজেলা সদরের হাইটুপি বড়ুয়া পাড়ার ফ্রান্স প্রবাসী বিকাশ বড়ুয়ার ছেলে রুনেক্স বড়ুয়ার (২৮) সাথে ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন রুবের টা। তিনি ইতালির সার্দেনিয়া শহরে বসবাস করেন। এলাকার লোকজন রুবের টা-কে দেখার জন্য রুনেক্স বড়ুয়ার বাড়িতে ভিড় করছে।
জানা গেছে, ৩ বছর আগে অনার্স পাসের পর ইতালি চলে যান রুনেক্স। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলের রিসিপশনে চাকরি শুরু করেন। কর্মসূত্রে পরিচয় হয় রুবের টার সঙ্গে। এরপরেই দুজনেই মাঝে প্রেমেরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। সেই সূত্র ধরেই রুবের টা বাংলাদেশে এসেছেন। এ মাসেই পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হবে। ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন রুবের টা, পরছেন বাঙালি পোশাকও।
রুনেক্স বড়ুয়া বলেন, ‘ইতালিতে একটি আবাসিক হোটেলের রিসিপশনে কাজ করতাম। সেখানে পরিচয় হয় রুবের টার সঙ্গে। তারপর প্রেমের শুরু। রুবের টা আমার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। আমার পরিবারও তাকে গ্রহণ করেছে। এখন আমরা দেশে এসেছি বিয়ে করতে।’
ইতালিয়ান তরুণী রুবের টা বলেন, ‘মানুষের জীবন একটা। জীবনের সঙ্গীও একটা হওয়া উচিত। আমার সমাজে সেটা নেই। আমি বিশ্বাস করি, রুনেক্স আমার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে থাকবে। ওকে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। তার পরিবারের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলো যেন এরকমই কাটে সেই প্রার্থনা করি।’
রুনেক্সের পরিবার বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। দুজনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। ভাষাগত সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন রুবের টা। ঘুরে বেড়াচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ নানা জায়গায়। এলাকার লোকজন আজ সকাল থেকে তাকে দেখার জন্য তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। আমাদের স্বপ্ন ছিল ঘরে বিদেশি বউ আনবো। সেটাই বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। আমরা তাকে নিয়ে খুব খুশি। তাদের ধুমধাম করে বিয়ে দেবো।’

জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

এবার প্রেমের টানে ইতালির তরুণী রামুতে

আপডেট টাইম : ০৯:২৬:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, চট্টগ্রাম ব্যুরো:

প্রেম মানে না কোনো বাধা। প্রেমে পড়লে মানুষ দুঃসাহসী হয়ে ওঠে। বিগত দিনগুলোতে ‘প্রেমের টানে’ বাংলাদেশে ভিনদেশি নারী-পুরুষের আগমন যেন একথাই বারবার প্রমাণ করেছে। এবার প্রেমের সেই দুঃসাহসিকতার ছোঁয়া লেগেছে কক্সবাজারের রামুতেও। বাংলাদেশি তরুণের প্রেমে মজে সূদুর ইতালি থেকে কক্সবাজারের রামুতে চলে এসেছেন রুবের টা (২৩) নামে এক তরুণী।
গেল বুধবার (৯ নভেম্বর) রামু উপজেলা সদরের হাইটুপি বড়ুয়া পাড়ার ফ্রান্স প্রবাসী বিকাশ বড়ুয়ার ছেলে রুনেক্স বড়ুয়ার (২৮) সাথে ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন রুবের টা। তিনি ইতালির সার্দেনিয়া শহরে বসবাস করেন। এলাকার লোকজন রুবের টা-কে দেখার জন্য রুনেক্স বড়ুয়ার বাড়িতে ভিড় করছে।
জানা গেছে, ৩ বছর আগে অনার্স পাসের পর ইতালি চলে যান রুনেক্স। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলের রিসিপশনে চাকরি শুরু করেন। কর্মসূত্রে পরিচয় হয় রুবের টার সঙ্গে। এরপরেই দুজনেই মাঝে প্রেমেরে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় প্রেমের পর বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন তারা। সেই সূত্র ধরেই রুবের টা বাংলাদেশে এসেছেন। এ মাসেই পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হবে। ভাষাগত কিছু সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন রুবের টা, পরছেন বাঙালি পোশাকও।
রুনেক্স বড়ুয়া বলেন, ‘ইতালিতে একটি আবাসিক হোটেলের রিসিপশনে কাজ করতাম। সেখানে পরিচয় হয় রুবের টার সঙ্গে। তারপর প্রেমের শুরু। রুবের টা আমার পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। আমার পরিবারও তাকে গ্রহণ করেছে। এখন আমরা দেশে এসেছি বিয়ে করতে।’
ইতালিয়ান তরুণী রুবের টা বলেন, ‘মানুষের জীবন একটা। জীবনের সঙ্গীও একটা হওয়া উচিত। আমার সমাজে সেটা নেই। আমি বিশ্বাস করি, রুনেক্স আমার জীবনে একমাত্র সঙ্গী হয়ে থাকবে। ওকে পেয়ে আমি দারুণ খুশি। তার পরিবারের সবার সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সামনের দিনগুলো যেন এরকমই কাটে সেই প্রার্থনা করি।’
রুনেক্সের পরিবার বলেন, ‘আমরা আনন্দিত। দুজনের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করি। ভাষাগত সমস্যা থাকলেও সবকিছুতেই মানিয়ে নিচ্ছেন রুবের টা। ঘুরে বেড়াচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ নানা জায়গায়। এলাকার লোকজন আজ সকাল থেকে তাকে দেখার জন্য তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। আমাদের স্বপ্ন ছিল ঘরে বিদেশি বউ আনবো। সেটাই বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। আমরা তাকে নিয়ে খুব খুশি। তাদের ধুমধাম করে বিয়ে দেবো।’