মোঃ বাবুল হোসেন,পঞ্চগড়:
সদর উপজেলার ৮নং ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্যসহ অপর এক ব্যক্তির নামে ধর্ষণের ও প্রতারণার অভিযোগে পঞ্চগড়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে মামলা দায়ের করেছে (ছদ্মনাম, মনি আক্তার ) (৩২) এক নারী।
মামলার অভিযুক্তরা হলেন:-যতনপুকুরি গ্রামের মৃত: আলতাফ এর ছেলে ইউপি সদস্য আশরাফুল ইসলাম ওরফে (গোদলু) (৪০), একই এলাকার সাবুলের স্ত্রী ইউপি সদস্য সুরাইয়া বেগম (৩৫) ও মৃত রিয়াজ উদ্দীনের ছেলে সাবুল(৪২)।
মামলার বাদিনী (ছদ্মনাম, মনি আক্তার) সদর উপজেলার ৮নং ধাক্কামারা দক্ষিণ যতনপুকুরি লতিফুর রহমানের স্ত্রী।
দুই সন্তানের জননী (ছদ্মনাম, মনি আক্তার ), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে উপস্থিত হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে ইউপি সদস্য আশরাফুল, (১,২,৩) ওয়ার্ডের মহিলা ইউপি সদস্যা সুরাইয়া ও তার স্বামীর সাথে পরামর্শ করে তাদের বাসায় সুযোগ করে দেয়ার জন্য কথা হলে তাদের আশ্বাসে জমি কিনে দেয়া ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ধর্ষণ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, তার স্বামী কাজের জন্য দীর্ঘদিন ঢাকায় অবস্থান করার সুযোগে ৮নং ধাক্কামারা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়াডের সদস্য আশরাফুল ইসলাম ওরফে (গুদুলু) ওই নারীর একাকীত্বের সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত কথাবার্তা হতো তাদের।
এক পর্যায়ে একাকীত্ব ও সরল বিশ্বাসের সুযোগে তাকে মিথ্যা ভালবাসা ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহভোগের প্রস্তাব দিলে তিনি ওই প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতে ইউপি সদস্য বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে।
পরে সু-কৌশলে ইউপি সদস্য বিয়ের প্রলোভনে বাড়ি করার জন্য জমি কিনে দেয়ার নাম করে ইউপি সদস্য সংরক্ষিত মহিলা (১,২,৩) ওয়ার্ডের সুরাইয়া ও তার স্বামী সাবুলের সহায়তায় (ছদ্মনাম, মনি আক্তার) কাজ থেকে তিন দফায় ৬ লাখ ৯৮ হাজার ৭০০ টাকা হাতিয়ে নেয়।
মামলাটির বিষয়ে এ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সুজন ও এ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান রাজন জানায়, ধর্ষিত ও প্রতারিত ওই নারী ন্যায় বিচারের জন্য অনেকের দ্বারে দ্বারে ঘুরে সহায়তা চেয়েও কোন সহায়তা পাননি।
ন্যায় বিচার পাবার আসায় তিনি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানায় তারা।
হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ইউপি সদস্যা সুরাইয়ার ভাড়া বাসায় ওই নারীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন আশরাফুল।
এ বিষয়ে (ছদ্মনাম, মনি আক্তার) জানায়, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে আমার সব কিছু কেড়ে নিয়েছে তারা। আমি জমি কিনে বাড়ি বানিয়ে ও বিয়ের কথা বললে মেরে ফেলে লাশ গুম করার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা।