ঢাকা ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম টাঙ্গাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নতুন কমিটি গঠিত সিরাজদিখান প্রেসক্লাবের জরুরী সভা অনুষ্ঠিত  স্টার লাইন বাসের ধাক্কায় মাইক্রোবাস উল্টে নিহত ৪ গণধিকার পরিষদ জাতীয় সরকারকে সমর্থন করে- গাজীপুরে রাশেদ খান পঞ্চগড়ে আট দফা দাবিতে চা চাষীদের মানববন্ধন গাজীপুরে কাউন্সিলরের বাড়ীতে দুর্ধর্ষ ডাকতি মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান পুনর্গঠনের দাবি মেম্বারদের কালিহাতীতে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নব কমিটির সভাপতি মফিদুল, সম্পাদক শফিক ১০ জেলা রেজিস্ট্রার সহ পদোন্নতি পাওয়া ১০ সাব রেজিস্ট্রারকে জেলা রেজিস্ট্রার পদে বদলি

তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে চিত্রা হরিণের মৃত্যু

মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়:
তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে একটি চিত্রা হরিণের মৃত্যু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ইকো পার্কে শনিবার সকালে একটি চিত্রা হরিণ মারা গেছে। জেলা সামাজিক বনবিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত এই ইকো পার্কে এখন ২ টি হরিণ জীবিত আছে। এর আগে আরও দুটি হরিণ মারা যায়। ভারসাম্যহীন পরিবেশ, শীতের তীব্রতা, নিরাপত্তা সংকট ও অবহেলার কারণে হরিণগুলো একের পর এক মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানাগেছে, তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর ধারে ঐতিহাসিক ডাকবাংলো চত্বরের পাশে বনবিভাগের সাড়ে দশ একর জমির উপর একটি আমবাগানের ভেতর গড়ে ওঠে তেঁতুলিয়া ইকোপার্ক। ২০২১ সালে এই ইকোপার্কে নানা ধরণের প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। এই সময়েই দিনাজপুর বনবিভাগ থেকে এক জোড়া হরিণ নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে নারী হরিণটি একটি বাচ্চা প্রসব করলেও হরিণ সাবকটি মারা যায়। পরে নারী হরিণটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার দিনাজপুর রামসাগর ইকোপার্কে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে আবারও একজোড়া পুরুষ হরিণ নিয়ে আসা হয়। তিনটি পুরুষ হরিণের মধ্যে বর্তমানে দুটি হরিণ জীবিত আছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ইকোপার্কটি গড়ে ওঠার পর স্থানীয়দের মাঝে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ইকোপার্কটি পরিদর্শন করে। তারা অভিযোগ করে বলেন ইকোপার্কে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। অনেক সময় ককুর ঢুকে পড়ে।

স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী আশরাফুল ইসলাম জানান, পঞ্চগড় জেলায় এটি একমাত্র ইকোপার্ক। এটি যেখানে গড়ে উঠেছে সেই জায়গাটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই ইকোপার্ক প্রদর্শন করে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগের অভাব আর অবহেলার কারণে ইকোপার্কটিতে প্রাণীরা মারা যাচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া বনবিভাগের বিট অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, হরিণটি ভালোই ছিলো। হঠাৎ করেই শারীরীক অসুস্থতা দেখা দেয়। পরে সকালে দেখি হরিণটি মারা গেছে।

জেলা বনবিভাগের রেঞ্চ কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি আমি সকালে শুনেছি। রবিবার একটি চিকিৎসক প্রতিনিধি দল সরোজমিনে মৃত হরিণটিকে দেখতে যাবে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য দিনাজপুরে ময়না তদন্ত করা হবে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ি কেউ দোষী সাব্যস্থ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

যারা চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদের খাম্বার সাথে বেঁধে রাখবেন- মুফতী ফয়জুল করিম

তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে চিত্রা হরিণের মৃত্যু

আপডেট টাইম : ০৮:৪৮:৩৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২

মোঃ বাবুল হোসেন, পঞ্চগড়:
তেঁতুলিয়া ইকোপার্কে একটি চিত্রা হরিণের মৃত্যু পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া ইকো পার্কে শনিবার সকালে একটি চিত্রা হরিণ মারা গেছে। জেলা সামাজিক বনবিভাগের উদ্যোগে পরিচালিত এই ইকো পার্কে এখন ২ টি হরিণ জীবিত আছে। এর আগে আরও দুটি হরিণ মারা যায়। ভারসাম্যহীন পরিবেশ, শীতের তীব্রতা, নিরাপত্তা সংকট ও অবহেলার কারণে হরিণগুলো একের পর এক মারা যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

বনবিভাগ সূত্রে জানাগেছে, তেঁতুলিয়া উপজেলার মহানন্দা নদীর ধারে ঐতিহাসিক ডাকবাংলো চত্বরের পাশে বনবিভাগের সাড়ে দশ একর জমির উপর একটি আমবাগানের ভেতর গড়ে ওঠে তেঁতুলিয়া ইকোপার্ক। ২০২১ সালে এই ইকোপার্কে নানা ধরণের প্রাণী সংরক্ষণ ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়। এই সময়েই দিনাজপুর বনবিভাগ থেকে এক জোড়া হরিণ নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে নারী হরিণটি একটি বাচ্চা প্রসব করলেও হরিণ সাবকটি মারা যায়। পরে নারী হরিণটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবার দিনাজপুর রামসাগর ইকোপার্কে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়। পরে আবারও একজোড়া পুরুষ হরিণ নিয়ে আসা হয়। তিনটি পুরুষ হরিণের মধ্যে বর্তমানে দুটি হরিণ জীবিত আছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ইকোপার্কটি গড়ে ওঠার পর স্থানীয়দের মাঝে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। প্রতিদিন অসংখ্য দর্শনার্থী ইকোপার্কটি পরিদর্শন করে। তারা অভিযোগ করে বলেন ইকোপার্কে নিরাপত্তার অভাব রয়েছে। অনেক সময় ককুর ঢুকে পড়ে।

স্থানীয় সাংবাদিক ও পরিবেশ কর্মী আশরাফুল ইসলাম জানান, পঞ্চগড় জেলায় এটি একমাত্র ইকোপার্ক। এটি যেখানে গড়ে উঠেছে সেই জায়গাটি পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষনীয় স্থান। প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ এই ইকোপার্ক প্রদর্শন করে। কিন্তু সরকারি উদ্যোগের অভাব আর অবহেলার কারণে ইকোপার্কটিতে প্রাণীরা মারা যাচ্ছে। এটা খুব দুঃখজনক।

এ ব্যাপারে তেঁতুলিয়া বনবিভাগের বিট অফিসার শহীদুল ইসলাম জানান, হরিণটি ভালোই ছিলো। হঠাৎ করেই শারীরীক অসুস্থতা দেখা দেয়। পরে সকালে দেখি হরিণটি মারা গেছে।

জেলা বনবিভাগের রেঞ্চ কর্মকর্তা উজ্জল হোসেন জানান, বিষয়টি আমি সকালে শুনেছি। রবিবার একটি চিকিৎসক প্রতিনিধি দল সরোজমিনে মৃত হরিণটিকে দেখতে যাবে। মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য দিনাজপুরে ময়না তদন্ত করা হবে। তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ি কেউ দোষী সাব্যস্থ হলে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।