নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালীঃ
পটুয়াখালীর দুমকির সদ্যঘোষিত মুরাদিয়া ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত ও ছাত্রদলের সহ সভাপতি পদ থেকে আসা ব্যক্তিকে নিয়ে সভাপতির পদ দিয়ে কমিটি ঘোষণার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) দুমকি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম জীবন ও সাধারণ সম্পাদক মো. সবুজ সিকদার এর স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে মুরাদিয়া ইউনিয়নে মোঃ ফারুক হোসেনকে সভাপতি ও মোঃ সিফাত হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। কমিটি গঠনের পর থেকে পদবঞ্চিত ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
পরেরদিন শনিবার (১২ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা অভিযোগ করেন, নবগঠিত কমিটির সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছেন। তিনি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন।
এক কাবিন নামা মোতাবেক দেখা যায়, ফারুক ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই নিকাহ রেজিস্ট্রার ও কাজী’র দফতরে তিন লক্ষ টাকা দেন মোহর ধার্য করে জান্নাতুল ফেরদৌসী নামে এক জনকে বিয়ে করেন এবং সে মুরাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের ৩ নং সহ-সভাপতি ছিলেন বলে ছাত্রদলের একটি কমিটিতে দেখা যায়।
ঘটনার সত্যতা শিকার করে বিয়ে পড়ানো কাজী যানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতার চাপে তিনি বিষয়টি গোপন রেখেছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে মো.ফারুক হোসেন বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ সাজানো ভিত্তিহীন অভিযোগ।
এদিকে ঘটনা অস্বীকার করে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জীবন বলেন, এগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। ফারুক এর আগেও ছাত্রলীগের কমিটিতে ছিলেন।
সদ্যঘোষিত পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. তানভীর হাসান আরিফ বলেন, বিভিন্ন উপজেলায় এই কমিটি যারা দিতেছে তাদের কমিটি দেওয়ার অনুমতি নেই। এই কমিটি গ্রহন যোগ্য হবে না। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ছাত্রলীগে বিবাহিত, অছাত্র, দলে অনুপ্রবেশকারীদের কোন স্থান দেওয়া হবে না।