ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় প্রথম চালানের ২১টি ভারতীয় ট্রাকে করে ৪০০ টন পাথর ত্রিপুরার আগরতলা বন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দরে পৌঁছায়।
প্রথম ধাপে ২৭০০ টন পাথর আমদানির এলসি খোলা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত দাম টনপ্রতি ১৩ মার্কিন ডলার মূল্যে পাথরগুলো বাংলাদেশে নিয়ে আসা হচ্ছে এবং প্রতি টনে সরকার নির্ধারিত দামের ৬৯ শতাংশ শুল্ক পাবে বাংলাদেশ। এ ছাড়া বন্দর মাসুলসহ পাথর পরিবহণ ও আনুষঙ্গিক কিছু অর্থও বাংলাদেশ পাবে। পাথর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতের এফকন ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স লিমিটেড।
অন্যদিকে বাংলাদেশে আখাউড়া স্থলবন্দরে কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টের দায়িত্বে আছে মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান।
আমদানি করা এসব পাথর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার নির্মিত চার লেন মহাসড়ক উন্নতকরণে এবং অবকাঠামো উন্নয়ন নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন ভারতীয় নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান এফকন ইনফ্রাস্ট্রাকচার্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।
আখাউড়া স্থলবন্দরে মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোজাম্মেল হক বলেন, প্রথম চালানে দুই হাজার ৭০০ টন পাথর আমদানির জন্য এলসি করা হয়েছে। ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘এফকন ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড’ এলসি খুলেছে। প্রথম চালানের মধ্যে রোববার সন্ধ্যায় ২১টি ট্রাকে পাথর এসেছে। বাকি ১৪টি ট্রাকে পাথর সোমবার সন্ধ্যার মধ্যে আসার কথা রয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের ওয়্যার হাউস সুপারিন্টেনডেন্ট সামাউল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় ভারতীয় ২১টি ট্রাকে করে পাথর বন্দরে এসে পৌঁছায়। প্রতি ট্রাকে গড়ে ১৯-২০ টন পাথর আছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ কয়েকটি ধাপে চার্জ পাবে। তা ছাড়া আখাউড়া শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষও পাথর থেকে শুল্ক পাবে।
তিনি বলেন, দুই হাজার ৭০০ টন পাথরের মধ্যে প্রায় ৪০০ টন পাথর আখাউড়া বন্দরে এসেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রথম চালানের ৩৫ ট্রাকের মধ্যে ২১ ট্রাক পাথর এসেছে। বাকি ১৪ ট্রাক ও প্রথম চালানের বাকি পাথর কয়েক দিনের মধ্যে চলে আসবে।
আখাউড়া স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা এসব পাথর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া বন্দর পর্যন্ত ৫১ কিলোমিটার নির্মাণাধীন চার লেন সড়ক উন্নীতকরণ এবং অবকাঠামো নির্মাণকাজে ব্যবহার করা হবে। এসব পাথর আমদানিতে বন্দর মাসুলসহ কাস্টমস শুল্ক আদায়ের পাশাপাশি স্থবিরতা কাটিয়ে বন্দরে কর্মচঞ্চলতা ফিরবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।