ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষা বৃত্তি পুরস্কার বিতরণ সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় প্রান ফিরে পেল ভারসাম্যহীন নারী ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোষ্ট দিয়েও চাকুরীতে বহাল সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাশেদ! তারেক রহমান খেলাধুলায় সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিচ্ছেন -আমিনুল হক ইজতেমায় কোনো ডেভিল পেলে ধরিয়ে দিন -জিএমপি কমিশনার গাজীপুরে পারিবারিক কবরস্থানে শহীদ কাশেমের দাফন সম্পন্ন মির্জাগঞ্জে পিঠা উৎসব ২০২৫ আদমদীঘিতে আ.লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার কালিহাতীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন সরকারি বাঙলা কলেজস্থ ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি ঘোষণা

চট্টগ্রামের মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট বাওয়াছড়া

চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

দূর থেকে শোনা যায় ঝরনার নুপুরধ্বনি। অতিথি পাখিদের কলতান, পাহাড়ি সবুজ গাছের সমারোহ একসঙ্গে উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসুন বাওয়াছড়া কৃত্রিম লেক থেকে। শুধু লেক নয়, হরিনমারা নামে একটি ঝরনাও আছে সেখানে। উত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট এটি।
এ যেন সৌন্দর্যের সঙ্গে অপরূপ সৌন্দর্যের মিতালী! পাহাড়ি ঝরনার মুখে বাঁধ, পাহাড়িয়া সবুজ গাছের সমারোহ। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ মুগ্ধ হবেন বাওয়াছড়া দেখে। এই স্নিগ্ধ সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে পর্যটকদের। মিরসরাই উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত।
অনুপম নৈসর্গিক দৃশ্য, দুই পাশে সুউচ্চ পাহাড়, ঝরনা এসব দেখে মুগ্ধ হতে হবেই! মেঘের মতো উড়ে আসা শুভ্র এ পানি আলতো করে ছুঁয়ে দেখলেই এর শীতল পরশ মুহূর্তে ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে। অঝোরে পাহাড়ের এ ‘কান্না’ যে কারো মনে নাড়া দেবে। যেন একটু ছুঁয়ে হাত বুলিয়ে যাই! লেকে ছোট্ট একটি নৌকা আছে, সেই নৌকায় লেকে মনের আনন্দের ঘুরে বেড়ান পর্যটকরা।
প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষ। অনেকে রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় লেকের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড়ের পাদদেশে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে এর অবস্থান। সবুজ শ্যামল আঁকাবাঁকা মেঠো পথ পেরিয়ে বারমাসি ছড়ার মুখে তাই লেকটির নামকরণ করা হয়েছে বাওয়াছড়া লেক। এর মধ্যে সামান্য পথ ছাড়া বাকি পথ গাড়িতে যাওয়া যায়।
টলটলে শান্ত পানির চুপচাপ বয়ে চলার ধরনই বলে দেবে এর উৎস অবশ্যই বিশাল কিছু থেকে। স্থানীয় লোকদের বাড়ি ও ক্ষেতের আইলের পাশে বেড়ে উঠেছে বিভিন্ন শাক-সবজির সমাহার। কিছুণের মধ্যেই পর্যটকেরা আবিষ্কার করবেন লাল আর নীল রঙের ফড়িঙের মিছিল!
যত দূর পর্যন্ত ঝিরিপথ গেছে তত দূর পর্যন্ত তাদের মনমাতানো ঝিঁঝি পোকার গুঞ্জন শোনা যায়। চলার পথে শোনা যায় হরিণের ডাক। অচেনা পাখিদের ডাক, ঘাসের কার্পেট বিছানো উপত্যকার সঙ্গে। এই লেকের ঝরনার পানিতে গোসল করার লোভ সামলানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। নীল আকাশের বিশালতার নিচে সবুজের সমারোহ। এ যেন প্রকৃতির লীলাখেলা।
ঘুরতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী নামজুল ইসলাম রাকিব জানান, আমি এখানে প্রথমবার এসেছি। অনেক সুন্দর জায়গা। তবে এখনো পর্যটন অবকাঠামো গড়ে উঠেনি। সরকার একটু নজর দিলেই এটি হবে চট্টগ্রামের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জরুরি।

কালিহাতীতে সাতুটিয়া গোরস্থান নূরানী মাদ্রাসায় শিক্ষা বৃত্তি পুরস্কার বিতরণ

চট্টগ্রামের মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট বাওয়াছড়া

আপডেট টাইম : ১২:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

দূর থেকে শোনা যায় ঝরনার নুপুরধ্বনি। অতিথি পাখিদের কলতান, পাহাড়ি সবুজ গাছের সমারোহ একসঙ্গে উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসুন বাওয়াছড়া কৃত্রিম লেক থেকে। শুধু লেক নয়, হরিনমারা নামে একটি ঝরনাও আছে সেখানে। উত্তর চট্টগ্রামের অন্যতম মনোমুগ্ধকর পর্যটন স্পট এটি।
এ যেন সৌন্দর্যের সঙ্গে অপরূপ সৌন্দর্যের মিতালী! পাহাড়ি ঝরনার মুখে বাঁধ, পাহাড়িয়া সবুজ গাছের সমারোহ। শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ মুগ্ধ হবেন বাওয়াছড়া দেখে। এই স্নিগ্ধ সৌন্দর্য মুগ্ধ করছে পর্যটকদের। মিরসরাই উপজেলার ১৫ নং ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে এটি অবস্থিত।
অনুপম নৈসর্গিক দৃশ্য, দুই পাশে সুউচ্চ পাহাড়, ঝরনা এসব দেখে মুগ্ধ হতে হবেই! মেঘের মতো উড়ে আসা শুভ্র এ পানি আলতো করে ছুঁয়ে দেখলেই এর শীতল পরশ মুহূর্তে ক্লান্তি ভুলিয়ে দেবে। অঝোরে পাহাড়ের এ ‘কান্না’ যে কারো মনে নাড়া দেবে। যেন একটু ছুঁয়ে হাত বুলিয়ে যাই! লেকে ছোট্ট একটি নৌকা আছে, সেই নৌকায় লেকে মনের আনন্দের ঘুরে বেড়ান পর্যটকরা।
প্রকৃতির নান্দনিক তুলিতে আঁকা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হচ্ছে দেশের ভ্রমণপিয়াসী মানুষ। অনেকে রাতের বেলায় চাঁদের আলোয় লেকের অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে পাহাড়ের পাদদেশে তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান করেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক থেকে দেড় কিলোমিটার পূর্বে এর অবস্থান। সবুজ শ্যামল আঁকাবাঁকা মেঠো পথ পেরিয়ে বারমাসি ছড়ার মুখে তাই লেকটির নামকরণ করা হয়েছে বাওয়াছড়া লেক। এর মধ্যে সামান্য পথ ছাড়া বাকি পথ গাড়িতে যাওয়া যায়।
টলটলে শান্ত পানির চুপচাপ বয়ে চলার ধরনই বলে দেবে এর উৎস অবশ্যই বিশাল কিছু থেকে। স্থানীয় লোকদের বাড়ি ও ক্ষেতের আইলের পাশে বেড়ে উঠেছে বিভিন্ন শাক-সবজির সমাহার। কিছুণের মধ্যেই পর্যটকেরা আবিষ্কার করবেন লাল আর নীল রঙের ফড়িঙের মিছিল!
যত দূর পর্যন্ত ঝিরিপথ গেছে তত দূর পর্যন্ত তাদের মনমাতানো ঝিঁঝি পোকার গুঞ্জন শোনা যায়। চলার পথে শোনা যায় হরিণের ডাক। অচেনা পাখিদের ডাক, ঘাসের কার্পেট বিছানো উপত্যকার সঙ্গে। এই লেকের ঝরনার পানিতে গোসল করার লোভ সামলানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। নীল আকাশের বিশালতার নিচে সবুজের সমারোহ। এ যেন প্রকৃতির লীলাখেলা।
ঘুরতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী নামজুল ইসলাম রাকিব জানান, আমি এখানে প্রথমবার এসেছি। অনেক সুন্দর জায়গা। তবে এখনো পর্যটন অবকাঠামো গড়ে উঠেনি। সরকার একটু নজর দিলেই এটি হবে চট্টগ্রামের মধ্যে অন্যতম একটি পর্যটন কেন্দ্র। এছাড়া এখানে পর্যটকদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা জরুরি।