ঢাকা ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ সিরাজদিখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার সাংবাদিক রাবি ছাত্রলীগ সভাপতির কক্ষে মিলল পিস্তল, সম্পাদকের কক্ষে ফেন্সিডিল আবু সাঈদের ধারণা ছিলো পুলিশ আমাকে গুলি করবে না মীরপুর গার্লস আইডিয়াল স্কুল থেকে কোটি কোটি টাকা লুটপাট ভাঙ্গায় চেয়ারম্যান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত  যমুনার পানিতে কালিহাতীতে ৩০ হাজার পানিবন্দি মানুষ, নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত পদ্মায় অবৈধ বালি উত্তোলনে নদীগর্ভে বিলিন ১০টি বাড়িঘর, হুমকিতে শহর রক্ষা বাঁধ স্পীকারের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতের বিদায়ী সাক্ষাৎ সিরাজদিখানে পুলিশের হামলার আহত সাংবাদিক সালমানকে দেখতে গেলেন ওসি

চট্টগ্রামে ফুটপাতজুড়ে শীতের পোশাক

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চারপাশে হেমন্তের হিম হিম হাওয়া, ভোরের কুয়াশার চাদর, দিনের বেলার ঠাণ্ডা বাতাস, রাতে শীত শীত অনুভূতিই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর এ শীতকে মোকাবিলার জন্য এখন চলছে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাপড় ক্রয়পর্ব। বন্দরনগর চট্টগ্রামের সবগুলো বিপণী বিতানসহ ফুটপাতজুড়ে দিন রাতে সমান তালে চলছে শীতের কাপড় বিক্রি।
শীতের আগমন বার্তায় জমজমাট হয়ে উঠেছে শীতের পোশাকের দোকানগুলো। ফুটপাতেও চলছে বিকিকিনি। তবে বাড়েনি ক্রেতার সংখ্যা।ঘাঁটাঘাটি করছে শীতের পোশাকের।
ছেলেদের কোট, ব্লেজার, জ্যাকেট, সোয়েটার, কানটুপি, মাফলার, মেয়েদের কার্ডিগান, শাল, ভারী ওড়না আর শিশুদের রং বে-রঙের বাহারি শীতের কাপড় এসেছে বেশি। একইসঙ্গে লেপ-তোশক, কম্বলের সংগ্রহও বেড়েছে।
সামর্থ্যবান পুরুষ, নারী ও তরুণীদের কাছে এখনো কাশ্মিরী আলোয়ান-শালের কদর রয়ে গেছে আগের মতোই। নতুন-পুরোনো শীতের পোশাকের জন্য উচ্চমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণির ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে জহুর-হকার্স মার্কেট।
বরাবরের মতো এ বছরও আমদানি করা পুরানো শীতের পোশাকের পাশাপাশি নতুন ডিজাইনের পরিধেয় সামগ্রী মজুদ করেছেন দোকানিরা। তরুণ-তরুণী আর শিশু-কিশোরদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
নগরীর জহুর হকার্স থেকে শুরু করে নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতজুড়ে বিক্রি হওয়া শীতের কাপড় মিলছে ৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। ছেলেদের চায়না-কোরিয়ান লেদারের জ্যাকেট, জিন্স ও মোটা কাপড়ের জ্যাকেটও মিলছে এখানে।
বিপণীকেন্দ্রের সামনে নতুন পুরনো কাপড় স্তূপ করে বিক্রির রেওয়াজ রয়েছে। ‘এক দাম ৩০ টাকা’, ‘১ পিস ৪০ টাকা’ এ রকম কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক দোকানে। এখানে হাতমোজা, গ্লাভস, কানটুপি, গলাবন্ধনী, মাফলার ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে।
চকবাজারের লেপ প্রস্তুতকারী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, শীত আগমনের শুরু থেকে বেশ ভালোই অর্ডার পাচ্ছি। ফলে এখন ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে আমাদের। তিনি আরও জানান, সামনে হিমেল হাওয়া ও শীত যতই বাড়বে বিক্রি ততই বেড়ে যাবে।
গতবছরের চেয়ে চলতি বছরে কাপড় ও তুলার দাম একটু বেশি জানিয়ে লেপ ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, পৈত্রিক সূত্রে তার এ ব্যবসায় আসা। শীতের এ সময়টিতে আয় ভালো হয়। সাধারণত কার্তিক মাসের শুরু থেকেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বছরের এ সময়টুকু বাদ দিলে বাকি অলস সময় পার করতে হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

কোটা সংস্কার আন্দোলন: সান্তাহারে ৩ ঘন্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ

চট্টগ্রামে ফুটপাতজুড়ে শীতের পোশাক

আপডেট টাইম : ১২:৪৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ নভেম্বর ২০২২

মোঃ ইব্রাহিম শেখ, চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ

চারপাশে হেমন্তের হিম হিম হাওয়া, ভোরের কুয়াশার চাদর, দিনের বেলার ঠাণ্ডা বাতাস, রাতে শীত শীত অনুভূতিই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর এ শীতকে মোকাবিলার জন্য এখন চলছে সামর্থ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাপড় ক্রয়পর্ব। বন্দরনগর চট্টগ্রামের সবগুলো বিপণী বিতানসহ ফুটপাতজুড়ে দিন রাতে সমান তালে চলছে শীতের কাপড় বিক্রি।
শীতের আগমন বার্তায় জমজমাট হয়ে উঠেছে শীতের পোশাকের দোকানগুলো। ফুটপাতেও চলছে বিকিকিনি। তবে বাড়েনি ক্রেতার সংখ্যা।ঘাঁটাঘাটি করছে শীতের পোশাকের।
ছেলেদের কোট, ব্লেজার, জ্যাকেট, সোয়েটার, কানটুপি, মাফলার, মেয়েদের কার্ডিগান, শাল, ভারী ওড়না আর শিশুদের রং বে-রঙের বাহারি শীতের কাপড় এসেছে বেশি। একইসঙ্গে লেপ-তোশক, কম্বলের সংগ্রহও বেড়েছে।
সামর্থ্যবান পুরুষ, নারী ও তরুণীদের কাছে এখনো কাশ্মিরী আলোয়ান-শালের কদর রয়ে গেছে আগের মতোই। নতুন-পুরোনো শীতের পোশাকের জন্য উচ্চমধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সব শ্রেণির ক্রেতার পছন্দের শীর্ষে জহুর-হকার্স মার্কেট।
বরাবরের মতো এ বছরও আমদানি করা পুরানো শীতের পোশাকের পাশাপাশি নতুন ডিজাইনের পরিধেয় সামগ্রী মজুদ করেছেন দোকানিরা। তরুণ-তরুণী আর শিশু-কিশোরদের পোশাকই বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।
নগরীর জহুর হকার্স থেকে শুরু করে নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাতজুড়ে বিক্রি হওয়া শীতের কাপড় মিলছে ৫০ থেকে ৫০০ টাকায়। ছেলেদের চায়না-কোরিয়ান লেদারের জ্যাকেট, জিন্স ও মোটা কাপড়ের জ্যাকেটও মিলছে এখানে।
বিপণীকেন্দ্রের সামনে নতুন পুরনো কাপড় স্তূপ করে বিক্রির রেওয়াজ রয়েছে। ‘এক দাম ৩০ টাকা’, ‘১ পিস ৪০ টাকা’ এ রকম কাগজ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে অনেক দোকানে। এখানে হাতমোজা, গ্লাভস, কানটুপি, গলাবন্ধনী, মাফলার ইত্যাদি পাওয়া যাচ্ছে সুলভ মূল্যে।
চকবাজারের লেপ প্রস্তুতকারী মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, শীত আগমনের শুরু থেকে বেশ ভালোই অর্ডার পাচ্ছি। ফলে এখন ব্যস্ত সময় কাটাতে হচ্ছে আমাদের। তিনি আরও জানান, সামনে হিমেল হাওয়া ও শীত যতই বাড়বে বিক্রি ততই বেড়ে যাবে।
গতবছরের চেয়ে চলতি বছরে কাপড় ও তুলার দাম একটু বেশি জানিয়ে লেপ ব্যবসায়ী কবির হোসেন বলেন, পৈত্রিক সূত্রে তার এ ব্যবসায় আসা। শীতের এ সময়টিতে আয় ভালো হয়। সাধারণত কার্তিক মাসের শুরু থেকেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। বছরের এ সময়টুকু বাদ দিলে বাকি অলস সময় পার করতে হয়।